
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

পুতিন কি ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্পকে নিয়ে খেলছেন?

৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির উপায় খুঁজছে ইউক্রেন ও মিত্ররা

কাশ্মীরের উরি সীমান্তে উত্তেজনা: নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানীয়রা

লাহোরের মার্কিন কনস্যুলেট কর্মীদের ‘নিরাপদ স্থানে আশ্রয়ের’ নির্দেশ

আজ সকালেও লাহোরে বিস্ফোরণের শব্দ, ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত: আল-জাজিরা

বিভেদ সৃষ্টিকারী শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন

ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাত খুবই ভয়াবহ, তারা থামুক: ট্রাম্প
ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে সর্বাত্মক যুদ্ধ

পাকিস্তানে ভারতের হামলাকে ঘিরে পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। হামলার জেরে পাকিস্তান সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে তীব্র হয়েছে যে কোনো সময় পাল্টা হামলার শঙ্কা। সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ এখন ‘সর্বাত্মক যুদ্ধের’ দ্বারপ্রান্তে।
গতকাল বুধবার সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানে হামলাকে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছে নয়াদিল্লি। গত ২২ এপ্রিলের ওই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দোষারোপ করে আসছে তারা। অবশ্য পাকিস্তান বলছে, তারা এ জন্য দায়ী নয়। তারা নিজেরাই সন্ত্রাসবাদের ভুক্তভোগী। এ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে মঙ্গলবার গভীর রাতে ছয়টি পৃথক
স্থানে হামলা চালায় ভারত। সাম্প্রতিক সময়ে এটা বিরল ঘটনা। এর আগে ২০১৬ সালে ভারত আজাদ কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালালেও এত ব্যাপক পরিসরে কোনো হামলা হয়নি। কাশ্মীর নিয়ে এর আগেও দুই দেশ সংঘাতে জড়িয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল ১৯৯৯ সালের সংঘাত। তখন যুদ্ধে দুই দেশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হয়। তবে সে সময়ের সংঘাত সর্বাত্মক যুদ্ধে পৌঁছায়নি। ভারত হামলা চালানোর পর দুই দেশের ডি-ফ্যাক্টো সীমান্তে তীব্র গোলাবর্ষণ শুরু হয়। এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পেহেলগামে হামলাকারীদের ‘পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত’ খোঁজার অঙ্গীকার করেছিলেন। এবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বললেন, ভারতে হামলার অধিকার তাদের রয়েছে। এ উত্তেজনা নিয়ে দ্বৈত মন্তব্য
দেখা যাচ্ছে বিশ্লেষকদের মধ্যে। ওয়াশিংটনভিত্তিক হাডসন ইনস্টিটিউটের ইন্ডিয়া ইনিশিয়েটিভের পরিচালক অপর্ণা পাণ্ডে বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এ উত্তেজনার চিত্র আমরা আগেও দেখেছি। কয়েক বছর অন্তর ভারতের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী হামলা হয় এবং দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে। প্রতিবারই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এগিয়ে আসে এবং উত্তেজনার প্রশমন ঘটে। এ পুনরাবৃত্তি একটা চক্রের মতো, বলা যায়।’ সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের রিসার্চ ফেলো অমিত রঞ্জন বলেন, ১৯৯৯ সালে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘটিত কার্গিল যুদ্ধ বেশির ভাগই পাহাড়ি এলাকায় সীমাবদ্ধ ছিল। তাই বেসামরিক লোক কম হতাহত হয়। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন মনে হচ্ছে। যদি দুই দেশের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র-বৃষ্টি শুরু হয়, তাহলে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে
পারে। হামলায় বেসামরিক লোক হতাহত হলে যে কারও পক্ষে প্রতিশোধ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান মনে করেন, পাকিস্তানে ভারতের সামরিক আক্রমণ ২০১৯ সালের তুলনায় বড় পরিসরে হয়েছে। এবার পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়াও বড় পরিসরে জানানো হয়েছে, যা আগের মাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। অবশ্য ভারতের এই হামলাকে ‘লজ্জাজনক’ বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের হামলার পর শাহবাজ শরিফ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন, পাকিস্তানের পাঁচটি স্থানে কাপুরুষোচিত আক্রমণ চালিয়েছে ভারত। এ ‘জঘন্য আগ্রাসনের’ তাদের শাস্তি অবশ্যই পেতে হবে। পাকিস্তান হামলার চূড়ান্ত জবাব দেওয়ার পূর্ণ অধিকার সংরক্ষণ করে। আক্রান্ত এলাকাগুলো সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ শিবিরি ছিল– ভারতের এ দাবি অস্বীকার করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তিনি
বলেন, হামলায় বেসামরিক লোকেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারত এখান থেকে পিছু হটলে আমরা প্রতিক্রিয়া জানানো বন্ধ করব। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সংঘাতের গতিপথ পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ার মাত্রা এবং প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। র্যান্ড করপোরেশনের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ডেরেক গ্রসম্যান এবিসিকে বলেন, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা সৃষ্টির গুরুত্বপূর্ণ কারণ বিমান হামলা। এ উত্তেজনা চরম পর্যায়ে গেলে তা পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে পরিচালিত হতে পারে। তিনি বলেন, পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। তারা প্রতিশোধস্পৃহায় অটল থাকলে পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাকর হতে পারে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাতে না যায়, সে ব্যাপারে উভয় পক্ষই সতর্ক। ডেরেক গ্রসম্যান বলেন, এ সংঘাতে বৃহৎ শক্তিগুলো জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কম। রাশিয়ার সহায়তা থেকে
