ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত ময়মনসিংহের ইয়াসিন – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৪ এপ্রিল, ২০২৫
     ৯:০৪ পূর্বাহ্ণ

ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত ময়মনসিংহের ইয়াসিন

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৪ এপ্রিল, ২০২৫ | ৯:০৪ 66 ভিউ
ইউক্রেনের মিসাইল হামলায় প্রাণ গেছে ময়মনসিংহের এক যুবকের। এ মৃত্যুর খবরে শোকে কাতর পরিবার, শোকাচ্ছন্ন পরিবেশ গোটা এলাকাজুড়ে। মরদেহ ফিরে পেতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পরিবারের সদস্যরা। ওই যুবকের নাম ইয়াসিন মিয়া। বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে হবে সেনা সদস্য। তবে দেশে সেই স্বপ্ন পূরণ না হওয়ায় দরিদ্র পরিবারে সচ্ছলতা আনতে ভালো বেতনে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতে গত বছরের সেপ্টেম্বরে রাশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলার মরিচালি গ্রামের ইয়াসিন মিয়া শেখ। মস্কো থেকে প্রায় ১১ হাজার কিলোমিটার দূরের ওই কোম্পানিতে তিন মাস চাকরির পর বাবার স্বপ্ন পূরণের সুযোগ পেয়ে রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়ে যোগ দেন ইউক্রেন যুদ্ধে। গত

২৭ মার্চ ইউক্রেনের মিসাইল হামলায় থেমে যায় ইয়াসিনের নিশ্বাস। ঈদুল ফিতরের পরদিন গত মঙ্গলবার বিকেলে ইয়াসিনের এক সহযোদ্ধা ইয়াসিনের মৃত্যুর খবর জানায় তার পরিবারকে। এ ঘটনায় শোকে বিহ্বল পরিবারের সদস্যরা। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ছেলের ছবি হাতে নিয়ে মায়ের বিলাপ থামছেই না, বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন ফিরোজা খাতুন। ছোটভাইকে হারিয়ে পাগলপ্রায় বড়ভাই রুহুল আমিন শেখ। পরিবারের চাওয়া লাশটা যেন ফিরে পান তারা। ইয়াসিনের পরিবারের সদস্যরা জানান, রাশিয়ায় যাওয়ার জন্য ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে রাশিয়ান ভাষা শেখে ইয়াসিন। পরে বন্ধুর সহায়তার ইয়াসিন রাশিয়ায় একটি কোম্পানিতে ভালো চাকরি পায়। সবই ঠিকটাক মতো চলছিল। পরে সেখান থেকে কীভাবে রাশিয়া সেনাবাহিনীতে যোগ দেয় সে তা কেউ

জানে না। পরবর্তীতে সে তা জানিয়ে সবাই অভয় দিলেও শেষ রক্ষা হলো না। ইয়াসিনের মা ফিরোজা খাতুন বলেন, ‘বাবা মারা যাওয়ার পর বড় ছেলে অনেক কষ্ট করে ছোট ছেলেটাকে পড়াশোনা করিয়েছে। তার ইচ্ছা ছিল বিদেশ গিয়ে পরিবারে স্বচ্ছলতা আনতে। সেজন্য অনেক ঋণ করে তাকে বিদেশ পাঠাই। এখন তো আমাদের সবই শেষ। এখন শুধু আমরা আমাদের ছেলের লাশটা ফেরত চাই।’ গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজ্জাদুল হাসান বলেন, ‘পরিবারটির খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে এসিল্যান্ডকে সেই বাড়িতে পাঠিয়েছি।’ বিষয়টি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে সব আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। ৯ বছর আগে মারা যায় ইয়াসিনের বাবা আব্দুস সাত্তার

শেখ। মা ফিরোজা খাতুন ও ভাই রুহুল আমিন শেখকে নিয়ে ছিলো দারিদ্রতার সংসার। ইয়াসিন ঢাকার পল্লবীর সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজে ২০২২-২৩ সেশনের ডিগ্রির শিক্ষার্থী ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
‘বিচার প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ’, শেখ হাসিনার রায়ের বিরুদ্ধে ১০২ সাংবাদিকের বিবৃতি শেখ হাসিনার রায়ের বিরোধিতা: ঢাবি’র ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে ‘মব’ করে পুলিশে সোপর্দ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের হামলার পিছনে ছাত্রশিবির, ডিসি মাসুদের বক্তব্য ভাইরাল মুন্সিগঞ্জে ‘ইউনূসের পদত্যাগ’ দাবিতে পুলিশের সামনেই হাজারো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর মিছিল সাটুরিয়ায় ডাকবাংলোর পাশে ককটেল বিস্ফোরণ, জনমনে আতঙ্ক শেখ হাসিনার বিচার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, আন্তর্জাতিক তদন্ত চান ড. মোমেন “পরিমনি হতে এসেছেন” – সাংবাদিকের এমন মন্তব্যে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তরুণী, ভিডিও ভাইরাল দেশের নিরাপত্তা সংকটে স্বরাষ্ট্র সচিব পাকিস্তানে, ষড়যন্ত্রের গন্ধ বান্দরবান সীমান্তে মিয়ানমারের মর্টার শেল, কেঁপে উঠল পুরো এলাকা অবৈধ আইসিটি ট্রাইব্যুনালের প্রহসনমূলক বিচারের রায় প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ১৮ নভেম্বর : সারা দেশে সর্বাত্মক শাটডাউন The political Lens By RP Station মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ক্যাঙ্গারু কোর্টের রায় প্রত্যাখ্যান ও দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের পদত্যাগ অবধি দুর্বার আন্দোলনের ঘোষণা স্বেচ্ছাসেবক লীগের। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও প্রহসনমূলক মামলার সাজানো রায় প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০১ প্রগতিশীল শিক্ষকবৃন্দ আইসিটির দেওয়া রায় প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিবৃতি অবৈধ ট্রাইব্যুনালকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঘৃণাভরে তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয় দখলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দের বিবৃতি তথাকথিত বেআইনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) কর্তৃক প্রদত্ত রায় প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘প্রহসনমূলক’ বিচার : বিদেশে অবস্থানরত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চিকিৎসকদের তীব্র নিন্দা ১০২ জন সাংবাদিকের যৌথ বিবৃতি