ইউনূস আমলে দেশে হত্যা-মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি: এক দশকে সর্বোচ্চ গত ৯ মাসে – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউনূস আমলে দেশে হত্যা-মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি: এক দশকে সর্বোচ্চ গত ৯ মাসে

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ | ৫:২৪ 12 ভিউ
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতী সরকার ক্ষমতা দখলের পর দেশে হত্যা-মামলার সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে সারা দেশে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১১টি করে হত্যা-মামলা নথিভুক্ত হয়েছে— যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৯১১টি হত্যা-মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় একশ মামলা পূর্ববর্তী সময়ের ঘটনার হলেও, দৈনিক গড় হিসাবে এটি দাঁড়ায় প্রায় ১১টি করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মনোবলহীনতা-সব মিলিয়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শিথিলতা তৈরি হয়েছে। তাদের আশঙ্কা, দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটলে এটি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রক্রিয়াতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ২০১৬

সাল থেকে দেশে প্রতিদিন গড়ে ১০টি করে হত্যা-মামলা নথিভুক্ত হতো। ২০২১ সালে এই সংখ্যা নেমে আসে প্রতিদিন ৯টিতে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২০২৪ সালের আগস্ট থেকেই হত্যাকাণ্ড বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। ২০২৫ সালে, ইউনূস সরকারের সময়ে গড়ে প্রতিদিন ১১টি করে হত্যা-মামলা নথিভুক্ত হচ্ছে যা গত দশ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের প্রথম ৯ মাসে সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ঢাকা বিভাগে (৬৮৫টি), এরপর ঢাকা মহানগর এলাকায় (৩৫২টি)। এসব হত্যাকাণ্ডের বড় অংশই রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার, প্রতিপক্ষ দমন, পারিবারিক কলহ ও ব্যক্তিগত বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হয়েছে। ২০২৪ সালে দেশে মোট ৩,৪৩২টি হত্যা-মামলা হয়েছিল। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩,০২৩টি, আর ২০২২

সালে ৩,১২৬টি। অর্থাৎ, আগের তিন বছরের তুলনায় এ বছর খুনের মামলা বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। তবে পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, হত্যা-মামলার এই বৃদ্ধিকে সরাসরি অপরাধ বৃদ্ধির সূচক হিসেবে দেখা ঠিক হবে না। এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এইচএম শাহাদাত হোসাইন বলেন, চলতি বছরে হত্যা-মামলার সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলেন, সরকার পতনের পর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে এখনো এক ধরনের অচলাবস্থা বিরাজ করছে। ফলে অপরাধীরা সুযোগ নিচ্ছে, বিচার না পাওয়ায় তারা আরও বেপরোয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশে এখন একটা ভয় ও অনিশ্চয়তার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। মানুষ নিগ্রহের

ভয়ে সাক্ষ্য দিতে চায় না, প্রতিবাদ করে না। এই নীরবতা অপরাধীদের আরও উৎসাহিত করছে। গত বছরের সরকারবিরোধী দাঙ্গার সময় ও ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে। সে সময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য শহিদ হন, আগুন, ভাঙচুর ও লুটপাট করা ৪৬০টির বেশি থানা ও ফাঁড়িতে। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়। মব সন্ত্রাসে অতিষ্ট হয়ে ওঠে দেশবাসী। পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের দাবি, আন্দোলনের সময় অনেক পরিবার হত্যা-মামলার অভিযোগ করতে পারেনি। এখন তারা মামলা করছে, ফলে সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
সিরিজ নির্ধারণী ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বড় লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিলেন কার্নিশে ঝুলে থাকা গুলিবিদ্ধ সেই আমির বুয়েটের শ্রীশান্তের জামিন নামঞ্জুর এখন সময় বেগুনের… পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৬ কর্মকর্তাকে রদবদল পাবনার ফরিদপুরে চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করে পোড়ানো হল জয়পুরহাটের পাঁচবিবির সীমান্তবাসীর অর্থনৈতিক সংকট দূর করবে বড় মানিক সেতু নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত আরও ৩০ ফিলিস্তিনির দেহ ফেরত দিলো ইসরায়েল ইউনূস আমলে দেশে হত্যা-মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি: এক দশকে সর্বোচ্চ গত ৯ মাসে ক্রাইমজোন মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণে তরুণ নিহত নিজস্ব উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থতায় এবার দুবাই ও মিয়ানমার থেকে চাল আমদানি আপনার টুথব্রাশে লুকিয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়া: পরিবর্তনের সময় কি এসে গেছে? একের পর এক নারীসঙ্গ ও ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় কারাবন্দি সাবেক সাংসদ ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের স্ত্রী নওজাত বেগম আর নেই একদিকে তীব্র আমদানি সংকট, অন্যদিকে অলস পড়ে রয়েছে ডলার ইউনূস আমলে দেশে হত্যা-মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি: এক দশকে সর্বোচ্চ গত ৯ মাসে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলা হবে হোয়াইট হাউজের ইস্ট উইং বেলিংহামের গোলে জুভেন্টাসকে হারাল রিয়াল মাদ্রিদ সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমছে জানুয়ারি থেকে, উদ্বেগ মধ্যবিত্ত ও অবসরপ্রাপ্তদের