পারমাণবিক অস্ত্র: শাসনের হাতিয়ার, শান্তির শত্রু – ইউ এস বাংলা নিউজ




পারমাণবিক অস্ত্র: শাসনের হাতিয়ার, শান্তির শত্রু

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১ জুলাই, ২০২৫ | ৬:২৭ 85 ভিউ
পারমাণবিক বোমা, এই শব্দটিই আজ মানব সভ্যতার ওপর এক ছায়াস্বরূপ আতঙ্ক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস থেকে শুরু করে আজকের মধ্যপ্রাচ্য, পারমাণবিক শক্তির প্রয়োগ বা হুমকি এসেছে সবসময়ই পরাশক্তির দিক থেকে। শোষক শ্রেণির মানুষ বাদ দিয়ে, বিশ্বের প্রায় সব মানুষ এই বিধ্বংসী অস্ত্র বিলুপ্ত হোক এটাই তার চান। পৃথিবীতে কোন পরমাণু অস্ত্র যেন মানুষের প্রাণ সংহার না করে। তবুও প্রশ্ন জাগে, কেন আজো পরাশক্তিরা এই অস্ত্র নিজেদের হাতে রাখে? ক্ষমতার ভারসাম্য নাকি আধিপত্যের কৌশল? বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্র বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা নিজেদের শত শত পারমাণবিক বোমা মজুত করে রেখেছে, নিরাপত্তার নামে। অথচ অন্য কোনো দেশ এই প্রযুক্তির ধারে কাছে গেলেই তাদের

বিরুদ্ধে শুরু হয় নিষেধাজ্ঞা, কূটনৈতিক চাপ এবং প্রয়োজনে সামরিক হস্তক্ষেপ। ইরানের সাম্প্রতিক পারমাণবিক কেন্দ্রের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আঘাতও এই নীতিরই বহিঃপ্রকাশ। নিজের অস্ত্রধারী বন্ধুদের সহায়তা করে, আর অন্যদের "ঝুঁকি" হিসেবে আখ্যা দেয়, এটি সুস্পষ্ট এক বৈষম্যমূলক বৈশ্বিক নীতি। অস্ত্র যখন ব্যবসা, মানবতা তখন ক্ষতিগ্রস্ত পারমাণবিক ও সামরিক অস্ত্র এখন একটি বহুজাতিক ব্যবসা। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক রাষ্ট্র এই অস্ত্র উৎপাদন, বিক্রি এবং সরবরাহে সরাসরি জড়িত। এই বাজার টিকিয়ে রাখতে তাদের প্রয়োজন দ্বন্দ্ব, উত্তেজনা এবং যুদ্ধ। পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর মানবতা, নৈতিকতা কিংবা শান্তির বার্তা এগুলো একধরনের রাজনৈতিক চাপাবাজি অর্থাৎধান্ধাবাজির পর্যায় পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিচারিতা: ভাষা বদলায়, নীতি বদলায় না যুক্তরাষ্ট্র যখন কোনো মিত্র রাষ্ট্র অন্যদের ওপর আগ্রাসন চালায়, তখন

তা নীরব থাকে বা ন্যায়িকতা খুঁজে বের করে। কিন্তু যখনই কেউ তাদের নিয়ন্ত্রণ বা ইচ্ছার বাইরে যায়, তখন সেগুলোকেই ‘সন্ত্রাস’, ‘বিপদ’, কিংবা ‘বিশ্বশান্তির হুমকি’ হিসেবে চিহ্নিত করে। এক হাতে পারমাণবিক অস্ত্র রাখে, অন্য হাতে দেয় শিক্ষা ও নীতির বানী, এই দ্বিচারিতায় বিশ্ব বিভ্রান্ত নয়, বরং ক্ষুব্ধ। শান্তির জন্য চাই পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব আমরা এমন এক পৃথিবী চাই, যেখানে পরমাণু নয়, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ন্যায় হবে নিরাপত্তার মাপকাঠি। যেখানে কেউ কারো ওপর ভয় দেখিয়ে টিকে থাকবে না। এই অস্ত্র যে কেউ ব্যবহার করুক না কেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ মানুষ, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এবং পৃথিবীর ভবিষ্যৎ। শেষ কথা: বিশ্বকে নিরাপদ রাখতে হলে, কেবল পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ কমানো নয়,

নেতৃত্বের নীতিগত বিবর্তন দরকার। আর জাতিসংঘের বিষয় কি আর বলব, এ বিশ্ব সংস্থা থাকা আর না থাকা সমান কথা। যে মহাসচিব ঠুটো জগন্নাথ তার পদে থাকা আর না থাকা কি যায় আসে। তবু আশা ও বিশ্বাস এখন দরকার এক স্বর বিশ্ববিবেকের উচ্চারণ:হোক “যথেষ্ট হয়েছে, এবার শান্তির দিকে ফিরি।”

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
সত্যের পক্ষে দুগ্ধপোষ্য শিশুর সাক্ষ্য দিনভর খেলা, ফুটবলপ্রেমীদের আবার রাত না জেগে উপায় নেই দেশে ফিরেছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ইলিয়াস কাঞ্চনের মৃত্যুর খবর গুজব, বিভ্রান্ত না হবার আহ্বান ছেলে জয়ের ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া মাচাদো শনিবার ভোরে দেশে ফিরছেন শহিদুল আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হঠাৎ টর্নেডোর আঘাত অক্টোবরে ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড়, হতে পারে বন্যাও ভারতের ৯ প্রতিষ্ঠান ও ৮ ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা গাজায় প্রবেশ করেছে ১৫৩টি ত্রাণবাহী ট্রাক: রেড ক্রিসেন্ট সাভারে কোটি টাকার বিষ্ণুমূর্তিসহ গ্রেপ্তার ১ ১০ মিনিটে মানসিক চাপ কমাতে পারে ৬ অভ্যাস বাংলাদেশের জন্য দুঃসংবাদ: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বড় ছাঁটাই আসছে বাজারে সবজির সেঞ্চুরি: ১০০ টাকার নিচে মিলছে না কিছুই রাজনৈতিক অস্থিরতায় রপ্তানিতে ধাক্কা, বিনিয়োগে স্থবিরতা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি: ভয়াবহ সংকটে অর্থনীতি পুলিশি বাধায় চারুকলার পর গেণ্ডারিয়াতেও পণ্ড ‘শরৎ উৎসব’: ১৯ বছরের ধারাবাহিকতায় ছেদ তালেবান মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর কাবুলে দূতাবাস চালুর ঘোষণা ভারতের, ভারতকে ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ আখ্যা আওয়ামী লীগ কি সশস্ত্র সংগ্রাম করবে? কারাবন্দীদের উপর নির্যাতন: সংবিধান ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন দেশের সব বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি বেবিচকের