মমতা ব্যানার্জিকে যে পরামর্শ দিলেন অলি – ইউ এস বাংলা নিউজ




মমতা ব্যানার্জিকে যে পরামর্শ দিলেন অলি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৪:৩৮ 48 ভিউ
ভারতকে আওয়ামী লীগ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে বলে মনে করেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম। একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকেও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ডিজিটালের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে অলি আহমদ এ পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, আমি বহুবার বলেছি, ভারতের উচিত বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক করা— কোনো দালালের মাধ্যমে নয়, কোনো দলের মাধ্যমে নয়, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক করা। আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি নই। ভারত যে আমাদের সাহায্য করেছে, সেটি আমরা হাড়ে হাড়ে স্মরণ করি। কিন্তু এর অর্থ এই নয়, আমরা তাদের অঙ্গরাজ্য। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। তাদেরও সুপ্রতিবেশীসুলভ ব্যবহার করতে হবে। কর্নেল অলি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন— বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তি মিশনের সদস্য পাঠানো উচিত। আমি মমতা ব্যানাজিকে পরামর্শ দেব— ভারতের প্রত্যেকটা রাজ্যে মুসলমানদের ওপর কী অত্যাচার হচ্ছে, সেটি পরিলক্ষণ করার জন্য প্রত্যেকটা রাজ্যে জাতিসংঘের শান্তি বাহিনী নিয়োগ করা উচিত; কাশ্মীরে শান্তি বাহিনী নিয়োগ করা উচিত; মমতা ব্যানার্জি কি সেটি পেরেছেন? তিনি বলেন, কাশ্মীরে যে এতগুলো লোক মারা যাচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় মুসলমানদের পিটিয়ে হত্যা করছে, রাস্তায় যখন মুসলমানরা নামাজ পড়ে, তাদের পেছনে লাথি মারছে— মমতা কি সেগুলো দেখেননি? এলডিপির চেয়ারম্যান বলেন, মমতাকে আমি অনুরোধ করছি— আপনি একজন সাধারণ ট্যুরিস্ট হিসেবে বাংলাদেশে আসেন। এসে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা জেলায় যান, কোনো হিন্দুর ওপর জুলুম করা হয়নি। হয়তো কোনো

কোনো আওয়ামী লীগ নেতার ওপরে কিছু কর্মকাণ্ড হয়েছে। কারণ তারা ১৫ বছর ধরে আমাদের ওপর অত্যাচার-নিপীড়ন করেছে। অনেকের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, ঘরবাড়ি দখল করেছে, ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করেছে, টাকা-পয়সা কেড়ে নিয়েছে এবং জেলে নিক্ষেপ করেছে। ওই নেতাদের ঘরবাড়ি দুই-একটা জ্বালিয়ে দিয়েছে। সেখানে যদি হিন্দু পড়ে থাকে, সেটি তো হিন্দু হিসেবে হয়নি, সেটি আওয়ামী লীগের একজন সদস্য হিসেবে হয়েছে। কিছু দিন আগে মুন্নী সাহাকে আটক করা হয়েছিল, পরে ছেড়ে দেওয়া হলো। তাকে তো হিন্দু হিসেবে আটক করা হয়নি। অলি আহমদ বলেন, আরও অনেক হিন্দু আছেন, যারা আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতা ছিলেন। ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা নেওয়া হয়, ভারতের

এটা ধরে নেওয়া উচিত না যে, এটা হিন্দুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এটা আওয়ামী লীগের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সুতরাং ভারতকে এ পার্থক্যটা বুঝতে হবে— আওয়ামী লীগের সদস্য আর হিন্দু সম্প্রদায়। তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায় তো খুব শান্তিতে আজ বসবাস করছে। হিন্দু সম্প্রদায় যেভাবে বিভিন্ন বড় বড় চাকরিতে অধিষ্ঠিত আছে, ভারতে কয়জন মুসলমান আছে? দেখাক ডাটা, বের করুক, কয়জন মুসলমান সেক্রেটারি আছে নাম বলুক? আর আমাদের এখানে কয়জন আছে দেখুক। পুলিশে কতজন আছে, সিভিল প্রশাসনে কতজন আছে, আর্মিতে কতজন আছে, নেভিতে আছে, এয়ারফোর্সে আছে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কয়জন আছে। আর ভারতে কয়জন মুসলমান আছে? সুতরাং ভারতের পক্ষে এগুলো মানায় না।

