
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আদালতে আনার দাবি তাজুলের

ইতালিতে ড. ইউনূসের অপ্রয়োজনীয় সফর: বিশ্ব খাদ্য ফোরামে অংশগ্রহণ নিয়ে সমালোচনার ঝড়

সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা এবং আরএসওকে মদদ দিচ্ছে বিজিবি: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আরাকান আর্মির হুঁশিয়ারি

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম

অনলাইন জুয়া চক্রের শীর্ষ এজেন্ট লিপু গ্রেপ্তার

ইলিয়াস কাঞ্চনের মৃত্যুর খবর গুজব, বিভ্রান্ত না হবার আহ্বান ছেলে জয়ের

শনিবার ভোরে দেশে ফিরছেন শহিদুল আলম
আমির হামজা হচ্ছে সেরা বেয়াদব, বললেন তাহেরী

আলোচিত ইসলামী বক্তা মুফতি গিয়াসউদ্দিন আত্-তাহেরী জামায়াত নেতা আমির হামজাকে বেয়াদবিতে সেরা হিসেবে উল্লেখ করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে।
৮ই অক্টোবর, বুধবার রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তাহেরী লেখেন, ‘গতকাল দেখলাম আমিরে জামায়াত বক্তব্যের ব্যাপারে সতর্ক করলেন। একদিন পরই দেখলাম মিথ্যাবাদী আমির হামজা অবান্তর বেয়াদবিমূলক বক্তব্য দিল। সে আসলেই বেয়াদবিতে সেরা।’
এর আগে আরেক ফেসবুক পোস্টে আমির হামজাকে ইঙ্গিত করে মুফতি তাহেরী লিখেছিলেন, ‘আল্লাহর হাবীব (দ:) নাকি সাংবাদিক ছিলেন! নাউজুবিল্লাহ। মানসিক ভারসাম্যহীন বিকারগ্রস্ত মিথ্যাবাদী আমির হামজার বাণী অনুযায়ী তার সিট কোথায় বরাদ্দ করা যেতে পারে?’
বর্তমান সময়ে সুন্নীয়াতের অন্যতম প্রখ্যাত ইসলামী বক্তা মুফতি গিয়াসউদ্দিন তাহেরীর এমন বক্তব্য প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক
আলোচনা শুরু হয়। তার বক্তব্যের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে অনেকেই বলছেন, আমির হামজা জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে ইন্ধন দেওয়ার কারণে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ভারতীয় নায়িকাদের টেনে আনেন তার ওয়াজে। এমনকি অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষের বিশ্বাসে আঘাত দিয়ে ওয়াজ করেন তিনি। তাকে সাম্প্রদায়িক উস্কানিদাতা বলেও আখ্যা দেন অনেকেই। এর আগে গত বুধবার সকাল ১১টায় জামায়াত নেতা আমির হামজা কুষ্টিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে বলেন আমরা যাকে নেতা হিসেবে মানি তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.), নবীজি (সা.) সাংবাদিক ছিলেন। আমির হামজার এমন উদ্ভট মন্তব্য দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ল ব্যাপক হাসিঠাট্টা শুরু হয়। তার সাথে ভারতীয় নায়িকা রাশ্মিকার ছবি জুড়ে অনেকে ট্রলও করেন। সম্প্রতি যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে দলীয়
নেতাদের ধর্মীয় বক্তব্যে সংযম ও সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু সেই নির্দেশনার পরদিনই আমির হামজার এই বিতর্কিত ও অশালীন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এমন মন্তব্য আমির হামজার জন্য নতুন কিছু নয়। এর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মদ খেয়ে দিন শুরু করেন, এমন উদ্ভট বক্তব্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হওয়ার মিথ্যা তথ্য দিয়ে পরে মাফ চাইতে বাধ্য হয়েছিলেন। উদ্ভট বক্তব্য প্রদান মুখ ফসকে ঘটেছে উল্লেখ করে সেজন্য তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। বলেন, বাথরুমে নামাজ আদায় করার কথা শুনেছি। কিন্তু আমার এভাবে বলা উচিত হয়নি। আগামীতে সতর্ক থাকব। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সকালে মদ দিয়ে কুলি করে- ওয়াজের মঞ্চ থেকে তার এমন মন্তব্য
নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়। যার প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমি তো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছিলাম। ক্যাম্পাসে কি হতো সবাই জানে। আমি কি অপরাধ করলাম। আমি দুঃখিত। ওয়াজ করতে গেলে নানা বিষয়ে তুলনা করে কথা বলি, এতে ভুল হয়। তিনি দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগের আমলে জেলখানায় তার ওপর অত্যাচার হয়েছে। তাই তিনি এখনো অসুস্থ, এজন্য কথা বলতে গেলে ভুল হয়। যদিও তিনি এড়িয়ে গেছেন, আওয়ামী লীগ আমলে কেন তাকে জেলে যেতে হয়েছিল। সংসদ ভবনে সশস্ত্র হামলার নির্দেশ দিয়ে ওয়াজ করেছিলেন তিনি। যার প্রেক্ষিতে দুই সশস্ত্র জঙ্গি সংসদ ভবনে হামলা চালাতে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। তারা স্বীকরোক্তিতে জানান, মুফতি আমির হামজার নির্দেশেই তারা
হামলা চালাতে গিয়েছিলেন। তার নির্দেশনার ভিডিও ফুটেজও পাওয়া গিয়েছিল সেসময়। যার প্রেক্ষিতে তাকে আটক করা হয়েছিল। এর আগেও করোনা মহামারির সময় আমির হামজা বলেছিলেন, ‘কোনো মুসলমানের করোনা হলে কোরআন মিথ্যা হয়ে যাবে।’ তার সেই বক্তব্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছিল আলেম সমাজে। ভারতীয় নায়িকা রাশ্মিকা মান্দানাকে নিয়ে দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে আমির হামজা বলেন, সৌন্দর্যের বর্ণনা নিয়ে একথা বলেছিলাম। এজন্য মাফ চেয়েছি, আর কখনো এসব বলব না। কেউ কষ্ট পেলে আমি দুঃখিত। জামায়াত নেতা আমির হামজা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী। সম্প্রতি তার অনেক বক্তব্য সমালোচনার জন্ম
দেয়। এক ওয়াজে ‘১৬ বছর ঢাবির মুহসিন হলে আজান দিতে দেওয়া হয়নি’ দাবি করে বক্তব্য দেন তিনি। যা শুনে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হন। এমনকি গত ২০ বছর সেই হলে আজান দেওয়া মুয়াজ্জিন মো. আবুল বাশারও জানালেন আমির হামজার বক্তব্য পুরোপুরি মিথ্যা। ঢাবি ও জাবি প্রসঙ্গে উদ্ভট বক্তব্যের কারণে আমির হামজাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলে ছাত্রদল। গুপ্ত সংগঠন শিবিরের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরাও সমালোচনা করেছেন।
আলোচনা শুরু হয়। তার বক্তব্যের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে অনেকেই বলছেন, আমির হামজা জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে ইন্ধন দেওয়ার কারণে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ভারতীয় নায়িকাদের টেনে আনেন তার ওয়াজে। এমনকি অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষের বিশ্বাসে আঘাত দিয়ে ওয়াজ করেন তিনি। তাকে সাম্প্রদায়িক উস্কানিদাতা বলেও আখ্যা দেন অনেকেই। এর আগে গত বুধবার সকাল ১১টায় জামায়াত নেতা আমির হামজা কুষ্টিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে বলেন আমরা যাকে নেতা হিসেবে মানি তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.), নবীজি (সা.) সাংবাদিক ছিলেন। আমির হামজার এমন উদ্ভট মন্তব্য দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ল ব্যাপক হাসিঠাট্টা শুরু হয়। তার সাথে ভারতীয় নায়িকা রাশ্মিকার ছবি জুড়ে অনেকে ট্রলও করেন। সম্প্রতি যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে দলীয়