ভারত উপকৃত হচ্ছে। ক্রেমলিন সম্প্রতি নতুন ক্ষেপণাস্ত্রও সরবরাহ করেছে। এমনকি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ভারতের শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে এবং ওয়াশিংটন ভারতকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আর পাকিস্তানের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ কৌশলগত অংশীদার হলো চীন। মুডিস রেটিংও সতর্ক করে দিয়েছে, ভারতের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বিপরীতে ভারতের জন্য এমন নেতিবাচক কোনো পূর্বাভাস নেই।
স্থানে হামলা চালায় ভারত। সাম্প্রতিক সময়ে এটা বিরল ঘটনা। এর আগে ২০১৬ সালে ভারত আজাদ কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালালেও এত ব্যাপক পরিসরে কোনো হামলা হয়নি। কাশ্মীর নিয়ে এর আগেও দুই দেশ সংঘাতে জড়িয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল ১৯৯৯ সালের সংঘাত। তখন যুদ্ধে দুই দেশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হয়। তবে সে সময়ের সংঘাত সর্বাত্মক যুদ্ধে পৌঁছায়নি। ভারত হামলা চালানোর পর দুই দেশের ডি-ফ্যাক্টো সীমান্তে তীব্র গোলাবর্ষণ শুরু হয়। এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পেহেলগামে হামলাকারীদের ‘পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত’ খোঁজার অঙ্গীকার করেছিলেন। এবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বললেন, ভারতে হামলার অধিকার তাদের রয়েছে। এ উত্তেজনা নিয়ে দ্বৈত মন্তব্য
দেখা যাচ্ছে বিশ্লেষকদের মধ্যে। ওয়াশিংটনভিত্তিক হাডসন ইনস্টিটিউটের ইন্ডিয়া ইনিশিয়েটিভের পরিচালক অপর্ণা পাণ্ডে বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এ উত্তেজনার চিত্র আমরা আগেও দেখেছি। কয়েক বছর অন্তর ভারতের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী হামলা হয় এবং দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে। প্রতিবারই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এগিয়ে আসে এবং উত্তেজনার প্রশমন ঘটে। এ পুনরাবৃত্তি একটা চক্রের মতো, বলা যায়।’ সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের রিসার্চ ফেলো অমিত রঞ্জন বলেন, ১৯৯৯ সালে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘটিত কার্গিল যুদ্ধ বেশির ভাগই পাহাড়ি এলাকায় সীমাবদ্ধ ছিল। তাই বেসামরিক লোক কম হতাহত হয়। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন মনে হচ্ছে। যদি দুই দেশের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র-বৃষ্টি শুরু হয়, তাহলে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে
পারে। হামলায় বেসামরিক লোক হতাহত হলে যে কারও পক্ষে প্রতিশোধ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান মনে করেন, পাকিস্তানে ভারতের সামরিক আক্রমণ ২০১৯ সালের তুলনায় বড় পরিসরে হয়েছে। এবার পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়াও বড় পরিসরে জানানো হয়েছে, যা আগের মাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। অবশ্য ভারতের এই হামলাকে ‘লজ্জাজনক’ বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের হামলার পর শাহবাজ শরিফ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন, পাকিস্তানের পাঁচটি স্থানে কাপুরুষোচিত আক্রমণ চালিয়েছে ভারত। এ ‘জঘন্য আগ্রাসনের’ তাদের শাস্তি অবশ্যই পেতে হবে। পাকিস্তান হামলার চূড়ান্ত জবাব দেওয়ার পূর্ণ অধিকার সংরক্ষণ করে। আক্রান্ত এলাকাগুলো সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ শিবিরি ছিল– ভারতের এ দাবি অস্বীকার করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তিনি
বলেন, হামলায় বেসামরিক লোকেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারত এখান থেকে পিছু হটলে আমরা প্রতিক্রিয়া জানানো বন্ধ করব। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সংঘাতের গতিপথ পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ার মাত্রা এবং প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। র্যান্ড করপোরেশনের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ডেরেক গ্রসম্যান এবিসিকে বলেন, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা সৃষ্টির গুরুত্বপূর্ণ কারণ বিমান হামলা। এ উত্তেজনা চরম পর্যায়ে গেলে তা পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে পরিচালিত হতে পারে। তিনি বলেন, পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। তারা প্রতিশোধস্পৃহায় অটল থাকলে পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাকর হতে পারে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাতে না যায়, সে ব্যাপারে উভয় পক্ষই সতর্ক। ডেরেক গ্রসম্যান বলেন, এ সংঘাতে বৃহৎ শক্তিগুলো জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কম। রাশিয়ার সহায়তা থেকে
ভারত উপকৃত হচ্ছে। ক্রেমলিন সম্প্রতি নতুন ক্ষেপণাস্ত্রও সরবরাহ করেছে। এমনকি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ভারতের শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে এবং ওয়াশিংটন ভারতকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আর পাকিস্তানের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ কৌশলগত অংশীদার হলো চীন। মুডিস রেটিংও সতর্ক করে দিয়েছে, ভারতের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বিপরীতে ভারতের জন্য এমন নেতিবাচক কোনো পূর্বাভাস নেই।