শহরের তুলনায় গ্রামে শিশু দারিদ্র্যের হার দ্বিগুণেরও বেশি – ইউ এস বাংলা নিউজ




শহরের তুলনায় গ্রামে শিশু দারিদ্র্যের হার দ্বিগুণেরও বেশি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৮ মে, ২০২৫ | ৯:৪৮ 33 ভিউ
জাতীয় পর্যায়ে দেশে শিশু দারিদ্র্যের হার প্রায় ১৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। শহরের তুলনায় গ্রামে শিশু দারিদ্র্যের হার দ্বিগুণেরও বেশি। গ্রামীণ এলাকায় শিশু দারিদ্র্যের হার ২০ দশমিক ১৫ শতাংশ; অন্যদিকে শহরাঞ্চলের ৮ দশমিক ২২ শতাংশ শিশু দারিদ্র্যের সঙ্গে বসবাস করে। বুধবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ও একনেকের চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় মাসিক ইকোনমিক আপডেট ও আউটলুক প্রকাশ করে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। সেখানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। একনেক ব্রিফিং শেষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়ে আলাদা ব্রিফিং করেন জিইডির সদস্য (সচিব) ড. মনজুর হোসেন। তিনি জানান, সম্প্রতি জিইডি এবং ইউনিসেফের এক গবেষণা

প্রতিবেদনে বাংলাদেশে শিশু দারিদ্র্যের উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে। ‘শহর-গ্রাম বৈষম্য : বাংলাদেশে শিশু দারিদ্র্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ, মৌলিক পরিষেবা এবং সামাজিক অবকাঠামোতে প্রবেশাধিকার’ শীর্ষক গবেষণায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে। গবেষণায় দেখা যায়, বয়সের ভিত্তিতেও শিশু দারিদ্র্যের হারে ভিন্নতা রয়েছে। শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়সি শিশুরা সবচেয়ে বেশি দারিদ্র্যের শিকার, যাদের মধ্যে এই হার ১৮ দশমিক ২ শতাংশ। এরপর ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশুদের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সিদের মধ্যে তা আরও কমে ১৩ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে উদ্বেগের বিষয়, সব বয়স গ্রুপ গ্রামীণ এলাকায় শিশু দারিদ্র্যের হার শহরাঞ্চলের চেয়ে অনেক বেশি।

শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়সি শিশুদের মধ্যে গ্রামীণ দারিদ্র্যের হার ২১ দশমিক ৪৪ শতাংশ, ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের মধ্যে ২০ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সিদের মধ্যে ১৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এই চিত্র শিশুর মৌলিক চাহিদা ও পরিষেবা প্রাপ্তিতে দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত দেয়, যা লক্ষ্যভিত্তিক দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। শুধু তাই নয়, শিশু দারিদ্র্যের হারে উলে­খযোগ্য আঞ্চলিক বৈষম্যও দেখা গেছে। রংপুর বিভাগে শিশু দারিদ্র্যের হার সর্বোচ্চ, যা ২৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এরপরই রয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগ, যেখানে এই হার ২৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। অন্যদিকে ঢাকা বিভাগে শিশু দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে কম, মাত্র ৯ দশমিক

৪৫ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে এই হার তুলনামূলকভাবে কম, ১১ দশমিক ৯২ শতাংশ। এদিকে জিইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এপ্রিলে যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, এর প্রধান কারণ চালের দাম। মোট খাদ্য মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিতে চালের দামের অবদান ৩৪ দশমিক ১৪ শতাংশ। মাছের বিশেষ করে ইলিশের দামের অবদান ২৭ দশমিক ০৫ শতাংশ, শাকসবজির ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ এবং ফলের অবদান ১০ দশমিক ৯৩ শতাংশ। সার্বিক মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিতে চালের দামে অবদান ১৪ দশমিক ৬২ শতাংশ, মাছের ১১ দশমিক ৫৮ শতাংশ, শাকসবজির ৬ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং ফলের অবদান ৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
জীবনে অন্তত একবার একা ভ্রমণ করা উচিত, ৫ কারণে চাঁদাবাজি নয়, ভাঙারি দোকানের ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বেই মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : পুলিশ গাজায় অন্তত সাড়ে ৬ লাখ শিশু দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রাজসাক্ষী হিসেবে সহায়তার শর্তে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমা করেছে ট্রাইব্যুনাল লেবাননে ১০ কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্টের সাতক্ষীরায় এনসিপির নিউজ কাভারে গিয়ে ৬ সাংবাদিকের হিটস্ট্রোক সোহাগ হত্যা মামলার আসামি রবিনের স্বীকারোক্তি ডেঙ্গুতে আরও এক মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৯১ অপরাধী যে দলের যত বড় নেতাই হোক, ছাড় নয়: র‌্যাব ডিজি গাজীপুরে ছাঁটাই করা ১৭ শ্রমিকের পুনর্বহাল দাবিতে বিক্ষোভ দুর্গাপূজায় টালিউডে আসছে নওশাবার প্রথম সিনেমা সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ভোট নিয়ে ধোঁয়াশা কেটেছে নতুন মেরুকরণের আভাস ঢাকার আকাশ মেঘলা থাকবে বিয়ের ঋণেও গলার কাঁটা উচ্চসুদ টেক্সাসের বন্যা এলাকা পরিদর্শনে ট্রাম্প, সরকারি ত্রাণ কার্যক্রমের পক্ষে সাফাই বর্ষাকালে অসুখ থেকে সুস্থ থাকার উপায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে আসিয়ান রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অভিন্ন বৌদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে: প্রণয় ভার্মা