যেখানে হিন্দুত্ববাদী প্রাধান্য পেয়েছে, সেখানে মানায় না। আমাদের এখানে কিন্তু কোনো মুসলমানের প্রাধান্য নেই। আমরা মনুষ্যত্বকে প্রাধান্য দিয়েছি— যার যার ধর্ম সে বিনা বাধায় পালন করবে; স্বাধীনভাবে পালন করবে; বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে পালন করবে। এটা কুরআনের শিক্ষা— আমার নবীর শিক্ষা, সেটাই আমরা পালন করি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন: নগদের মাধ্যমে সরকারি ভাতার ১৭১১ কোটি টাকা উধাও দশ মাস পর মা-ছেলের আবেগঘন পুনর্মিলন করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১১ নির্দেশনা জারি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ইউরোপীয় সংগঠনগুলোর চিঠি: ইউনূস-সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার আহ্বান জনগণ চায় একটি পক্ষপাতহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আটক ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে বন্ধু ছাত্রদল নেতার গুলি, যুবদল কর্মী নিহত সুন্দর ড্রেস পরা ম্যাক্সিমাম মেয়েরা মাদকের সাথে জড়িত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লন্ডনে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ, গোপনে পেছনের দরজা দিয়ে হোটেলে প্রবেশ ইউনূসের লাইফস্টাইল টিপস: মুটিয়ে যাওয়ার চিন্তায় চিন্তায় আরও মুটিয়ে যাচ্ছেন? করণীয় কী? নিউইয়র্ক কি ইতিহাসে প্রথম কোনো মুসলিম মেয়র পেতে যাচ্ছে? প্রাথমিকভাবে ৮ হাসপাতালে শুরু হচ্ছে করোনা পরীক্ষা জামায়াত নেতা মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফীর ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ১২৩ ডিসিসির নগর ভবনে তালা, মশা নিয়ন্ত্রণের বৈঠক ওয়াসা ভবনে জামায়াত-শিবির পেটানোর ঘোষণা ছাত্র ফেডারেশন নেতা শুভ দের চার ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন সাংবাদিক শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপা উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে এক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে ভরা মঞ্চে দলের নেতাকে মালা পরিয়ে সপাটে চড় মারার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। Video Player is loading. Close PlayerUnibots.com সুহেলদেব স্বাভিমান দলের সভাপতি মহেন্দ্র রাজভরকে তার দলেরই এক কর্মী, ব্রিজেশ রাজভর, মারধর করেছেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনা ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। 1 ‘রাম সেবক ইউপি’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, গত শুক্রবার জৌনপুর জেলায় একটি ভূমিপূজা ও মহারাজা সুহেলদেবের বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান চলছিল। মঞ্চে অন্যান্যদের সাথে দাঁড়িয়ে ছিলেন দলের সভাপতি মহেন্দ্র রাজভর। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, তাকে মালা পরানোর জন্য মঞ্চে ওঠেন দলের কর্মী ব্রিজেশ। মালা পরানোর পরই আকস্মিকভাবে তিনি মহেন্দ্র রাজভরের গালে পর পর চড় মারতে শুরু করেন। ঘটনার পর মহেন্দ্র রাজভর ব্রিজেশের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। নিউইয়র্ক কি ইতিহাসে প্রথম কোনো মুসলিম মেয়র পেতে যাচ্ছে? সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় মহেন্দ্র রাজভর জানান যে, ভূমিপূজার সময় ব্রিজেশ তাকে মালা পরিয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, যখন তার বক্তৃতা করার পালা এসেছিল, তখনই ব্রিজেশ তাকে বেশ কয়েকবার চড় মারেন। মহেন্দ্রের আরও অভিযোগ, সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টির নেতা এবং যোগী আদিত্যনাথের সরকারের মন্ত্রী ওম প্রকাশ রাজভরের নির্দেশেই ব্রিজেশ এই হামলা চালিয়েছেন। তবে, মহেন্দ্রের আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্রিজেশ। পাল্টা অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “অনুষ্ঠানে এসে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলার সময় মহেন্দ্র অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন।” এই ভিডিওর সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি, তবে এটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। মালা পরিয়েই নেতাকে ইচ্ছেমতো থাপড়ালেন কর্মীরা! ট্রাম্পকে হত্যার হুমকি আল-কায়েদার এসএসসির ফল প্রকাশ কবে -জানালেন ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান