সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চায় না বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি – ইউ এস বাংলা নিউজ




সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চায় না বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৩০ এপ্রিল, ২০২৫ | ৯:২৯ 37 ভিউ
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে বলে মনে করছে বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে দলটির নেতা সাইফুল হক জানান, সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ চার বছর করার পক্ষে তারা। এ ছাড়া দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সংসদ সদস্যদের যুক্ত না করে স্থানীয় সরকারের হাতে রাখার মতো বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছে দলটি। পাঁচ কমিশনের সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে নিয়মিত আলোচনার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ঐকমত্য কমিশনে আসে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। টানা চার ঘণ্টা বৈঠক শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক জানান, সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ চার বছর রাখার পক্ষে তার দল। প্রধানমন্ত্রীর

মেয়াদ থাকবে সর্বোচ্চ দুবার। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমরা এমন একটি রাষ্ট্র, সমাজ ও সংবিধান চাই যেখানে ধর্মীয় ও সামাজিক বিশ্বাসের কারণে কোনো মানুষ বঞ্চিত হবে না। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে উল্লেখ করে জাতীয় নির্বাচনে জামানতের পরিমাণ কমানোর পক্ষে প্রস্তাব দিয়েছে দলটি। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সংসদ সদস্যদের জড়িত হবার বিপক্ষে তাদের অবস্থান। এর আগে সকালে বৈঠকের শুরুতে কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই সনদ কেবল সরকারের একক ইচ্ছার বিষয় নয়, এটি একটি জাতীয় স্বার্থের দলিল হবে। সূচনা বক্তব্যে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, কমিশন একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তৈরি করতে চায়।

জুলাই আগস্টে যে গণতন্ত্রের জন্য মানুষ লড়াই করেছে সেই গণতন্ত্র তৈরির একটি রূপরেখা এবং বৈষম্যবিরোধী একটি সামাজিক ও সাংবিধানিক কাঠামো তৈরি তৈরি করতে চায় কমিশন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের লক্ষ্যে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দেয়া স্প্রেডশিটে বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের ১৬৬ টি সুপারিশের মধ্যে ১২২ টির সাথে একমত হয় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। বাদবাকি ২১ টি আংশিক একমত ও ২৩ টি দ্বিমতের বিষয় নিয়ে আজ আলোচনা হয়। আলোচনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো ছিল- সরকার, রাষ্ট্রপ্রধান ও সংসদের মেয়াদ ৫ না ৪ বছর হবে, সরকারপ্রধান, দলীয়প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী একই ব্যক্তি হবেন

কি না, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ, সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য প্রার্থীর বয়স, নির্বাচন সংস্কার ব্যবস্থা ইত্যাদি। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের নেতৃত্বে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল এ আলোচনায় অংশ নেয়। এতে দলটির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মুশতাক, মাহমুদ হোসেন ছাড়াও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাশিদা বেগম, সাইফুল ইসলাম ও শেখ মোহাম্মদ শিমুল উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড় নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ৩২ নম্বর ভাঙার ঘটনাকে বীভৎস মববাজি বললেন রুমিন ফারহানা খোঁজ মিলল সেই ডিজিএমের, কোথায় ছিলেন তিনি সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে। অভিষেকেই ইতিহাস, ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের বিশ্বরেকর্ড যেভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন মার্কিন-ইসরায়েলি ত্রাণকেন্দ্রে খাবার নিতে এসে নিহত ৭৪৩ ফিলিস্তিনি আফগানদের ইরান ছাড়ার শেষ দিন আজ, কাল থেকে গ্রেপ্তার নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সোমবার থেকে এনসিটি চালাবে ড্রাইডক রেস্ট হাউজে ‘নারীসহ’ ওসিকে আটকে ‘চাঁদাবাজির’ অভিযোগ সাজা মাথায় নিয়ে ঘুরছিলেন ধামাকার চেয়ারম্যান মোজতবা আলী ক্লাব বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে কে কার মুখোমুখি? টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫১, নিখোঁজ শিশুদের খুঁজছেন উদ্ধারকারীরা জাতীয় শোকের মাস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের আগস্ট মাসব্যাপী কর্মসূচি