
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা

উচ্চমূল্যের চাপে মধ্যবিত্ত হয়ে যাচ্ছে নিম্নবিত্ত

বাজারে সবজির সেঞ্চুরি: ১০০ টাকার নিচে মিলছে না কিছুই

কারাবন্দীদের উপর নির্যাতন: সংবিধান ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন

পে স্কেলের অনুপাত দাবি নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের নতুন ঘোষণা

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরা এবং বিক্রি বন্ধ
মানবাধিকার সংকটে বাংলাদেশ: জাতিসংঘের নীরবতা কি ন্যায়বিচারের সহায়?

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ অবশেষে মুখ খুলেছে—এটি নিঃসন্দেহে এক ইতিবাচক পদক্ষেপ। জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও গুমের ঘটনায় ন্যায়বিচারের আহ্বান জানিয়েছেন। এতে অন্তত বোঝা যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক মহল এখন বাংলাদেশের বাস্তবতার দিকে নজর দিতে শুরু করেছে। কিন্তু প্রশ্ন রয়ে যায়—এই বিবৃতিগুলো কি দেশের ভয়াবহ মানবাধিকার বিপর্যয়ের প্রকৃত গভীরতা প্রকাশ করতে পারছে? উত্তরটি দুঃখজনকভাবে “না”।
২০২৪ সালের আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সহিংসতা ও মানবিক বিপর্যয়ের যে চিত্র উঠে এসেছে, তা এক কথায় ভয়াবহ। শত শত আওয়ামী লীগ সমর্থক নিহত হয়েছেন; বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গণপিটুনি ও রাজনৈতিক বন্দিত্বে দেশে এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়, ১৪ মাসে প্রায়
দেড় হাজার ভাস্কর্য ও সাংস্কৃতিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে, দুই হাজারেরও বেশি সংখ্যালঘু নির্যাতনের শিকার হয়েছে, আর নদীগুলো পরিণত হয়েছে মৃতদেহের আবাসস্থলে। নারীরা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, আইনজীবীরা কারাগারে, এবং অনেক সাধারণ মানুষও শুধুমাত্র রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে বন্দি। এই ভয়াবহ বাস্তবতায় সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো সরকারের নীরবতা ও দায়মুক্তির সংস্কৃতি। যারা হত্যা, নির্যাতন ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তারা অনেক সময় আইনের আওতার বাইরে থেকে গেছে; বরং তাদের রক্ষায় সরকারই আইনি ছাতা খুলে দিয়েছে। ইউনূস সরকারের এই অদৃশ্য প্রশ্রয় কেবল অপরাধীদের সাহসী করছে না, বরং আইনের শাসনকেই ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। জাতিসংঘের বিবৃতিতে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের কথা থাকলেও রাজনৈতিক কর্মী, মানবাধিকার রক্ষাকারী, সংখ্যালঘু ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর
চলমান দমননীতির পূর্ণ চিত্র সেখানে অনুপস্থিত। অথচ আজকের বাংলাদেশে ভিন্নমত দমন, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং রাজনৈতিক নিপীড়ন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের সরাসরি লঙ্ঘন। দায়মুক্তির এই সংস্কৃতি রাষ্ট্রীয় সহিংসতাকে বৈধতা দিচ্ছে। উগ্রবাদী ও দলীয় আনুগত্যে থাকা গোষ্ঠীগুলো প্রকাশ্যে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, আর সরকার ব্যর্থ হচ্ছে—অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যর্থ হচ্ছে—বিচারের ব্যবস্থা করতে। এই ব্যর্থতা কেবল মানবাধিকার সংকট নয়; এটি রাষ্ট্রের নৈতিক ভিত্তিকেও দুর্বল করে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো—যেমন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল—বারবার জানিয়েছে, বাংলাদেশে নির্বিচারে গ্রেপ্তার, অভিযোগ ছাড়াই আটক এবং বিচার প্রক্রিয়ার বিলম্ব এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। অথচ আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিক্রিয়া এখনো সীমিত ও