নেতাদের ধর্মীয় বক্তব্যে সংযম ও সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু সেই নির্দেশনার পরদিনই আমির হামজার এই বিতর্কিত ও অশালীন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এমন মন্তব্য আমির হামজার জন্য নতুন কিছু নয়। এর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মদ খেয়ে দিন শুরু করেন, এমন উদ্ভট বক্তব্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হওয়ার মিথ্যা তথ্য দিয়ে পরে মাফ চাইতে বাধ্য হয়েছিলেন। উদ্ভট বক্তব্য প্রদান মুখ ফসকে ঘটেছে উল্লেখ করে সেজন্য তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। বলেন, বাথরুমে নামাজ আদায় করার কথা শুনেছি। কিন্তু আমার এভাবে বলা উচিত হয়নি। আগামীতে সতর্ক থাকব। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সকালে মদ দিয়ে কুলি করে- ওয়াজের মঞ্চ থেকে তার এমন মন্তব্য
নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়। যার প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমি তো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছিলাম। ক্যাম্পাসে কি হতো সবাই জানে। আমি কি অপরাধ করলাম। আমি দুঃখিত। ওয়াজ করতে গেলে নানা বিষয়ে তুলনা করে কথা বলি, এতে ভুল হয়। তিনি দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগের আমলে জেলখানায় তার ওপর অত্যাচার হয়েছে। তাই তিনি এখনো অসুস্থ, এজন্য কথা বলতে গেলে ভুল হয়। যদিও তিনি এড়িয়ে গেছেন, আওয়ামী লীগ আমলে কেন তাকে জেলে যেতে হয়েছিল। সংসদ ভবনে সশস্ত্র হামলার নির্দেশ দিয়ে ওয়াজ করেছিলেন তিনি। যার প্রেক্ষিতে দুই সশস্ত্র জঙ্গি সংসদ ভবনে হামলা চালাতে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। তারা স্বীকরোক্তিতে জানান, মুফতি আমির হামজার নির্দেশেই তারা
হামলা চালাতে গিয়েছিলেন। তার নির্দেশনার ভিডিও ফুটেজও পাওয়া গিয়েছিল সেসময়। যার প্রেক্ষিতে তাকে আটক করা হয়েছিল। এর আগেও করোনা মহামারির সময় আমির হামজা বলেছিলেন, ‘কোনো মুসলমানের করোনা হলে কোরআন মিথ্যা হয়ে যাবে।’ তার সেই বক্তব্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছিল আলেম সমাজে। ভারতীয় নায়িকা রাশ্মিকা মান্দানাকে নিয়ে দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে আমির হামজা বলেন, সৌন্দর্যের বর্ণনা নিয়ে একথা বলেছিলাম। এজন্য মাফ চেয়েছি, আর কখনো এসব বলব না। কেউ কষ্ট পেলে আমি দুঃখিত। জামায়াত নেতা আমির হামজা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী। সম্প্রতি তার অনেক বক্তব্য সমালোচনার জন্ম
দেয়। এক ওয়াজে ‘১৬ বছর ঢাবির মুহসিন হলে আজান দিতে দেওয়া হয়নি’ দাবি করে বক্তব্য দেন তিনি। যা শুনে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হন। এমনকি গত ২০ বছর সেই হলে আজান দেওয়া মুয়াজ্জিন মো. আবুল বাশারও জানালেন আমির হামজার বক্তব্য পুরোপুরি মিথ্যা। ঢাবি ও জাবি প্রসঙ্গে উদ্ভট বক্তব্যের কারণে আমির হামজাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলে ছাত্রদল। গুপ্ত সংগঠন শিবিরের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরাও সমালোচনা করেছেন।