
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

নৃশংস বর্বরতা আর নরকীয়তার ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হল – নূরুল মজিদ হুমায়ূনের নিথর দেহে হাতকড়া লাগিয়ে।

ন্যায়বিচারের পথে এক ধাপ এগোল বাংলাদেশ

শিশুদের ‘নোবেল’ শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত সাতক্ষীরার তরুণ সুদীপ্ত

বাতিল হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব মামলা, দায়মুক্তি পাচ্ছেন আসামিরা

অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ আর নেই

বাংলাদেশে শুভেচ্ছা সফরে মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইমাম প্রশিক্ষণ দেবে তুর্কি ফাউন্ডেশন
বাংলাদেশিদের জন্য বিদেশে কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়ে আসছে: বড় ধাক্কা শ্রমবাজারে

বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ দ্রুত সংকুচিত হয়ে পড়ছে। মালয়েশিয়ার পর প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) শ্রমবাজারও। এখন সৌদি আরবের বাজার নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করছেন জনশক্তি রপ্তানি সংশ্লিষ্টরা।
তাদের মতে, এই সংকটের পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে—বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাসগুলোর নিষ্ক্রিয়তা, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তহীনতা, বেসরকারি এজেন্সিগুলোর ওপর অপ্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণ এবং মানব ও অর্থ পাচারসংক্রান্ত মামলার ধীর তদন্ত। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার সূচকে (টিআইপি) বাংলাদেশের অবস্থান তলানিতে নেমে গেছে।
মানবপাচারে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায়ও বাংলাদেশের স্থান এখন দ্বিতীয়। এর ফলে শ্রমিক গ্রহণকারী দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে অনাগ্রহী হয়ে পড়ছে।
প্রধান শ্রমবাজারগুলো একে একে বন্ধ
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার
মালয়েশিয়া গত বছরের মে মাসে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ইউএই ভিসা জারি বন্ধ করে দেয়। ওমান ও বাহরাইনের বাজারও কার্যত স্থবির। সৌদি আরবের বাজারে শ্রমিক পাঠানোর হার কমে গেছে, একই সঙ্গে রেমিট্যান্স প্রবাহেও হ্রাস ঘটেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিদ্যমান সমস্যা দ্রুত চিহ্নিত করে বন্ধ বাজারগুলো পুনরায় চালু করা এবং নতুন বাজার খোঁজার বিকল্প নেই। তা না হলে বেকার শ্রমিকের সংখ্যা বাড়বে এবং রেমিট্যান্স আয় আরও কমে যেতে পারে। জঙ্গিবাদসহ বিভিন্ন ইস্যুতে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সংকট মালয়েশিয়ার সঙ্গে জিটুজি প্লাস চুক্তির আওতায় ৪ লাখ ৮০ হাজার শ্রমিক পাঠানো হয়। তবে অর্থপাচার ও অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও দুর্নীতি দমন কমিশন
(দুদক) একাধিক মামলা করেছে। এসব মামলার সঠিক তদন্ত না হওয়ায় মালয়েশিয়া সরকার জানিয়েছে—অভিযোগগুলো প্রত্যাহার না হলে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ থাকবে। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে কয়েক দফায় দেশটিতে বাংলাদেশি জঙ্গি এবং অবৈধ অভিবাসী আটকের ঘটনাগুলো দেশটিতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রতি বিরূপ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। মালয়েশিয়ায় বসে আন্তর্জাতিক ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলোকে মদদ, সহায়তা, প্রশিক্ষণ এবং বাংলাদেশে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাতে সংশ্লিষ্টতার দায়ে বিপুল সংখ্যক জঙ্গি আটক হয়েছে গত কয়েক মাসে। রপ্তানি কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালে ১০ লাখ ১১ হাজার ৮৬৯ জন কর্মী বিদেশে গেছেন—যার ৯৫ শতাংশই মাত্র পাঁচটি দেশে (সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কাতার, সিঙ্গাপুর
ও ইউএই)। ২০২৩ সালের তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় ৩০ শতাংশ কম। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ৪ লাখ ২০ হাজার ৭২১ জন শ্রমিক বিদেশে গেছেন, যার মধ্যে ৩ লাখের বেশি সৌদি আরবে। তবে চারটি বড় বাজার—মালয়েশিয়া, ওমান, বাহরাইন ও ইউএই—বন্ধ থাকায় রপ্তানির হার আরও কমার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ১১০০ এজেন্সির জালিয়াতি তদন্তবিহীন ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত ৪ লাখ ৮০ হাজার শ্রমিক মালয়েশিয়ায় পাঠানোর ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট, অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে প্রায় ১১০০ এজেন্সির বিরুদ্ধে। যদিও মামলা হয়েছে মাত্র ১০০টির বিরুদ্ধে। সরকার নির্ধারিত ৭৮ হাজার টাকার পরিবর্তে এসব এজেন্সি গড়ে জনপ্রতি ১.৫ লাখ টাকা আদায় করেছে; অনেক শ্রমিকের