দ্বিধাগ্রস্ত। বাংলাদেশের জনগণ আজ একটি মৌলিক প্রশ্নের মুখোমুখি—মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের প্রশ্নে কি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের পাশে দাঁড়াবে, নাকি রাজনৈতিক বিবেচনা ও কূটনৈতিক স্বার্থের ভারে নীরব থাকবে? এখনই সময় জাতিসংঘসহ বৈশ্বিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নিরপেক্ষ ও সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার। রাজনৈতিক পক্ষপাত বা কূটনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে উঠে বাংলাদেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের সুরক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। নইলে এই নীরবতা ইতিহাসে ন্যায়ের বিরুদ্ধে এক অমার্জনীয় নীরবতা হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
দেড় হাজার ভাস্কর্য ও সাংস্কৃতিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে, দুই হাজারেরও বেশি সংখ্যালঘু নির্যাতনের শিকার হয়েছে, আর নদীগুলো পরিণত হয়েছে মৃতদেহের আবাসস্থলে। নারীরা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, আইনজীবীরা কারাগারে, এবং অনেক সাধারণ মানুষও শুধুমাত্র রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে বন্দি। এই ভয়াবহ বাস্তবতায় সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো সরকারের নীরবতা ও দায়মুক্তির সংস্কৃতি। যারা হত্যা, নির্যাতন ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তারা অনেক সময় আইনের আওতার বাইরে থেকে গেছে; বরং তাদের রক্ষায় সরকারই আইনি ছাতা খুলে দিয়েছে। ইউনূস সরকারের এই অদৃশ্য প্রশ্রয় কেবল অপরাধীদের সাহসী করছে না, বরং আইনের শাসনকেই ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। জাতিসংঘের বিবৃতিতে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের কথা থাকলেও রাজনৈতিক কর্মী, মানবাধিকার রক্ষাকারী, সংখ্যালঘু ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর
চলমান দমননীতির পূর্ণ চিত্র সেখানে অনুপস্থিত। অথচ আজকের বাংলাদেশে ভিন্নমত দমন, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং রাজনৈতিক নিপীড়ন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের সরাসরি লঙ্ঘন। দায়মুক্তির এই সংস্কৃতি রাষ্ট্রীয় সহিংসতাকে বৈধতা দিচ্ছে। উগ্রবাদী ও দলীয় আনুগত্যে থাকা গোষ্ঠীগুলো প্রকাশ্যে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, আর সরকার ব্যর্থ হচ্ছে—অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যর্থ হচ্ছে—বিচারের ব্যবস্থা করতে। এই ব্যর্থতা কেবল মানবাধিকার সংকট নয়; এটি রাষ্ট্রের নৈতিক ভিত্তিকেও দুর্বল করে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো—যেমন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল—বারবার জানিয়েছে, বাংলাদেশে নির্বিচারে গ্রেপ্তার, অভিযোগ ছাড়াই আটক এবং বিচার প্রক্রিয়ার বিলম্ব এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। অথচ আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিক্রিয়া এখনো সীমিত ও
দ্বিধাগ্রস্ত। বাংলাদেশের জনগণ আজ একটি মৌলিক প্রশ্নের মুখোমুখি—মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের প্রশ্নে কি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের পাশে দাঁড়াবে, নাকি রাজনৈতিক বিবেচনা ও কূটনৈতিক স্বার্থের ভারে নীরব থাকবে? এখনই সময় জাতিসংঘসহ বৈশ্বিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নিরপেক্ষ ও সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার। রাজনৈতিক পক্ষপাত বা কূটনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে উঠে বাংলাদেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের সুরক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। নইলে এই নীরবতা ইতিহাসে ন্যায়ের বিরুদ্ধে এক অমার্জনীয় নীরবতা হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে।