ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে যুবদলের সাবেক সভাপতিকে গুলি
ইয়াবা-ককটেল দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ফাঁসলেন তিন বন্ধু
উপদেষ্টা রিজওয়ানার প্রভাবে পিতা ‘মন্দির কমিটির সভাপতি’ হওয়ায় চাকরি হয়নি হিন্দুপ্রার্থীর
ফরিদপুরে ‘ইসলাম পরিপন্থী’ আখ্যায় ঐতিহ্যবাহী বিচারগানের আসর বন্ধ, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ক্ষোভ
পাবনার ফরিদপুরে চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করে পোড়ানো হল
জয়পুরহাটের পাঁচবিবির সীমান্তবাসীর অর্থনৈতিক সংকট দূর করবে বড় মানিক সেতু
ক্রাইমজোন মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণে তরুণ নিহত
‘তোমার রব কে?’ প্রশ্নের উত্তর না দেওয়ায় দাদির শিরশ্ছেদ করল উগ্রবাদী নাতি
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা ও সলঙ্গা থানার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চকবরুভেংড়ী গ্রামে দাদিকে কুপিয়ে মাথা বিচ্ছিন্ন করল উগ্র মতাদর্শী নাতি।
ভুক্তভোগীর নাম মোছাম্মত সন্দেশ বেগম (৮৫)। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে নাতি সজিব আলী মোল্লা (২২)। পুলিশ ঘাতক নাতিকে গ্রেপ্তার করেছে।
খুনি সজিব উগ্র মতাদর্শের অনুসারী বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তাদের ধারণা, কোনো জঙ্গি সংগঠনের সাথে তার সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।
২২শে অক্টোবর, বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। নিহত সন্দেশ বেগম ওই গ্রামের মৃত নওশের মোল্লার স্ত্রী।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে আইয়ুব আলী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে সজিব মোল্লাকে একমাত্র আসামি করে সলঙ্গা
থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তার ভাষ্যমতে, দাদিকে নাতি প্রশ্ন করেছিল ‘তোমার রব কে?’ দাদি এর উত্তর দিতে না পারায় কুপিয়ে হত্যা করে নাতি। আইয়ুব আলী জানান, বুধবার রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর তার মা সন্দেশ বেগম তৃতীয় ছেলে আহাম্মদ মোল্লার একতলা বাসভবনের একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। তার পাশের কক্ষে থাকেন আহাম্মদ মোল্লার ছেলে নাতি সজিব আলী মোল্লা। তিনি বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে সজিব গরু জবাই করার ধারালো একটি বড় ছুরি হাতে দাদির কক্ষে প্রবেশ করে। এরপর তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে জানতে চায়, ‘তোমার রব কে’। ঘুমের ঘোরে বৃদ্ধা সন্দেশ বেগম এমন প্রশ্নের উত্তর বলতে না পারায় ক্ষুব্ধ হয়ে সে চিৎকার করে
বলতে থাকে ‘তাহলে তো তোমাকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে না’। এরপর ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তার মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। চিৎকার শুনে আমি ঘর থেকে দৌড়ে এসে দেখি মায়ের মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। আর সজিব ট্যাপের পানি দিয়ে হাত মুখ ধুচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সজিব এইচএসসি পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ঢাকায় একটা কোচিং করছিল। সেখানেই কেউ তার মাথায় উগ্রবাদী চিন্তা-ভাবনা ঢুকিয়েছে। যা সবাই বুঝতে পারছিল। সেজন্যই তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তার অস্বাভাবিক আচরণ দেখে আমরা ভাবছিলাম অতিরিক্ত পড়ার চাপে এমন হয়েছে। আইয়ুব আলী জানান, হত্যা দৃশ্যের ছবি তুলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তার ছেলে মামুন আলীসহ একাধিক ব্যক্তির ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে
পাঠিয়েছে সে বলেছে ‘দেখ আমি পারি কি না দেখিয়ে দিলাম’। স্থানীয়রা জানায়, সজিব তার ফেসবুক আইডিতে ‘আল্লাহু আকবার’ লিখে পোস্ট করে। একটু পর আরেক পোস্টে লিখেছে- ‘ইনশাআল্লাহ একটাও ছাড় পাবে না’। প্রতিবেশীদের বরাতে জানা যায়, খুনের ঘটনাটি টের পেয়ে সজিবের বাবা আহম্মাদ আলী চিৎকার করে বাড়ির সবাইকে ডাকাডাকি শুরু করেন। সবাই এসে এই নৃশংস ঘটনা দেখে সলঙ্গা থানায় পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার ও জড়িত নাতি সজিবকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সলঙ্গা থানার এসআই মাফিজুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য শহিদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যায় সম্পৃক্ত নাতি সজিবকে
গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। আমরা হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও রক্তমাখা কাপড়চোপড়সহ আলামত সংগ্রহ করেছি। সলঙ্গা থানার ওসি এরামুল হক বলেন, এ নৃশংস ঘটনায় জড়িত ঘাতক সজিবকে আসামি করে তার চাচা আইয়ুব আলী বাদি হয়ে একটি হত্যা-মামলা দায়ের করেছেন।
থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তার ভাষ্যমতে, দাদিকে নাতি প্রশ্ন করেছিল ‘তোমার রব কে?’ দাদি এর উত্তর দিতে না পারায় কুপিয়ে হত্যা করে নাতি। আইয়ুব আলী জানান, বুধবার রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর তার মা সন্দেশ বেগম তৃতীয় ছেলে আহাম্মদ মোল্লার একতলা বাসভবনের একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। তার পাশের কক্ষে থাকেন আহাম্মদ মোল্লার ছেলে নাতি সজিব আলী মোল্লা। তিনি বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে সজিব গরু জবাই করার ধারালো একটি বড় ছুরি হাতে দাদির কক্ষে প্রবেশ করে। এরপর তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে জানতে চায়, ‘তোমার রব কে’। ঘুমের ঘোরে বৃদ্ধা সন্দেশ বেগম এমন প্রশ্নের উত্তর বলতে না পারায় ক্ষুব্ধ হয়ে সে চিৎকার করে
বলতে থাকে ‘তাহলে তো তোমাকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে না’। এরপর ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তার মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। চিৎকার শুনে আমি ঘর থেকে দৌড়ে এসে দেখি মায়ের মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। আর সজিব ট্যাপের পানি দিয়ে হাত মুখ ধুচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সজিব এইচএসসি পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ঢাকায় একটা কোচিং করছিল। সেখানেই কেউ তার মাথায় উগ্রবাদী চিন্তা-ভাবনা ঢুকিয়েছে। যা সবাই বুঝতে পারছিল। সেজন্যই তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তার অস্বাভাবিক আচরণ দেখে আমরা ভাবছিলাম অতিরিক্ত পড়ার চাপে এমন হয়েছে। আইয়ুব আলী জানান, হত্যা দৃশ্যের ছবি তুলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তার ছেলে মামুন আলীসহ একাধিক ব্যক্তির ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে
পাঠিয়েছে সে বলেছে ‘দেখ আমি পারি কি না দেখিয়ে দিলাম’। স্থানীয়রা জানায়, সজিব তার ফেসবুক আইডিতে ‘আল্লাহু আকবার’ লিখে পোস্ট করে। একটু পর আরেক পোস্টে লিখেছে- ‘ইনশাআল্লাহ একটাও ছাড় পাবে না’। প্রতিবেশীদের বরাতে জানা যায়, খুনের ঘটনাটি টের পেয়ে সজিবের বাবা আহম্মাদ আলী চিৎকার করে বাড়ির সবাইকে ডাকাডাকি শুরু করেন। সবাই এসে এই নৃশংস ঘটনা দেখে সলঙ্গা থানায় পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার ও জড়িত নাতি সজিবকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সলঙ্গা থানার এসআই মাফিজুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য শহিদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যায় সম্পৃক্ত নাতি সজিবকে
গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। আমরা হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও রক্তমাখা কাপড়চোপড়সহ আলামত সংগ্রহ করেছি। সলঙ্গা থানার ওসি এরামুল হক বলেন, এ নৃশংস ঘটনায় জড়িত ঘাতক সজিবকে আসামি করে তার চাচা আইয়ুব আলী বাদি হয়ে একটি হত্যা-মামলা দায়ের করেছেন।



