
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

পুতিন কি ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্পকে নিয়ে খেলছেন?

৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির উপায় খুঁজছে ইউক্রেন ও মিত্ররা

কাশ্মীরের উরি সীমান্তে উত্তেজনা: নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানীয়রা

লাহোরের মার্কিন কনস্যুলেট কর্মীদের ‘নিরাপদ স্থানে আশ্রয়ের’ নির্দেশ

আজ সকালেও লাহোরে বিস্ফোরণের শব্দ, ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত: আল-জাজিরা

ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে সর্বাত্মক যুদ্ধ

বিভেদ সৃষ্টিকারী শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন
ভারতের ৫টি ফাইটার জেট ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের, অবশেষে যা জানা গেল

পাকিস্তান ও পাক-শাসিত কাশ্মীরে গত মধ্যরাতের পর ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে ভারত যে সামরিক অভিযান চালিয়েছে তার জের ধরে ভারতের অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমানকে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে ইসলামাবাদ দাবি করেছে। তবে এই ঘটনার কোনো ছবি বা ভিডিও যেমন এখনো সামনে আসেনি, তেমনি ভারতের পক্ষ থেকেও বিষয়টি স্বীকার বা অস্বীকার কিছুই করা হয়নি– ফলে এই বক্তব্য নিয়ে বেশ অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে। খবর বিবিসি বাংলার।
ভূপাতিত হয়ে থাকলেও ঠিক কতগুলো বিমান সেই পরিণতির মুখে পড়েছে এবং কোথায় তা ঘটেছে– তা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
ইতোমধ্যে ভারতের প্রথম সারির সংবাদপত্র ‘দ্য হিন্দু’ এদিন সকালে জম্মু ও কাশ্মীরে তিনটি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত হওয়ার কথা রিপোর্ট
করলেও পরে সেই রিপোর্টটি তাদের পেজ থেকে তুলে নিয়েছে। মুছে দেওয়া হয়েছে এই সংক্রান্ত টুইট-টিও। ফলে বিমান ভূপাতিত হওয়ার দাবিকে ঘিরে জল্পনা যথারীতি আরও বেড়েছে। তবে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স বা সুপরিচিত সংবাদপত্র দ্য নিউইয়র্ক টাইমস একাধিক ভারতীয় বিমান ভূপাতিত হওয়ার খবর প্রকাশ করেছে – এবং তা থেকে এখনো সরে আসেনি। রয়টার্স ভারত-শাসিত কাশ্মীরে তিনটি এবং দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস ভারত ও ভারত-শাসিত কাশ্মীর মিলিয়ে অন্তত দুটি বিমান ধ্বংস হওয়ার কথা জানিয়েছে। এদিকে ভারতের সামরিক বাহিনীর সূত্রকে উদ্ধৃত করে বুধবার দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অপারেশন সিন্দুরে অংশ নেওয়া ভারতের সব বৈমানিক (পাইলট) নিরাপদ আছেন। পাইলটরা নিরাপদ থাকলেও বিমানগুলো সব নিরাপদ আছে কি না, ভারত সে
ব্যাপারে কিছু বলছে না কেন অনেকে সে প্রশ্নও তুলছেন। পাকিস্তান এ ব্যাপারে ঠিক কী বলেছে? ভারতের পাঁচটি জেট ফাইটার ভূপাতিত করার কথা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে প্রথম বলেন সে দেশের উপ-প্রধানমন্ত্রী তথা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইশাক দার। তবে তিনি তখন এর বেশি কিছু বিস্তারিত জানাননি – যদিও পরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগের (আইএসপিআর) মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী দাবি করেন এই পাঁচটি ভূপাতিত বিমানের মধ্যে তিনটি অত্যাধুনিক রাফাল, একটি সুখোই ও একটি মিগ-২৯। এরপর সন্ধ্যার দিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফও দেশটির পার্লামেন্টে জানান, তার দেশের নিরাপত্তা বাহিনী গুলি করে পাঁচটি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করেছে। তিনি বলেন, এর মধ্যে দুটি কাশ্মীরে এবং একটি ভারতের ভাতিন্ডায় ভূপাতিত হয়েছে। পার্লামেন্টে শেহবাজ
শরীফ আরো দাবি করেন, ভারত গত রাতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে আক্রমণ চালিয়েছিল যেখানে তাদের ৮০টি বিমান অংশ নেয়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিধ্বস্ত ভারতীয় বিমানের মধ্যে তিনটি রাফাল বিমানও ছিল। ভারত তার রাফাল বিমানের জন্য 'খুবই গর্বিত' বলেও তিনি উল্লেখ করেন। শেহবাজ শরীফ বলেন, ‘পাকিস্তান ভারতের পরিকল্পনা সম্পর্কে আগে থেকেই অবগত ছিল। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী প্রস্তুত ছিল যে ভারতের বিমান কখন উড়বে এবং কখন তারা সেগুলো তুলে সমুদ্রে ফেলে দেবে!’ ভারতের নীরবতা, দ্য হিন্দুর রিপোর্ট ‘গায়েব’ ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে বুধবার সকালে ভারতের পক্ষ থেকে দিল্লিতে যে সাংবাদিক বৈঠক করা হয় তাতে এই বিমান ভূপাতিত হওয়ার দাবি কিংবা ভারতের দিকের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কোনো মন্তব্যই করা হয়নি আসলে
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি ও সামরিক বাহিনীর দু'জন নারী কর্মকর্তার করা ওই যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে আসলে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার কোনো সুযোগই ছিল না। বিকালের দিকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এই অভিযান নিয়ে যে বিবৃতি দেন, তাতেও এই প্রসঙ্গটির কোনো উল্লেখ ছিল না। তবে এরই মধ্যে ভারতের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় সংবাদপত্র ‘দ্য হিন্দু’ তাদের একটি খবরে জানায় – জম্মু ও কাশ্মীরের তিনটি সেক্টর- আখনুর, রামবান ও পামপোরে তিনটি ভারতীয় জেট বিধ্বস্ত হয়েছে। এই খবরটির লিংক দ্য হিন্দুর অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্টও করা হয়। ইতোমধ্যে ভারতশাসিত কাশ্মীরে বিবিসি উর্দুর সংবাদদাতা রিয়াজ মাসরুর পুলওয়ামায় এমন একটি জিনিস দেখতে পান, যেটি একটি ভেঙে পড়া যুদ্ধবিমানের অংশ বলে
ধারণা করা হচ্ছিল। বুলডোজারে করে সেই অংশটি অবশ্য দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় – যে ছবি তিনি নিজেও রেকর্ড করেন। এদিকে দ্য হিন্দুর রিপোর্টটি কিছুক্ষণ পরেই রহস্যজনকভাবে তাদের সাইট থেকে অন্তর্হিত হয়ে যায়। পত্রিকাটির পক্ষ থেকে এর কোনও ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়নি, মুছে ফেলা হয় টুইট-টিও। রয়টার্স, নিউ ইয়র্ক টাইমসের বক্তব্য আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স বুধবার সকালে জানায়, ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে তিনটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে। তারা স্থানীয় প্রশাসনিক সূত্রগুলোকে উদ্ধৃত করে এই খবর করে। তারা প্রতিবেদনের সঙ্গে একটি ভিডিও-ও প্রকাশ করে, যাতে কাশ্মীরের ওয়াইয়ান গ্রামে একটি বাড়ির বাগানে ফাইটার জেটের ভাঙাচোরা অংশবিশেষ মাটিতে পড়ে থাকতেও দেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সারির সংবাদপত্র বলে পরিচিত দ্য নিউ ইয়র্ক
