
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আনার বার্তা গণতন্ত্রের জন্য সুসংবাদ: মির্জা ফখরুল

‘জুলাই সনদ’ কার্যকরের আগে নির্বাচনের তারিখ জনগণ মানবে না: এনসিপি

নুরের দাবির বিষয়ে যা বলছেন বিএনপি নেতারা

এই প্রশাসন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব: নুর

গলাচিপায় ১৪৪ ধারা, সংবাদ সম্মেলন ডাকলেন নূর

বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের উত্তেজনায় ২ উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি

হাতিয়ায় বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
কারাগারে মৃত্যুর মিছিল: ঈদের দিন কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতা আলী আজগরের মৃত্যু

ঢাকার কেরানীগঞ্জে অবস্থিত কেন্দ্রীয় কারাগারে ঈদুল আযহার দিন (৭ই জুন) মো. আলী আজগর নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা মৃত্যুবরণ করেছেন।
তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের বউবাজার ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার মৃত্যু ঘিরে পরিবার ও সহকর্মীদের মধ্যে গভীর শোকের পাশাপাশি ক্ষোভও ছড়িয়ে পড়েছে।
পরিবারের দাবি, আলী আজগরকে রিমান্ডে নেওয়ার পর নির্মম নির্যাতন করা হয়েছিল এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায়ও কারা কর্তৃপক্ষ যথাযথ চিকিৎসা না দিয়ে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।
তাদের অভিযোগ, এটি নিছক অবহেলা নয়—বরং পরিকল্পিত হত্যার অংশ।
কারা কর্তৃপক্ষে দাবি, আলী আজগরের মৃত্যু হয়েছে হার্ট অ্যাটাকে। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা এই ব্যাখ্যা মেনে নিতে রাজি নন।
আলী আজগরের বড় ভাই বলেন,
“রিমান্ডে নেওয়ার পর থেকেই নির্যাতনে ওর শরীর ভেঙে পড়েছিল। আমরা বারবার চিকিৎসার অনুরোধ করেছি, কেউ শোনেনি। ওর শরীর ছিল সুস্থ, এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয়।” আলী আজগর ইউনূস সরকারের আমলে দ্বিতীয়বারের মতো গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্দি ছিলেন। প্রথমবার জামিনে মুক্তি পেলেও, এবার তিনি জীবিত ফিরতে পারলেন না। এই মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ৫ই আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগের ২৩ জন নেতাকর্মী কারা হেফাজতে প্রাণ হারালেন। প্রত্যেক মৃত্যুর ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠেছে নির্যাতন ও চিকিৎসাবিহীন মৃত্যুর বিষয়ে, যদিও কারা কর্তৃপক্ষ প্রতিবারই ‘হার্ট অ্যাটাক’ বা ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’র ব্যাখ্যা দিয়েছে। আলী আজগরের মৃত্যুর ঘটনায় দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় পর্যায়ে ক্ষোভ দানা বাঁধছে। বউবাজার
ইউনিটের এক নেতা বলেন, “রাজনীতি করতে গিয়ে এখন জীবন দিতে হচ্ছে। অথচ আমাদের বাঁচাতে কেউ নেই। শুধু কাঁদার মতো পরিবার রেখে যেতে হচ্ছে।” এই মৃত্যু আরও একবার প্রশ্ন তোলে: কারাগারে বন্দিদের নিরাপত্তা, চিকিৎসা ও মানবাধিকার কি রয়ে গেছে কেবল নীতিগত কাগজে? নাকি এসব মৃত্যু এক ধরনের নিরব রাজনৈতিক প্রতিহিংসারই প্রতিফলন? আলী আজগরের পরিবার সেই প্রশ্নের উত্তর চায়—যার শেষ কোথায়, কেউ জানে না।
“রিমান্ডে নেওয়ার পর থেকেই নির্যাতনে ওর শরীর ভেঙে পড়েছিল। আমরা বারবার চিকিৎসার অনুরোধ করেছি, কেউ শোনেনি। ওর শরীর ছিল সুস্থ, এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয়।” আলী আজগর ইউনূস সরকারের আমলে দ্বিতীয়বারের মতো গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্দি ছিলেন। প্রথমবার জামিনে মুক্তি পেলেও, এবার তিনি জীবিত ফিরতে পারলেন না। এই মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ৫ই আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগের ২৩ জন নেতাকর্মী কারা হেফাজতে প্রাণ হারালেন। প্রত্যেক মৃত্যুর ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠেছে নির্যাতন ও চিকিৎসাবিহীন মৃত্যুর বিষয়ে, যদিও কারা কর্তৃপক্ষ প্রতিবারই ‘হার্ট অ্যাটাক’ বা ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’র ব্যাখ্যা দিয়েছে। আলী আজগরের মৃত্যুর ঘটনায় দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় পর্যায়ে ক্ষোভ দানা বাঁধছে। বউবাজার
ইউনিটের এক নেতা বলেন, “রাজনীতি করতে গিয়ে এখন জীবন দিতে হচ্ছে। অথচ আমাদের বাঁচাতে কেউ নেই। শুধু কাঁদার মতো পরিবার রেখে যেতে হচ্ছে।” এই মৃত্যু আরও একবার প্রশ্ন তোলে: কারাগারে বন্দিদের নিরাপত্তা, চিকিৎসা ও মানবাধিকার কি রয়ে গেছে কেবল নীতিগত কাগজে? নাকি এসব মৃত্যু এক ধরনের নিরব রাজনৈতিক প্রতিহিংসারই প্রতিফলন? আলী আজগরের পরিবার সেই প্রশ্নের উত্তর চায়—যার শেষ কোথায়, কেউ জানে না।