ব্যয় হয়েছে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত। বিশ্লেষকরা বলছেন, সহায়ক এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত না হওয়ায় দুর্নীতির জাল অটুট রয়েছে। বোয়েসেলের অদক্ষতা ও অভিযোগ সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) ২০২৪ সালে আটকে পড়া ৭ হাজার ৮৬৯ শ্রমিককে মালয়েশিয়া পাঠানোর দায়িত্ব পেয়েছে। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও একজনকেও পাঠাতে পারেনি সংস্থাটি। বরং বিনা খরচে পাঠানোর কথা থাকলেও শ্রমিকদের কাছ থেকে ১ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। বোয়েসেলের এমডি সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, এর মধ্যে ১ লাখ টাকা ভিসা ফি বাবদ ধরা হয়েছে। তবে অভিবাসন খাতের সংশ্লিষ্টদের প্রশ্ন—সরকারি সংস্থার খরচ কেন বেসরকারি খরচের দ্বিগুণেরও বেশি? বায়রার (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল
রিক্রুটিং এজেন্সি) নেতারা বলছেন, শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে বোয়েসেল সময়সীমা রক্ষা করতে না পারলে নতুন জটিলতা তৈরি হবে। ইতিমধ্যে মালয়েশিয়ান নিয়োগকর্তারা দেওয়া শর্ত পূরণেও বোয়েসেল ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ ইউনিভার্সিটি অব পূত্রা মালয়েশিয়ার গবেষক সৈয়দ কামরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো প্রবাসী শ্রমবাজারে উদ্ভূত সংকট সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না। অন্তর্বর্তী সরকারের সময় নতুন শ্রমবাজার খোঁজার উদ্যোগও দেখা যায়নি। ফলে নেপাল ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলো মালয়েশিয়ার বাজার দখল করছে। তিনি মনে করেন, সরকার ও মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতা এবং সিদ্ধান্তহীনতা পুরো খাতটিকে অচল করে দিচ্ছে। দায়িত্বশীলদের মত বায়রার সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক কে এম মোবারক উল্লাহ শিমুল বলেন, “জনশক্তি রপ্তানি খাত এখন বিশৃঙ্খলার মধ্যে আছে। কিছু এজেন্সি ও ব্যক্তি
দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছে। হঠাৎ করে মামলা ও নিয়ন্ত্রণমূলক সিদ্ধান্তে শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। টিআইপি সূচকে রেড জোনে চলে যাওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।” তার মতে, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তহীনতা, রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স নবায়নে জটিলতা এবং অদক্ষ প্রশাসনিক কাঠামো পুরো খাতকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া জানিয়েছেন, সরকার প্রচলিত শ্রমবাজার ধরে রাখার পাশাপাশি নতুন বাজার তৈরির চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে মালয়েশিয়ার বাজার পুনরায় খোলার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অন্যান্য দেশের শ্রমবাজারের সমস্যাগুলোও চিহ্নিত করে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
মালয়েশিয়া গত বছরের মে মাসে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ইউএই ভিসা জারি বন্ধ করে দেয়। ওমান ও বাহরাইনের বাজারও কার্যত স্থবির। সৌদি আরবের বাজারে শ্রমিক পাঠানোর হার কমে গেছে, একই সঙ্গে রেমিট্যান্স প্রবাহেও হ্রাস ঘটেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিদ্যমান সমস্যা দ্রুত চিহ্নিত করে বন্ধ বাজারগুলো পুনরায় চালু করা এবং নতুন বাজার খোঁজার বিকল্প নেই। তা না হলে বেকার শ্রমিকের সংখ্যা বাড়বে এবং রেমিট্যান্স আয় আরও কমে যেতে পারে। জঙ্গিবাদসহ বিভিন্ন ইস্যুতে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সংকট মালয়েশিয়ার সঙ্গে জিটুজি প্লাস চুক্তির আওতায় ৪ লাখ ৮০ হাজার শ্রমিক পাঠানো হয়। তবে অর্থপাচার ও অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও দুর্নীতি দমন কমিশন