টাইমস-ও বিষয়টি নিয়ে কিছুটা আলোকপাত করেছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "অভিযান চালানোর সময় ভারতীয় বাহিনীর যে বেশ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেই সাক্ষ্যপ্রমাণ কিন্তু ক্রমশ জোরালো হচ্ছে।" ‘ভারতের অন্তত দু'টি এয়ারক্র্যাফট ভারতে বা ভারত-শাসিত কাশ্মিরে ভূপাতিত হয়েছে – অন্তত তিনজন কর্মকর্তা, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে যা প্রতীয়মান হচ্ছে এবং যে প্রত্যক্ষদর্শীরা এই দুটি বিমানের ধ্বংসাবশেষ দেখেছেন তাদের বিবরণেও সে কথা জানা যাচ্ছে’, বলেছে পত্রিকাটি। দিল্লি ও ইসলামাবাদ থেকে নিউ ইয়র্ক টাইমসের সংবাদদাতারা ওই প্রতিবেদনে আরও জানাচ্ছেন, "একজন ভারতীয় কর্মকর্তা তিনটি বিমান ক্র্যাশ করার করার কথা নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি সেই সঙ্গে এটাও বলেছেন বিমানগুলো কেন ধ্বংস হলো সেই কারণ কিন্তু স্পষ্ট নয়।" ‘ভারতের কিছু নিউজ চ্যানেল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছে, অন্তত একটি বিমান ভারত-শাসিত কাশ্মীরের দিকে পড়েছে। দ্বিতীয় আর একটি বিমান ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য পাঞ্জাবে ভূপাতিত হয়েছে বলে স্থানীয় কিছু নিউজ রিপোর্ট ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ থেকে জানা যাচ্ছে।’ বিবিসি ভেরিফাই যা বলছে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে হামলায় অংশ নিয়েছে এমন বিমানের অংশ বিশেষ বা কিছু টুকরোর যেসব ভিডিও ফুটেজ দেখা গেছে সেগুলোর সত্যতা যাচাই করেছে বিবিসি। একটি ভিডিও মনে করা হচ্ছে ভারতশাসিত কাশ্মীরের পামপোর এলাকার। তাতে দেখা যাচ্ছে যে ফাইটার বিমানের ড্রপ ট্যাংকের অংশবিশেষ সরানো হচ্ছে। এ ধরনের ট্যাংক বিমান থেকেও ফেলে দেয়া হতে পারে। তাই এটি বিমান ভূপাতিত হওয়ার ইঙ্গিত দেয় না। আরেক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ড্রপ ট্যাংকের একটি টুকরো। এটিও সেই পামপোর এলাকার। জেনস ডিফেন্সের বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস এই নির্দিষ্ট ট্যাংক দাসওঁ মিরেজ ২০০০ মডেলের বিমানে বহন করা হয়। ভারতীয় বিমান বাহিনীর এ ধরনের বিমান আছে। আরেক ভিডিও পোস্টে ভারতের পাঞ্জাবের বাথিন্দার আকলিয়ান কালান গ্রামের কাছে একটি ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ দাবি করা হয়েছে। সাবেক ব্রিটিশ সামরিক কর্মকর্তা জাস্টিন ক্রাম্প এখন একটি গোয়েন্দা কোম্পানি পরিচালনা করেন। তিনি বলছেন ওই অংশ দেখে মনে হচ্ছে এগুলো আকাশ থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ফরাসী ক্ষেপণাস্ত্রের, যেটি মিরেজ ২০০০ ও রাফাল যুদ্ধ বিমানে ব্যবহৃত হয়। এই উভয় ধরনের বিমানই ভারতীয় বিমান বাহিনী ব্যবহার করে।
করলেও পরে সেই রিপোর্টটি তাদের পেজ থেকে তুলে নিয়েছে। মুছে দেওয়া হয়েছে এই সংক্রান্ত টুইট-টিও। ফলে বিমান ভূপাতিত হওয়ার দাবিকে ঘিরে জল্পনা যথারীতি আরও বেড়েছে। তবে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স বা সুপরিচিত সংবাদপত্র দ্য নিউইয়র্ক টাইমস একাধিক ভারতীয় বিমান ভূপাতিত হওয়ার খবর প্রকাশ করেছে – এবং তা থেকে এখনো সরে আসেনি। রয়টার্স ভারত-শাসিত কাশ্মীরে তিনটি এবং দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস ভারত ও ভারত-শাসিত কাশ্মীর মিলিয়ে অন্তত দুটি বিমান ধ্বংস হওয়ার কথা জানিয়েছে। এদিকে ভারতের সামরিক বাহিনীর সূত্রকে উদ্ধৃত করে বুধবার দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অপারেশন সিন্দুরে অংশ নেওয়া ভারতের সব বৈমানিক (পাইলট) নিরাপদ আছেন। পাইলটরা নিরাপদ থাকলেও বিমানগুলো সব নিরাপদ আছে কি না, ভারত সে
