পেয়ারা বাগান ঘুরে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা – ইউ এস বাংলা নিউজ




পেয়ারা বাগান ঘুরে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৭ আগস্ট, ২০২৫ | ৬:০১ 84 ভিউ
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার আটঘর ও কুড়িয়ানা অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী পেয়ারা বাগানে এখন পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। দেশের একমাত্র ভাসমান পেয়ারা বাজারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এ অঞ্চলটি এখন শুধু কৃষিপণ্য উৎপাদনের জন্য নয়, বরং পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিতি পাচ্ছে। জুলাই-আগস্ট মাসে এ অঞ্চলে পেয়ারা ও আমড়ার মৌসুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জমে ওঠে এই জনপদের নদীঘেরা বাগানগুলো। নদীপথে নৌকায় করে ঘুরে ঘুরে পেয়ারা ও আমড়া সংগ্রহের দৃশ্য, সঙ্গে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও নির্জন পরিবেশ দর্শনার্থীদের কাছে এক নতুন অভিজ্ঞতা এনে দেয়। দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রতিদিন ভ্রমণপিপাসুরা ছুটে আসছেন এ এলাকায়। অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে নৌকা ভাড়া করে বাগানে ঘুরে বেড়ান, সরাসরি কৃষকদের কাছ

থেকে টাটকা ফল কেনেন। স্থানীয় আদমকাটি গ্রামের কৃষক পরিতোষ মণ্ডল বলেন, প্রচুর পেয়ারা বিক্রি হচ্ছে, পাশাপাশি এখন পর্যটকদের কারণে আয় বেড়েছে দ্বিগুণ। অনেকেই নৌকা, হোটেল, গাইড সার্ভিস দিয়েও রোজগার করছেন। পেয়ারা বাগান ঘিরে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট হোটেল, খাবার দোকান এবং স্থানীয় হস্তশিল্প বিক্রির স্টল। ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক আনোয়ার হোসেন বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভাসমান পেয়ারা বাজারের ভিডিও দেখে আগ্রহ জন্মায়। এখানে এসে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। নৌকায় বসে চারদিকে সবুজ পেয়ারা বাগান আর পাখির ডাক শুনে মনটাই ভালো হয়ে গেছে। এটা বাংলাদেশের এক অনন্য সৌন্দর্য। এমন জায়গা আরও যত্ন নিয়ে রক্ষা করা দরকার। একই অভিমত বরিশাল থেকে আসা কলেজ শিক্ষার্থী মো.

হাবিবুল্লাহ মিঠুর। তিনি বলেন, বন্ধুদের নিয়ে এসেছি। এখানে এসে অনেক কিছু জানার ও দেখার সুযোগ হয়েছে। কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি পেয়ারা কেনা, নৌকা ভ্রমণ- সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতাটা দারুণ। স্থানীয় প্রশাসনও পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সেবার মান নিশ্চিতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ভাসমান পেয়ারা বাজার পর্যটকদের কাছে এখন অন্যতম আকর্ষণ। আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং ভ্রমণপিপাসুদের জন্য নৌকা চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। ইউএনও বলেন, এই ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারিভাবে পরিকল্পনা নেওয়া

হয়েছে। আমরা চাই, এই স্থানটি শুধু পেয়ারা উৎপাদনের জন্য নয়, দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও দেশ-বিদেশে পরিচিত হোক। এই ঐতিহ্যবাহী পেয়ারা বাগান ও ভাসমান বাজার পর্যটন শিল্পের এক অনন্য সম্ভাবনা হয়ে উঠছে, যা শুধু নেছারাবাদের নয়, পুরো দেশের গর্ব।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
সত্যের পক্ষে দুগ্ধপোষ্য শিশুর সাক্ষ্য দিনভর খেলা, ফুটবলপ্রেমীদের আবার রাত না জেগে উপায় নেই দেশে ফিরেছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ইলিয়াস কাঞ্চনের মৃত্যুর খবর গুজব, বিভ্রান্ত না হবার আহ্বান ছেলে জয়ের ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া মাচাদো শনিবার ভোরে দেশে ফিরছেন শহিদুল আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হঠাৎ টর্নেডোর আঘাত অক্টোবরে ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড়, হতে পারে বন্যাও ভারতের ৯ প্রতিষ্ঠান ও ৮ ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা গাজায় প্রবেশ করেছে ১৫৩টি ত্রাণবাহী ট্রাক: রেড ক্রিসেন্ট সাভারে কোটি টাকার বিষ্ণুমূর্তিসহ গ্রেপ্তার ১ ১০ মিনিটে মানসিক চাপ কমাতে পারে ৬ অভ্যাস বাংলাদেশের জন্য দুঃসংবাদ: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বড় ছাঁটাই আসছে বাজারে সবজির সেঞ্চুরি: ১০০ টাকার নিচে মিলছে না কিছুই রাজনৈতিক অস্থিরতায় রপ্তানিতে ধাক্কা, বিনিয়োগে স্থবিরতা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি: ভয়াবহ সংকটে অর্থনীতি পুলিশি বাধায় চারুকলার পর গেণ্ডারিয়াতেও পণ্ড ‘শরৎ উৎসব’: ১৯ বছরের ধারাবাহিকতায় ছেদ তালেবান মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর কাবুলে দূতাবাস চালুর ঘোষণা ভারতের, ভারতকে ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ আখ্যা আওয়ামী লীগ কি সশস্ত্র সংগ্রাম করবে? কারাবন্দীদের উপর নির্যাতন: সংবিধান ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন দেশের সব বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি বেবিচকের