(দুদক) একাধিক মামলা করেছে। এসব মামলার সঠিক তদন্ত না হওয়ায় মালয়েশিয়া সরকার জানিয়েছে—অভিযোগগুলো প্রত্যাহার না হলে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ থাকবে। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে কয়েক দফায় দেশটিতে বাংলাদেশি জঙ্গি এবং অবৈধ অভিবাসী আটকের ঘটনাগুলো দেশটিতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রতি বিরূপ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। মালয়েশিয়ায় বসে আন্তর্জাতিক ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলোকে মদদ, সহায়তা, প্রশিক্ষণ এবং বাংলাদেশে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাতে সংশ্লিষ্টতার দায়ে বিপুল সংখ্যক জঙ্গি আটক হয়েছে গত কয়েক মাসে। রপ্তানি কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালে ১০ লাখ ১১ হাজার ৮৬৯ জন কর্মী বিদেশে গেছেন—যার ৯৫ শতাংশই মাত্র পাঁচটি দেশে (সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কাতার, সিঙ্গাপুর
ও ইউএই)। ২০২৩ সালের তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় ৩০ শতাংশ কম। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ৪ লাখ ২০ হাজার ৭২১ জন শ্রমিক বিদেশে গেছেন, যার মধ্যে ৩ লাখের বেশি সৌদি আরবে। তবে চারটি বড় বাজার—মালয়েশিয়া, ওমান, বাহরাইন ও ইউএই—বন্ধ থাকায় রপ্তানির হার আরও কমার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ১১০০ এজেন্সির জালিয়াতি তদন্তবিহীন ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত ৪ লাখ ৮০ হাজার শ্রমিক মালয়েশিয়ায় পাঠানোর ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট, অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে প্রায় ১১০০ এজেন্সির বিরুদ্ধে। যদিও মামলা হয়েছে মাত্র ১০০টির বিরুদ্ধে। সরকার নির্ধারিত ৭৮ হাজার টাকার পরিবর্তে এসব এজেন্সি গড়ে জনপ্রতি ১.৫ লাখ টাকা আদায় করেছে; অনেক শ্রমিকের
ব্যয় হয়েছে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত। বিশ্লেষকরা বলছেন, সহায়ক এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত না হওয়ায় দুর্নীতির জাল অটুট রয়েছে। বোয়েসেলের অদক্ষতা ও অভিযোগ সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) ২০২৪ সালে আটকে পড়া ৭ হাজার ৮৬৯ শ্রমিককে মালয়েশিয়া পাঠানোর দায়িত্ব পেয়েছে। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও একজনকেও পাঠাতে পারেনি সংস্থাটি। বরং বিনা খরচে পাঠানোর কথা থাকলেও শ্রমিকদের কাছ থেকে ১ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। বোয়েসেলের এমডি সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, এর মধ্যে ১ লাখ টাকা ভিসা ফি বাবদ ধরা হয়েছে। তবে অভিবাসন খাতের সংশ্লিষ্টদের প্রশ্ন—সরকারি সংস্থার খরচ কেন বেসরকারি খরচের দ্বিগুণেরও বেশি? বায়রার (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল
রিক্রুটিং এজেন্সি) নেতারা বলছেন, শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে বোয়েসেল সময়সীমা রক্ষা করতে না পারলে নতুন জটিলতা তৈরি হবে। ইতিমধ্যে মালয়েশিয়ান নিয়োগকর্তারা দেওয়া শর্ত পূরণেও বোয়েসেল ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ ইউনিভার্সিটি অব পূত্রা মালয়েশিয়ার গবেষক সৈয়দ কামরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো প্রবাসী শ্রমবাজারে উদ্ভূত সংকট সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না। অন্তর্বর্তী সরকারের সময় নতুন শ্রমবাজার খোঁজার উদ্যোগও দেখা যায়নি। ফলে নেপাল ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলো মালয়েশিয়ার বাজার দখল করছে। তিনি মনে করেন, সরকার ও মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতা এবং সিদ্ধান্তহীনতা পুরো খাতটিকে অচল করে দিচ্ছে। দায়িত্বশীলদের মত বায়রার সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক কে এম মোবারক উল্লাহ শিমুল বলেন, “জনশক্তি রপ্তানি খাত এখন বিশৃঙ্খলার মধ্যে আছে। কিছু এজেন্সি ও ব্যক্তি
দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছে। হঠাৎ করে মামলা ও নিয়ন্ত্রণমূলক সিদ্ধান্তে শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। টিআইপি সূচকে রেড জোনে চলে যাওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।” তার মতে, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তহীনতা, রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স নবায়নে জটিলতা এবং অদক্ষ প্রশাসনিক কাঠামো পুরো খাতকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া জানিয়েছেন, সরকার প্রচলিত শ্রমবাজার ধরে রাখার পাশাপাশি নতুন বাজার তৈরির চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে মালয়েশিয়ার বাজার পুনরায় খোলার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অন্যান্য দেশের শ্রমবাজারের সমস্যাগুলোও চিহ্নিত করে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।