দেড় কোটি অভিবাসী গ্রেপ্তার ও বহিষ্কারের লক্ষ্য ট্রাম্পের – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১৭ জুন, ২০২৫
     ১২:০০ অপরাহ্ণ

আরও খবর

বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিশ্চিতের আহ্বান ব্রিটিশ এমপি বব ব্ল্যাকম্যানের

দিল্লির লাল কেল্লায় বিস্ফোরণ: তদন্ত চলছে, সীমান্তে সতর্ক ভারতীয় বাহিনী

দিল্লি হামলাকে ‘ষড়যন্ত্র’ আখ্যা মোদির, তদন্তে সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রয়োগ ভারতীয় পুলিশের

যে কোনো দেশের পারমাণবিক পরীক্ষা হলে রাশিয়া ‘সমানভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে’: ল্যাভরভ

পাকিস্তানে টিটিপির হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে আরেক বাংলাদেশী জঙ্গির মৃত্যু

বাংলাদেশকে ঘাঁটি করে ভারতে হামলার ছক হাফিজ সইদের, কাশ্মীরের নামে মহিলা আত্মঘাতী বাহিনী গড়ছে জৈশ

রাশিয়ার গচ্ছিত সম্পদ জব্দে বেলজিয়ামকে রাজি করাতে ব্যর্থ ইইউ, মস্কোর হুঁশিয়ারি জারি

দেড় কোটি অভিবাসী গ্রেপ্তার ও বহিষ্কারের লক্ষ্য ট্রাম্পের

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৭ জুন, ২০২৫ | ১২:০০ 51 ভিউ
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণবহিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখন পর্যন্ত তিনি যা বাস্তবায়ন করেছেন, তা হলো অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ সংস্থা (আইসিই) দ্বারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অভিবাসীদের ব্যাপকহারে গ্রেপ্তারের এক নাটকীয় উল্লম্ফন। তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অভ্যন্তরীণ অভিযান দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে, যার ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইমিগ্রেশন আটক কেন্দ্রগুলো ভর্তি হয়ে গেছে। কর্মস্থল, আদালত ও বাসাবাড়িতে আইসিই এজেন্টদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় গত সপ্তাহে লস অ্যাঞ্জেলেসে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়। রাজ্য ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের আপত্তি উপেক্ষা করে ট্রাম্প ক্যালিফোর্নিয়ায় ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করলে এই বিক্ষোভ আরও উত্তপ্ত হয় এবং সহিংসতায় রূপ নেয়। ট্রাম্প প্রশাসনের ত্বরান্বিত আইসিই গ্রেপ্তারের

ফলে এখন বহিষ্কারের সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। বাইডেন আমলে যেখানে বহিষ্কারের মোট সংখ্যা ছিল স্থিতিশীল, এখন সেই সংখ্যা হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ট্রাম্প আমলে আইসিই গ্রেপ্তারে ব্যাপক বৃদ্ধি ট্রাম্পের প্রথম ছয় মাসে দক্ষিণ সীমান্তে গ্রেপ্তারের সংখ্যা হ্রাস পায়। এর পরিবর্তে, ইমিগ্রেশন আটক কেন্দ্রে এখন যারা রয়েছেন, তাদের বেশিরভাগই আইসিই কর্তৃক গ্রেপ্তার হওয়া অভিবাসী। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আটক ব্যক্তির সংখ্যা ২৫% বেড়েছে। এই প্রবণতা বাইডেন প্রশাসনের বিপরীত। বাইডেন আমলে অধিকাংশ আটককৃত ব্যক্তি ছিলেন সীমান্ত পেরিয়ে আসা, যাদের কাস্টমস ও বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) গ্রেপ্তার করেছিল। এর মাধ্যমে দ্রুত বিচার ও ফেরত পাঠানোর পথ তৈরি হয়েছিল। তবে বর্তমানে

সীমান্ত অতিক্রমকারীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় এই পরিবর্তন ঘটেছে। ট্রাম্পের সীমান্ত উপদেষ্টা টম হোম্যান সম্প্রতি টাইমকে বলেন, তিনি চান আইসিই-এর বন্দী রাখার স্থান ৫০,০০০ থেকে দ্বিগুণ করে ১ লাখ করা হোক, যাতে গ্রেপ্তার ও বহিষ্কারের গতি আরও বাড়ানো যায়। বহিষ্কারের হার এখন ঊর্ধ্বমুখী ট্রাম্প টাইমকে বলেছিলেন, তিনি ১.৫ কোটি অভিবাসীকে বহিষ্কারের লক্ষ্য নিয়েছেন এবং প্রয়োজনে সেনাবাহিনী ব্যবহার করতেও রাজি, যদিও পোস কমিটিটাস আইন অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে সেনাবাহিনীর ব্যবহার সীমিত। অক্টোবরে শেষ হওয়া ২০২৪ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র ২৭১,৪৮৪ জনকে বহিষ্কার করেছে। এপ্রিলের শেষ নাগাদ, প্রশাসনের মতে ১,৩৯,০০০ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কম। তবে জুনে আপডেট দেওয়া তথ্যে দেখা যায়, এই সংখ্যা ২,০৭,০০০ ছাড়িয়ে গেছে—যা

