
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

কুমিল্লায় ধর্ষণের শিকার নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত ও অনলাইন থেকে ছবি-ভিডিও সরানোর নির্দেশ

ওয়াকফ মামলা শুনানির জন্য হাইকোর্টে পৃথক বেঞ্চ গঠিত

বাংলাদেশে ‘রিপাবলিক বাংলা’ বন্ধে হাইকোর্টে রিট

সাবেক সিইসি নুরুল হুদা গ্রেপ্তার

বিচার বিভাগীয় সচিবালয় চায় সুপ্রিমকোর্ট

শহীদ ওমরের লাশ উত্তোলনের নির্দেশ আদালতের

‘বিচারকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ছিল ষোড়শ সংশোধনী মামলার মূল উদ্দেশ্য’
ঢাকার আদালতে উড়ো চিঠি বিব্রত সংক্ষুব্ধ বিচারকরা

ঢাকার অধস্তন আদালতে উড়ো চিঠির (বেনামি চিঠি) ছড়াছড়ি অবস্থা। তথ্যপ্রমাণ ছাড়া নানা অভিযোগ উত্থাপন করে বিচারকদের বিরুদ্ধে নাম-ঠিকানাবিহীন চিঠি দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় বিচারকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। কেউ কেউ বিব্রত। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিচারকদের নামে আইন মন্ত্রণালয়ে একের পর এক পাঠানো হচ্ছে উড়ো চিঠি।
সব চিঠির ধরন একইরকমের। চিঠিতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া বিচারকদের দুর্নীতিবাজ, দলবাজ, ফ্যাসিস্টের দোসর ও ঘুসখোর বলা হচ্ছে। এসব বেনামি চিঠি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিচারকদের অনেকের কাছে ব্যাখ্যাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগ। বিচারকদের দাবি, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালায়ও বলা আছে বেনামি পত্র আমলে নেওয়া যাবে না। বিচার বিভাগকে কলুষিত
করতে উঠেপড়ে লেগেছে একটি মহল। এই ধরনের নাম-পরিচয়বিহীন বেনামি চিঠিকে গুরুত্ব দেওয়া আমাদের পেশাগত নিরপেক্ষতায় হস্তক্ষেপের শামিল। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন (শৃঙ্খলা) বিধিমালা-২০১৭তে ৩ এর ১ ধারায় বলা হয়েছে, বেনামি কোনো পত্রকে সাধারণত অগ্রাহ্য করা হবে, তবে ইহাতে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে এবং অভিযোগের সমর্থনে কাগজপত্র থাকলে বেনামি পত্রকেও অভিযোগের কারণ হিসাবে গণ্য করা যাইবে। গত ২৭ মার্চ ঢাকার পঞ্চম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ মো. মামুনুর রহমান সিদ্দিকির বিরুদ্ধে নাম-পরিচয়বিহীন একটি অভিযোগ দেওয়া হয় আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে। পাশাপাশি এর অনুলিপি প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ, ঢাকা মহানগর দায়রা
জজ ও আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার একান্ত সচিব বরাবর পাঠানো হয়। চিঠিতে ওই বিচারককে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের অধিকাংশ আজ্ঞাবহ দুর্নীতিবাজ ও দলবাজ উল্লেখ করা হয়। এছাড়া এই বিচারক আইন সচিব এবং আইন উপদেষ্টাকে ৫০ লাখ টাকা ঘুস দিয়ে ঢাকায় বহাল আছেন বলেও উল্লেখ করা হয়। এদিকে এই অভিযোগের সূত্র ধরে গত ২৩ এপ্রিল সুপ্রিমকোর্টের সহকারী রেজিস্ট্রার (বিচার) এসএম সাদাকাত মাহমুদ লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য একটি চিঠি ইস্যু করেন। চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনার বিরুদ্ধে ঢাকা আইনজীবী সমিতি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন আইনজীবী সমিতির সদস্যবৃন্দ কর্তৃক আনীত অভিযোগের বিষয়ে আপনার লিখিত ব্যাখ্যা পত্র প্রাপ্তির ৫ কার্যদিবসের মধ্যে অত্র কোর্টে প্রেরণ করার জন্য আপনাকে অনুরোধ
করা হলো।’ ঢাকা আদালতের বেশ কয়েকজন বিচারকের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, ‘আমরা প্রতিনিয়ত স্পর্শকাতর মামলা নিয়ে কাজ করি। সেখানে এই ধরনের নাম-পরিচয়বিহীন উড়ো চিঠিকে গুরুত্ব দেওয়া আমাদের পেশাগত নিরপেক্ষতায় হস্তক্ষেপের শামিল। এখন প্রতিটি পদক্ষেপ নিতেই দ্বিধা হচ্ছে। এছাড়া বিচারকদের মানসিকভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। যার কারণে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচারপ্রক্রিয়া বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে।’ ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম বলেন, বিচারকদের বিরুদ্ধে নাম-পরিচয়বিহীন এমন অভিযোগের বিষয়ে আমরাও জানতে পেয়েছি। এ নিয়ে আমরা আইনজীবী সমিতিতে মিটিংয়ে বসেছিলাম। পরে আমরা জানতে পারি রুহুল আমিন নামে এক আইনজীবী এ রকম উড়ো চিঠি দেন
