আরাকানকে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব জামায়াতের – ইউ এস বাংলা নিউজ




আরাকানকে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব জামায়াতের

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৮ এপ্রিল, ২০২৫ | ১২:০৫ 35 ভিউ
ঢাকা সফররত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এ বৈঠক হয়। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের পেং জিউ বিনের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল বৈঠকে ছিলেন। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব যোবায়ের, প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম বুলবুল ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। বৈঠক শেষে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে আমাদের খোলামেলা আলোচনা

হয়েছে। গত ডিসেম্বরে আমরা চায়না সফরে গিয়েছিলাম। সেটি ছিল সরকারি সফর। কিন্তু আজকের বৈঠকটি পার্টি টু পার্টি হয়েছে। চায়না হচ্ছে এমার্জিং ফোর্স ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড এবং এই অঞ্চলেও। এখানকার অর্থনীতি, রাজনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্কে চায়নার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী ইনক্লুসিভ ইসলামিক লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। আমাদের মূলনীতি হলো সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক করতে চাই, সেটি সরকার ও বেসরকারি পর্যায়ে। সেইজন্যই চায়নার প্রতিনিধির সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেছি। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিমন্ত্রণ দেওয়ায় এবং কয়েকটি চুক্তির কারণে চায়নাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। চায়না এখন বাংলাদেশের প্রধান বিনিয়োগকারী দেশ। আরও বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছি। কেননা, বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। ডা. তাহের

বলেন, তিস্তা প্রকল্প, দ্বিতীয় পদ্মাসেতু এবং গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছি। যাতে ব্লু ইকোনমি আরও এগিয়ে যায়। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুতে কথা বলেছি। যাতে কেউ চোখ তুলে তাকাতে না পারে। বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে চীনে স্কলারশিপ দিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। তারা এসব বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। তবে তারা চায়না সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে। জামায়াতে নায়েবে আমির বলেন, আমরা আশা করি চায়নার সঙ্গে সরকার টু সরকার, জামায়াতে ইসলামী টু সরকার, পিপলস টু পিপলস, পার্টি টু পার্টি রিলেশন আরও বৃদ্ধি পাবে। তারা তাদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীকে দল হিসেবে দাওয়াত দেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা

জামায়াতের পক্ষ থেকে চায়না কমিউনিস্ট পার্টির একটি প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানিয়েছি। আমরা হোস্ট হবো। কেননা, অতীতে আমাদের সঙ্গে চায়না এবং চায়না কমিউনিস্ট পার্টির খুব বেশি ভালো সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু এটি এখন ব্যাপকভাবে ইন্টারঅ্যাকশন হচ্ছে এবং দ্রুততার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে। ডা. তাহের আরও বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতেও কথা হয়েছে। ১২ লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে। তারা খুব মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমরা সমাধান হিসেবে রোহিঙ্গাদেরকে নিজ ভূমিতে পুনরায় ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছি। এ বিষয়ে আমরা নির্দিষ্টভাবে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত আরাকান রাজ্যকে পূর্ণ স্বাধীনতার মর্যাদা দিয়ে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছি। চায়না এখনো সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। কারণ মিয়ানমারের

সঙ্গে চায়নার বেশ বড় সম্পর্ক রয়েছে। ফলে একটি আন্তর্জাতিক কমিটি থাকলে আমরা সবাই মিলে এখানে কাজ করতে পারব। এক্ষেত্রে আমাদের প্রস্তাবনা নিয়ে চায়না সরকারের সঙ্গে তারা (চীনা কমিউনিস্ট পার্টি) কথা বলবে এবং উদ্যোগ নেবে বলে জানিয়েছে। বৈঠকে নির্বাচন নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানান ডা. তাহের। এদিকে রোববার বিকালে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ বিপ্লবী ওর্য়ার্কাস পার্টি। দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন। জামায়াতের আগে চরমোনাই পিরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গেও বৈঠক করেন চীনা প্রতিনিধিরা। চলমান রাজনীতি, তারুণ্যের ভাবনা, সংস্কার, বিনিয়োগ আলোচনা হয়েছে বলে ইসলামী আন্দোলনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এতে বলা

হয়েছে, জুলাই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের অবস্থান ও প্রত্যাশা নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে। দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীর নেতৃত্বে বৈঠকে অংশ নেন আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ড. বেলাল নূর আজিজী, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ প্রমুখ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড় নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ৩২ নম্বর ভাঙার ঘটনাকে বীভৎস মববাজি বললেন রুমিন ফারহানা খোঁজ মিলল সেই ডিজিএমের, কোথায় ছিলেন তিনি সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে। অভিষেকেই ইতিহাস, ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের বিশ্বরেকর্ড যেভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন মার্কিন-ইসরায়েলি ত্রাণকেন্দ্রে খাবার নিতে এসে নিহত ৭৪৩ ফিলিস্তিনি আফগানদের ইরান ছাড়ার শেষ দিন আজ, কাল থেকে গ্রেপ্তার নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সোমবার থেকে এনসিটি চালাবে ড্রাইডক রেস্ট হাউজে ‘নারীসহ’ ওসিকে আটকে ‘চাঁদাবাজির’ অভিযোগ সাজা মাথায় নিয়ে ঘুরছিলেন ধামাকার চেয়ারম্যান মোজতবা আলী ক্লাব বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে কে কার মুখোমুখি? টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫১, নিখোঁজ শিশুদের খুঁজছেন উদ্ধারকারীরা জাতীয় শোকের মাস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের আগস্ট মাসব্যাপী কর্মসূচি