সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারতের অভিযোগে যা বললেন ড. দেবপ্রিয় – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ২ এপ্রিল, ২০২৫
     ৫:৫৮ অপরাহ্ণ

সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারতের অভিযোগে যা বললেন ড. দেবপ্রিয়

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২ এপ্রিল, ২০২৫ | ৫:৫৮ 63 ভিউ
সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দেশটির পার্লামেন্টে জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ২,৪০০ বার আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। ২০২৫ সালে এ ধরনের ৭২টি ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, আমি মনে করি এসব সংখ্যা অতিরঞ্জিত। আর বিভিন্নভাবেই এ ধরনের হিসাব দেওয়া সম্ভব। বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদ বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে মন্তব্য করার আগে ভারত সরকারের মনে রাখা উচিৎ যে, তাদের নিজ দেশে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়— তার একটা প্রভাব অবশ্যই পড়ে। ভারতের ফোর্টনাইটলি ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ম্যাগাজিনটির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। ড. দেবপ্রিয় বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগের পর বাংলাদেশের

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি হয়েছিল। পুলিশ বাহিনী একটা ছত্রভঙ্গ অবস্থার মধ্যে ছিল। কিছু সময়ের জন্য, দেশের পুরো নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হয় সেনা ও আধা-সামরিক বাহিনীকে। তবুও পরিস্থিতি ছিল অস্থিতিশীল। দেবপ্রিয় আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অনেকেই ঐতিহাসিকভাবে সাবেক ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সমর্থক। তাই কিছুক্ষেত্রে ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে কোনো হিন্দু ব্যক্তির ওপর হামলা করা হয়েছে, নাকি রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগের সমর্থক হওয়ায় হামলার ঘটনা ঘটেছে— তা আলাদা করে বলা কঠিন’। বাংলাদেশের অর্থনীতির শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান আরও উল্লেখ করেন, এসব ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়কে বিবেচনায় নিতে হবে। তার ভাষায়, ‘বাংলাদেশে হিন্দু ও বৌদ্ধরা সংখ্যালঘু, আবার ভারতে তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর অংশ। একইভাবে ভারতের মুসলমানরা সংখ্যালঘু, কিন্তু

বাংলাদেশে সংখ্যগরিষ্ঠ। তাই ভারত যখন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণ নিয়ে মন্তব্য করে, তখন তারও উচিৎ নিজ দেশের সংখ্যালঘুদের প্রতি করা আচরণের একটা প্রতিক্রিয়া দেখানো’। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন হিসেবে বাংলাদেশে তিনি কতোটা নিরাপদবোধ করেন— এমন প্রশ্নে ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘এক্ষেত্রে আমি হয়তো সবচেয়ে ভালো উদাহরণ হবো না। ভারতে আমি দুইবার শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিই— একবার ১৯৬০’এর দশকের দাঙ্গার কারণে ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত, আরেকবার ৭১’র মুক্তিযুদ্ধের সময়। কিন্তু আমার মা-বাবা কখনোই বাংলাদেশ ত্যাগ করেননি। আমিও দেশে ফিরে মাতৃভূমির জন্য কাজ করেছি। সেখানে আমার জীবন গড়েছি। আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত পদ ছেড়ে— আমি দেশের জন্য অবদান রেখেছি’। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও বিচারিক ইতিহাসের সঙ্গে নিজ

পরিবারের গভীর সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘আমার মা শেখ হাসিনার দলের (আওয়ামী লীগ) সংসদ সদস্য ছিলেন। আর বাবা ছিলেন— শেখ মুজিবুর রহমানের নিয়োগপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারক। তবে এই পারিবারিক সম্পর্ক আমার পেশাদারিত্ব কিংবা তথ্যভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গিকে কোনোভাবেই প্রভাবিত করে না’। বাংলাদেশে পরিচয়ের রাজনীতি (আইডেনটিটি পলিটিক্স) যেভাবে ভূমিকা রাখে, তাতে কিছুটা ঝুঁকি রয়েছে উল্লেখ করে ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সমাজের একটি বড় অংশ ধর্মনিরপেক্ষতা, মানবাধিকার ও সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার পক্ষে—হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিগত সংখ্যালঘু কিংবা সমতলভূমির আদিবাসী গোষ্ঠী। এ অন্তর্ভুক্তির অঙ্গীকারই জাতি গঠনের মূল ভিত্তি’। সাক্ষাৎকারে সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দটি বাদ দেওয়া ও ‘বহুত্ববাদ’-এর সংযুক্তির

জন্য সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কের বিষয়টিও আলোচনায় আসে। এ বিষয়ে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এটি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লিখিত একটি প্রস্তাব মাত্র। এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এটি একটি চলমান রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, যেখানে বিভিন্ন পক্ষের মতামত বিবেচনা করা হবে। তাই এ মুহূর্তে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানো অপ্রয়োজনীয়, কারণ বিষয়টি এখনো পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক সমাজে মতপার্থক্য থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে কেউ কেউ অজ্ঞতা, আদর্শিক অবস্থান কিংবা রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে কট্টর মতামত প্রকাশ করেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
‘বিচার প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ’, শেখ হাসিনার রায়ের বিরুদ্ধে ১০২ সাংবাদিকের বিবৃতি শেখ হাসিনার রায়ের বিরোধিতা: ঢাবি’র ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে ‘মব’ করে পুলিশে সোপর্দ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের হামলার পিছনে ছাত্রশিবির, ডিসি মাসুদের বক্তব্য ভাইরাল মুন্সিগঞ্জে ‘ইউনূসের পদত্যাগ’ দাবিতে পুলিশের সামনেই হাজারো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর মিছিল সাটুরিয়ায় ডাকবাংলোর পাশে ককটেল বিস্ফোরণ, জনমনে আতঙ্ক শেখ হাসিনার বিচার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, আন্তর্জাতিক তদন্ত চান ড. মোমেন “পরিমনি হতে এসেছেন” – সাংবাদিকের এমন মন্তব্যে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তরুণী, ভিডিও ভাইরাল দেশের নিরাপত্তা সংকটে স্বরাষ্ট্র সচিব পাকিস্তানে, ষড়যন্ত্রের গন্ধ বান্দরবান সীমান্তে মিয়ানমারের মর্টার শেল, কেঁপে উঠল পুরো এলাকা অবৈধ আইসিটি ট্রাইব্যুনালের প্রহসনমূলক বিচারের রায় প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ১৮ নভেম্বর : সারা দেশে সর্বাত্মক শাটডাউন The political Lens By RP Station মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ক্যাঙ্গারু কোর্টের রায় প্রত্যাখ্যান ও দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের পদত্যাগ অবধি দুর্বার আন্দোলনের ঘোষণা স্বেচ্ছাসেবক লীগের। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও প্রহসনমূলক মামলার সাজানো রায় প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০১ প্রগতিশীল শিক্ষকবৃন্দ আইসিটির দেওয়া রায় প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিবৃতি অবৈধ ট্রাইব্যুনালকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঘৃণাভরে তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয় দখলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দের বিবৃতি তথাকথিত বেআইনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) কর্তৃক প্রদত্ত রায় প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘প্রহসনমূলক’ বিচার : বিদেশে অবস্থানরত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চিকিৎসকদের তীব্র নিন্দা ১০২ জন সাংবাদিকের যৌথ বিবৃতি