তখন খোঁজ নিয়ে দেখি রুহুল আমিন নামে ৫৬ জন আইনজীবী ঢাকা বার অ্যাসোসিয়েশনে আছে। এর মধ্যে ৪০ জনের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, তারা কেউ এ বিষয়ে জানে না বলে আমাদের জানিয়েছে। বাকিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কারণ সমিতিতে দেওয়া তাদের ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। এখন এটা কোন রুহুল আমিন আমরা কেউ জানি না। এই নামে যারা আমাদের মেম্বার আছে তারা কেউ কিছু জানে না। তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে বিব্রত। তাই এ নিয়ে আমরা একটা রেজুলেশন করেছি যে, আমাদের আইনজীবী সমিতি থেকে এমন কোনো অভিযোগ যায়নি। ভবিষ্যতে এমন বেনামি বা উড়ো চিঠি গেলে যেন এটা আমলে না নেওয়া হয়। জুডিশিয়াল
সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘এমন চিঠি আমাদের নামে অনেক আসে। এটা আমাদের কর্তৃপক্ষ বাছাই করে কোনো সমস্যা থাকলে তখন বিষয়টি আমলে নেয়। তবে সেটা কোনো উড়ো চিঠির ওপর ভিত্তি করে হতে পারে না। অভিযোগকারীর নাম-ঠিকানা দিয়ে অভিযোগ থাকতে হবে। বেনামি চিঠি আমলে নিয়েছে আমার কাছে এমন তথ্য নেই। এটার যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণও দেখি না। কোনো অভিযোগকারী যদি না থাকে তাহলে কিসের ভিত্তিতে অভিযোগ আমলে নেবেন। অভিযোগকারী থাকলে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে স্পষ্ট অভিযোগ থাকতে হবে।’ তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতেই পারে। যদি অভিযোগ থাকে তাহলে প্রোপারওয়েতে আসেন। যদি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে সেটা আমি ফাইট করব। আর যদি
উড়ো চিঠির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেটা আমাদের জন্য ভীতিকর। সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে নাম-পরিচয় যাই থাকুক তার কাছ থেকে ব্যাখ্যা তলব করবে তাহলে পারে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সে ব্যাখ্যা দেবে। এমন অসংখ্য অভিযোগ আসে। তবে এমন নাম-পরিচয়বিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে কাউকে ভিক্টিমাইজড করা উচিত নয়। আমি জানি না কিসের ভিত্তিতে এমন হয়েছে। আগের গভর্মেন্টের সময় এমন ছিল। এটা একটা কারণ হতে পারে। কাউকে আটকাতে হলে সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ লাগবে। একটা লোককে শাস্তি দিতে হলে তো শুধু অভিযোগ দিলে হবে না; সেটা প্রমাণ করতে হবে।’
করতে উঠেপড়ে লেগেছে একটি মহল। এই ধরনের নাম-পরিচয়বিহীন বেনামি চিঠিকে গুরুত্ব দেওয়া আমাদের পেশাগত নিরপেক্ষতায় হস্তক্ষেপের শামিল। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন (শৃঙ্খলা) বিধিমালা-২০১৭তে ৩ এর ১ ধারায় বলা হয়েছে, বেনামি কোনো পত্রকে সাধারণত অগ্রাহ্য করা হবে, তবে ইহাতে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে এবং অভিযোগের সমর্থনে কাগজপত্র থাকলে বেনামি পত্রকেও অভিযোগের কারণ হিসাবে গণ্য করা যাইবে। গত ২৭ মার্চ ঢাকার পঞ্চম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ মো. মামুনুর রহমান সিদ্দিকির বিরুদ্ধে নাম-পরিচয়বিহীন একটি অভিযোগ দেওয়া হয় আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে। পাশাপাশি এর অনুলিপি প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ, ঢাকা মহানগর দায়রা
