চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ – ইউ এস বাংলা নিউজ




চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৯ মে, ২০২৫ | ৫:৫৪ 44 ভিউ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুরে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। আগুনে একতলা ভবনের চারটি কক্ষের আসবাবসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেনের বাড়িতে এ হামলা হয়। মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন গুণবতী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তাঁর স্ত্রী রাশেদা আখতার উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং কুমিল্লা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি। তাঁরা কেউ ওই বাড়িতে থাকেন না। আলী হোসেন দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে কুমিল্লা শহরে বসবাস করছেন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জামশেদ আলম নামের এক ব্যক্তি আলী হোসেনের গ্রামের বাড়িটি দেখভাল করেন। জামশেদ তাঁর তিন সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে

ওই বাড়িতে থাকেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার পর দুর্বৃত্তরা বাড়িটির দরজা-জানালায় ভাঙচুর শুরু করে। এক পর্যায়ে তাঁরা ঘরের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। পরে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় জামশেদ ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানের চিৎকারে গ্রামের লোকজন ছুটে এসে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়। বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক জামশেদ আলম বলেন, ‘কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। কোনো রকমে বাচ্চাগুলোর প্রাণ রক্ষা করছি। আমাদের চিৎকারে আশপাশের মানুষ এসে আগুন নেভান।’ আলী হোসেনের স্ত্রী রাশেদা আখতারের বলেন, ‘আমার স্বামী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং নির্বাচিত সাবেক জনপ্রতিনিধি। ২০১৫ সালের পর থেকেই তিনি রাজনীতির বাইরে। তাঁর ব্রেইন হেমারেজ, তিনি

মুভমেন্ট করতে পারেন না। এখন এই সময়ে এসে কে বা কারা এই কাজ করলো, কিছুই বুঝতে পারছি না।’ এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘হামলা ও আগুন দেওয়ার খবর পেয়ে বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে কারা হামলা চালিয়েছে, সেটা এখনো জানা যায়নি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
জন্মদিনে ‘ধুরন্ধর’ রূপে দেখা দিলেন রণবীর গাজায় ইসরাইলি হামলায় প্রাণ গেল আরও ৮২ ফিলিস্তিনির টেক্সাসে বন্যায় মৃত বেড়ে ৭৮, নিখোঁজ ৪১ আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না ঢাকার যেসব এলাকায় লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা ইলন মাস্ককে রাজনীতির বিষয়ে যে পরামর্শ দিলেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী হামাস ক্ষমতায় থাকলে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হবেন না ইসরাইল: নেতানিয়াহু ইসরাইলকে গণহত্যাকারী আখ্যা দিয়ে ব্রিকস সম্মেলন শুরু করলেন লুলা গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত ৫ বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড় নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ৩২ নম্বর ভাঙার ঘটনাকে বীভৎস মববাজি বললেন রুমিন ফারহানা খোঁজ মিলল সেই ডিজিএমের, কোথায় ছিলেন তিনি সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।