গাজায় ইসরাইলি হামলায় আরও ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত – ইউ এস বাংলা নিউজ




গাজায় ইসরাইলি হামলায় আরও ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২ এপ্রিল, ২০২৫ | ৫:৫৬ 35 ভিউ
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার ভোর থেকে চালানো ইসরাইলের লাগাতার বিমান হামলায় কমপক্ষে ৪২ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৯ জন শিশুও রয়েছে। যা নিয়ে গত ১৮ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলি বর্বরতায় ১০৪২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছেন ২৫০০ জনের বেশি। বুধবার আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক জানিয়েছেন, উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘের UNRWA ক্লিনিক লক্ষ্য করে চালানো হামলায় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৯ জন শিশুও রয়েছে। এছাড়া, ভোর থেকে চালানো ইসরাইলি হামলায় গাজার বিভিন্ন এলাকায় আরও ২৩ জন নিহত হয়েছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে

আশঙ্কা করা হচ্ছে। ‘গাজায় কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না’ এদিকে একজন আরব বিশ্লেষকের মতে, ইসরাইলি আগ্রাসনের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো গাজাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা এবং ২৩ লাখ ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা। আন্তর্জাতিক সংকট গবেষণা সংস্থার (International Crisis Group) কর্মকর্তা তাহানি মুস্তাফার ভাষায়, ‘অনেকেই বলছেন, ইসরাইলের কোনো চূড়ান্ত কৌশল বা লক্ষ্য নেই। কিন্তু গত ১৭ মাসের ঘটনাবলী দেখে আমি মনে করি, এটি সত্য নয়। তারা হয়তো জানে না যে, চূড়ান্ত পরিণতিটা আসলে কেমন হবে। তবে তাদের মূল লক্ষ্য হলো গাজাকে জনশূন্য করে ফেলা’। এই বিশ্লেষকের মতে, ২০০৭ সাল থেকে ইসরাইলের যে নীতি চলে আসছে, এখন সেটিকেই আরও বিস্তৃতভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে—গাজাকে ‘পুরোপুরি বসবাসের অযোগ্য’ করে তোলা। তাহানি মুস্তাফা

আল জাজিরাকে বলেন, ‘আপনারা দেখতে পাচ্ছেন— গাজাকে পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা হচ্ছে। এর মাঝেও যারা টিকে থাকবে—যদি তারা নিহত বা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত না হয়—তাদেরকে ক্রমশ ছোট ছোট এলাকা পর্যন্ত সীমিত করে ফেলা হবে’। তিনি আরও বলেন, যুদ্ধ শেষ হলেও ইসরাইল গাজায় কোনো ধরনের ফিলিস্তিনি শাসন মেনে নেবে না। কারণ এটা ‘সম্পূর্ণ অবাস্তব’। মুস্তাফার মতে, ‘ইসরাইলি রাজনীতিবিদরা এটি গোপন করেননি। বরং তারা পরিষ্কারভাবে বলে আসছেন যে, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজাবাসীর জন্য কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না’।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুলকে যেভাবে হত্যা করা হয় রাশিয়ায় ৮.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত, সুনামির সতর্কতা জারি ৯৮০০ কোটি টাকা খরচের পরও চট্টগ্রাম নগরী ডুবছেই ইতিহাসের সাক্ষী খাসনগর দীঘি সেই শিক্ষা সচিবের পিএসকেও সরিয়ে দেওয়া হলো পুলিশের ১১ কর্মকর্তাকে বদলি দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ যেসব জেলায় ঝড়বৃষ্টির আভাস ক্যারিবিয়ান দ্বীপে বাড়ি কিনলেই মিলছে পাসপোর্ট পাকিস্তানের রেস্তোরাঁয় মিলছে গাধার মাংস সন্তান কোলে নিয়েই অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে ভাষণ দিলেন নারী সিনেটর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েও পড়ালেখা অনিশ্চিত ছাইনুমে মারমার রাউজানে বিএনপির দুপক্ষে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৪০ প্রথমবারের মতো খেলাপি ঋণ ৫ লাখ কোটি টাকা ছাড়াল এক মাসের বিদ্যুৎ বিল ১১ লাখ টাকা, দিশাহারা ঝালমুড়ি বিক্রেতা রাবি প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করছে জামায়াত, দাবি ছাত্রদল সেক্রেটারির তরুণীর প্রেমের টানে চীনা যুবক বাংলাদেশে নিজের বিয়ে ঠেকাতে যা করল স্কুলছাত্রী শাহ আমানতে আমদানি নিষিদ্ধ ক্রিম ও সিগারেট জব্দ বিরতি শেষে কাজে ফিরেছেন টেলর সুইফট নারী এশিয়ান কাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