জজ ও আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার একান্ত সচিব বরাবর পাঠানো হয়। চিঠিতে ওই বিচারককে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের অধিকাংশ আজ্ঞাবহ দুর্নীতিবাজ ও দলবাজ উল্লেখ করা হয়। এছাড়া এই বিচারক আইন সচিব এবং আইন উপদেষ্টাকে ৫০ লাখ টাকা ঘুস দিয়ে ঢাকায় বহাল আছেন বলেও উল্লেখ করা হয়। এদিকে এই অভিযোগের সূত্র ধরে গত ২৩ এপ্রিল সুপ্রিমকোর্টের সহকারী রেজিস্ট্রার (বিচার) এসএম সাদাকাত মাহমুদ লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য একটি চিঠি ইস্যু করেন। চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনার বিরুদ্ধে ঢাকা আইনজীবী সমিতি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন আইনজীবী সমিতির সদস্যবৃন্দ কর্তৃক আনীত অভিযোগের বিষয়ে আপনার লিখিত ব্যাখ্যা পত্র প্রাপ্তির ৫ কার্যদিবসের মধ্যে অত্র কোর্টে প্রেরণ করার জন্য আপনাকে অনুরোধ
করা হলো।’ ঢাকা আদালতের বেশ কয়েকজন বিচারকের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, ‘আমরা প্রতিনিয়ত স্পর্শকাতর মামলা নিয়ে কাজ করি। সেখানে এই ধরনের নাম-পরিচয়বিহীন উড়ো চিঠিকে গুরুত্ব দেওয়া আমাদের পেশাগত নিরপেক্ষতায় হস্তক্ষেপের শামিল। এখন প্রতিটি পদক্ষেপ নিতেই দ্বিধা হচ্ছে। এছাড়া বিচারকদের মানসিকভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। যার কারণে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচারপ্রক্রিয়া বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে।’ ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম বলেন, বিচারকদের বিরুদ্ধে নাম-পরিচয়বিহীন এমন অভিযোগের বিষয়ে আমরাও জানতে পেয়েছি। এ নিয়ে আমরা আইনজীবী সমিতিতে মিটিংয়ে বসেছিলাম। পরে আমরা জানতে পারি রুহুল আমিন নামে এক আইনজীবী এ রকম উড়ো চিঠি দেন
তখন খোঁজ নিয়ে দেখি রুহুল আমিন নামে ৫৬ জন আইনজীবী ঢাকা বার অ্যাসোসিয়েশনে আছে। এর মধ্যে ৪০ জনের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, তারা কেউ এ বিষয়ে জানে না বলে আমাদের জানিয়েছে। বাকিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কারণ সমিতিতে দেওয়া তাদের ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। এখন এটা কোন রুহুল আমিন আমরা কেউ জানি না। এই নামে যারা আমাদের মেম্বার আছে তারা কেউ কিছু জানে না। তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে বিব্রত। তাই এ নিয়ে আমরা একটা রেজুলেশন করেছি যে, আমাদের আইনজীবী সমিতি থেকে এমন কোনো অভিযোগ যায়নি। ভবিষ্যতে এমন বেনামি বা উড়ো চিঠি গেলে যেন এটা আমলে না নেওয়া হয়। জুডিশিয়াল
সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘এমন চিঠি আমাদের নামে অনেক আসে। এটা আমাদের কর্তৃপক্ষ বাছাই করে কোনো সমস্যা থাকলে তখন বিষয়টি আমলে নেয়। তবে সেটা কোনো উড়ো চিঠির ওপর ভিত্তি করে হতে পারে না। অভিযোগকারীর নাম-ঠিকানা দিয়ে অভিযোগ থাকতে হবে। বেনামি চিঠি আমলে নিয়েছে আমার কাছে এমন তথ্য নেই। এটার যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণও দেখি না। কোনো অভিযোগকারী যদি না থাকে তাহলে কিসের ভিত্তিতে অভিযোগ আমলে নেবেন। অভিযোগকারী থাকলে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে স্পষ্ট অভিযোগ থাকতে হবে।’ তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতেই পারে। যদি অভিযোগ থাকে তাহলে প্রোপারওয়েতে আসেন। যদি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে সেটা আমি ফাইট করব। আর যদি
উড়ো চিঠির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেটা আমাদের জন্য ভীতিকর। সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে নাম-পরিচয় যাই থাকুক তার কাছ থেকে ব্যাখ্যা তলব করবে তাহলে পারে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সে ব্যাখ্যা দেবে। এমন অসংখ্য অভিযোগ আসে। তবে এমন নাম-পরিচয়বিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে কাউকে ভিক্টিমাইজড করা উচিত নয়। আমি জানি না কিসের ভিত্তিতে এমন হয়েছে। আগের গভর্মেন্টের সময় এমন ছিল। এটা একটা কারণ হতে পারে। কাউকে আটকাতে হলে সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ লাগবে। একটা লোককে শাস্তি দিতে হলে তো শুধু অভিযোগ দিলে হবে না; সেটা প্রমাণ করতে হবে।’