বহিষ্কারের গতিতে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি নির্দেশ করে। মে মাসে আইসিই বহিষ্কারের ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়িয়েছে, যা আরও ত্বরান্বিত বহিষ্কারের ইঙ্গিত দেয়। ট্রাম্প প্রশাসন কংগ্রেসে নতুন আইন 'বিগ বিউটিফুল বিল'- এর জন্য চাপ দিচ্ছে, যেখানে অভিবাসন ও সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য ১৬৮ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে—যা বর্তমান বরাদ্দ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি। বহিষ্কারের পথে বাধা ও বিতর্ক বহিষ্কৃতদের পাঠানোর দেশ খুঁজে পাওয়াও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। ট্রাম্প প্রশাসন বিতর্কিতভাবে এল সালভাদরের বেরুচটিগেট একটি কারাগার ও গুয়ানতানামো বে সামরিক ঘাঁটিতে অভিবাসীদের পাঠাচ্ছে এবং কিছু ক্ষেত্রে পানামা ও দক্ষিণ সুদানের ফ্লাইটেও তাদের তুলে দিচ্ছে। হোম্যান জানিয়েছেন, প্রশাসন আরও তিনটি দেশের সঙ্গে আলোচনা করছে। যেহেতু বহিষ্কারের গতি

আশানুরূপ নয়, তাই আইসিই ও অন্যান্য সংস্থার ওপর আরও গ্রেপ্তার বাড়ানোর চাপ তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও, ট্রাম্প 'স্বেচ্ছা বহিষ্কার' প্রচার চালাচ্ছেন, যেখানে অভিবাসীদের ১,০০০ ডলার নগদ এবং ফ্রি ফ্লাইট অফার করা হচ্ছে, যদি তারা নিজের ইচ্ছায় ফিরে যান। কিন্তু এত প্রলোভনেও ট্রাম্প যেভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেই হারে মানুষ দেশ ছাড়ছে না। মাইগ্রেশন পলিসি ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ফেলো মুজাফ্‌ফর চিশতী বলেন, এই 'স্বেচ্ছা বহিষ্কার' প্রচার আমেরিকার ইতিহাসে নজিরবিহীন। তিনি বলেন, 'যখন তারা বুঝতে পারল যে দ্রুত বহিষ্কার এত সহজ নয়, তখনই তারা বিপুল পরিসরে স্বেচ্ছা বহিষ্কারের ধারণা বিক্রি করতে শুরু করল—যেটা সম্ভবত অতীতে কখনো ঘটেনি।'

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বাংলাদেশি এমপিদের ‘অধিকার লঙ্ঘন হওয়ায়’ আইপিইউয়ের উদ্বেগ লকডাউন কর্মসূচি সফল ও সার্থক করায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার বিবৃতি উগ্রবাদী স্লোগানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দিল শিবির-ইনকিলাব মঞ্চ আওয়ামী লীগকে ফাঁসাতে মেট্রো রেলে সম্ভাব্য নাশকতার পরিকল্পনার গোপন তথ্য ফাঁস ঢাকা লকডাউন: গণপরিবহন সংকটে যাত্রীদের ভোগান্তি রামপুরা থানা যুবলীগের আহ্বায়ক রইজ উদ্দিন আটক – রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ যুবলীগের, ট্রাইব্যুনালকে ব্যবহার করে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণের প্রতিবাদে ইউনুসের শাসনামলে গণতন্ত্রের নামে সহিংসতা! আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন, রাষ্ট্রের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন আটক স্কুলছাত্রের বিজয় চিহ্ন: ‘দাবায়া রাখতে পারবা না’ রাজপথের আওয়ামী লীগ অধিক শক্তিশালী ও জনপ্রিয় : রিচি সোলায়মান ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিতে ভীত ইউনুস সরকার: রাজধানীতে ধরপাকড়, গ্রেফতার আতঙ্কে সাধারণ মানুষ ‘জয় বাংলা’ স্লোগান শুনে আতঙ্কগ্রস্ত এনসিপির মিছিল লীগ আহূত লকডাউনে, পেছানো হলো জাপান অ্যাম্বাসির অনুষ্ঠান ইউনূসের ‘জঙ্গি শাসনের’ বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: শেখ হাসিনা পিটিআইকে শেখ হাসিনা: ‘আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার চাই, কিন্তু ইউনূস সরকারের সৎ সাহস নেই, তারা ভয় পাচ্ছে’ বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিশ্চিতের আহ্বান ব্রিটিশ এমপি বব ব্ল্যাকম্যানের লকডাউন শুরুর আগেই বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির ষড়যন্ত্রে অটো সফল হচ্ছে লকডাউন “ইউনূসের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে”: দেশব্যাপী কর্মসূচির ডাক দিলেন শেখ হাসিনা ‘সরকার আর বেশিদিন টিকবে না’, সবাইকে ঢাকা অবরোধ পালনের আহ্বান সজীব ওয়াজেদের আগুনের ঘটনায় স্থায়ী বহিষ্কার ছাত্রদল নেতা