ব্যাপারে কিছু বলছে না কেন অনেকে সে প্রশ্নও তুলছেন। পাকিস্তান এ ব্যাপারে ঠিক কী বলেছে? ভারতের পাঁচটি জেট ফাইটার ভূপাতিত করার কথা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে প্রথম বলেন সে দেশের উপ-প্রধানমন্ত্রী তথা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইশাক দার। তবে তিনি তখন এর বেশি কিছু বিস্তারিত জানাননি – যদিও পরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগের (আইএসপিআর) মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী দাবি করেন এই পাঁচটি ভূপাতিত বিমানের মধ্যে তিনটি অত্যাধুনিক রাফাল, একটি সুখোই ও একটি মিগ-২৯। এরপর সন্ধ্যার দিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফও দেশটির পার্লামেন্টে জানান, তার দেশের নিরাপত্তা বাহিনী গুলি করে পাঁচটি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করেছে। তিনি বলেন, এর মধ্যে দুটি কাশ্মীরে এবং একটি ভারতের ভাতিন্ডায় ভূপাতিত হয়েছে। পার্লামেন্টে শেহবাজ
শরীফ আরো দাবি করেন, ভারত গত রাতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে আক্রমণ চালিয়েছিল যেখানে তাদের ৮০টি বিমান অংশ নেয়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিধ্বস্ত ভারতীয় বিমানের মধ্যে তিনটি রাফাল বিমানও ছিল। ভারত তার রাফাল বিমানের জন্য 'খুবই গর্বিত' বলেও তিনি উল্লেখ করেন। শেহবাজ শরীফ বলেন, ‘পাকিস্তান ভারতের পরিকল্পনা সম্পর্কে আগে থেকেই অবগত ছিল। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী প্রস্তুত ছিল যে ভারতের বিমান কখন উড়বে এবং কখন তারা সেগুলো তুলে সমুদ্রে ফেলে দেবে!’ ভারতের নীরবতা, দ্য হিন্দুর রিপোর্ট ‘গায়েব’ ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে বুধবার সকালে ভারতের পক্ষ থেকে দিল্লিতে যে সাংবাদিক বৈঠক করা হয় তাতে এই বিমান ভূপাতিত হওয়ার দাবি কিংবা ভারতের দিকের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কোনো মন্তব্যই করা হয়নি আসলে
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি ও সামরিক বাহিনীর দু'জন নারী কর্মকর্তার করা ওই যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে আসলে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার কোনো সুযোগই ছিল না। বিকালের দিকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এই অভিযান নিয়ে যে বিবৃতি দেন, তাতেও এই প্রসঙ্গটির কোনো উল্লেখ ছিল না। তবে এরই মধ্যে ভারতের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় সংবাদপত্র ‘দ্য হিন্দু’ তাদের একটি খবরে জানায় – জম্মু ও কাশ্মীরের তিনটি সেক্টর- আখনুর, রামবান ও পামপোরে তিনটি ভারতীয় জেট বিধ্বস্ত হয়েছে। এই খবরটির লিংক দ্য হিন্দুর অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্টও করা হয়। ইতোমধ্যে ভারতশাসিত কাশ্মীরে বিবিসি উর্দুর সংবাদদাতা রিয়াজ মাসরুর পুলওয়ামায় এমন একটি জিনিস দেখতে পান, যেটি একটি ভেঙে পড়া যুদ্ধবিমানের অংশ বলে
ধারণা করা হচ্ছিল। বুলডোজারে করে সেই অংশটি অবশ্য দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় – যে ছবি তিনি নিজেও রেকর্ড করেন। এদিকে দ্য হিন্দুর রিপোর্টটি কিছুক্ষণ পরেই রহস্যজনকভাবে তাদের সাইট থেকে অন্তর্হিত হয়ে যায়। পত্রিকাটির পক্ষ থেকে এর কোনও ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়নি, মুছে ফেলা হয় টুইট-টিও। রয়টার্স, নিউ ইয়র্ক টাইমসের বক্তব্য আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স বুধবার সকালে জানায়, ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে তিনটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে। তারা স্থানীয় প্রশাসনিক সূত্রগুলোকে উদ্ধৃত করে এই খবর করে। তারা প্রতিবেদনের সঙ্গে একটি ভিডিও-ও প্রকাশ করে, যাতে কাশ্মীরের ওয়াইয়ান গ্রামে একটি বাড়ির বাগানে ফাইটার জেটের ভাঙাচোরা অংশবিশেষ মাটিতে পড়ে থাকতেও দেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সারির সংবাদপত্র বলে পরিচিত দ্য নিউ ইয়র্ক
টাইমস-ও বিষয়টি নিয়ে কিছুটা আলোকপাত করেছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "অভিযান চালানোর সময় ভারতীয় বাহিনীর যে বেশ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেই সাক্ষ্যপ্রমাণ কিন্তু ক্রমশ জোরালো হচ্ছে।" ‘ভারতের অন্তত দু'টি এয়ারক্র্যাফট ভারতে বা ভারত-শাসিত কাশ্মিরে ভূপাতিত হয়েছে – অন্তত তিনজন কর্মকর্তা, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে যা প্রতীয়মান হচ্ছে এবং যে প্রত্যক্ষদর্শীরা এই দুটি বিমানের ধ্বংসাবশেষ দেখেছেন তাদের বিবরণেও সে কথা জানা যাচ্ছে’, বলেছে পত্রিকাটি। দিল্লি ও ইসলামাবাদ থেকে নিউ ইয়র্ক টাইমসের সংবাদদাতারা ওই প্রতিবেদনে আরও জানাচ্ছেন, "একজন ভারতীয় কর্মকর্তা তিনটি বিমান ক্র্যাশ করার করার কথা নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি সেই সঙ্গে এটাও বলেছেন বিমানগুলো কেন ধ্বংস হলো সেই কারণ কিন্তু স্পষ্ট নয়।" ‘ভারতের কিছু নিউজ চ্যানেল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছে, অন্তত একটি বিমান ভারত-শাসিত কাশ্মীরের দিকে পড়েছে। দ্বিতীয় আর একটি বিমান ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য পাঞ্জাবে ভূপাতিত হয়েছে বলে স্থানীয় কিছু নিউজ রিপোর্ট ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ থেকে জানা যাচ্ছে।’ বিবিসি ভেরিফাই যা বলছে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে হামলায় অংশ নিয়েছে এমন বিমানের অংশ বিশেষ বা কিছু টুকরোর যেসব ভিডিও ফুটেজ দেখা গেছে সেগুলোর সত্যতা যাচাই করেছে বিবিসি। একটি ভিডিও মনে করা হচ্ছে ভারতশাসিত কাশ্মীরের পামপোর এলাকার। তাতে দেখা যাচ্ছে যে ফাইটার বিমানের ড্রপ ট্যাংকের অংশবিশেষ সরানো হচ্ছে। এ ধরনের ট্যাংক বিমান থেকেও ফেলে দেয়া হতে পারে। তাই এটি বিমান ভূপাতিত হওয়ার ইঙ্গিত দেয় না। আরেক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ড্রপ ট্যাংকের একটি টুকরো। এটিও সেই পামপোর এলাকার। জেনস ডিফেন্সের বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস এই নির্দিষ্ট ট্যাংক দাসওঁ মিরেজ ২০০০ মডেলের বিমানে বহন করা হয়। ভারতীয় বিমান বাহিনীর এ ধরনের বিমান আছে। আরেক ভিডিও পোস্টে ভারতের পাঞ্জাবের বাথিন্দার আকলিয়ান কালান গ্রামের কাছে একটি ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ দাবি করা হয়েছে। সাবেক ব্রিটিশ সামরিক কর্মকর্তা জাস্টিন ক্রাম্প এখন একটি গোয়েন্দা কোম্পানি পরিচালনা করেন। তিনি বলছেন ওই অংশ দেখে মনে হচ্ছে এগুলো আকাশ থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ফরাসী ক্ষেপণাস্ত্রের, যেটি মিরেজ ২০০০ ও রাফাল যুদ্ধ বিমানে ব্যবহৃত হয়। এই উভয় ধরনের বিমানই ভারতীয় বিমান বাহিনী ব্যবহার করে।