ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
শিল্পকলার সেই লাকীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
একনেকে ১৯৭৪ কোটি টাকার ১০ প্রকল্পের অনুমোদন
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠন
বাড়ি ছেড়ে অজ্ঞাত স্থানে কুমিল্লার সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা
অবৈধ বাংলাদেশি শনাক্তে ভারতজুড়ে চলছে অভিযান
বীর প্রতীকের গলায় জুতার মালা দিয়েছে জামায়াতের কর্মীরা
ভুল সিদ্ধান্তের জন্য রিগ্রেট করি-আরাফাত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরবে কীভাবে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায়ের পর তা কীভাবে এবং কবে সংবিধানে যুক্ত হবে, তা নিয়ে জনমনে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হলে তার রূপরেখা কেমন হবে, তা নিয়েও রয়েছে নানামুখী আলোচনা। যেসব বিতর্কের কারণে এ পদ্ধতি অতীতে বিতর্কিত হয়েছিল, আবারও সেই বিতর্ক দেখা দেবে কিনা– তা নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন।
অবশ্য আইনজ্ঞরা বলছেন, পঞ্চদশ সংশোধনী-সংক্রান্ত হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর বিস্তারিত জানা যাবে। অনেকে বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল-সংক্রান্ত রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে। আগামী মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ওই রিভিউ আবেদন আপিল বিভাগে শুনানি হতে পারে। এটি নিষ্পত্তি হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা
নিয়ে যেসব প্রশ্ন রয়েছে, তার অবসান ঘটবে। কেউ কেউ বলছেন, পঞ্চদশ সংশোধনী মামলার রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল হয়ে গেছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরতে পারে। রায়ের পর সঙ্গে আলাপকালে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহ্দীন মালিক বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় পেতে সময় লাগবে। সংক্ষিপ্ত রায় হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল-সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর রিভিউ আবেদন আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় আছে। দুটি রায় প্রকাশিত হলে সব মিলিয়ে সেখানে আদালতের দিকনির্দেশনা থাকবে। আগামী নির্বাচন কার অধীনে এবং কীভাবে হবে– সেটা স্পষ্ট হবে। এর পর ওই রায় সংবিধানে পুনঃস্থাপন করতে হবে। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা কার্যকরের কথা
বলা যাবে না। তাঁর মতে, সার্বিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের এই রায়ে জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে। অবশ্যই এটা ইতিবাচক। নব্বই দশকে স্বৈরাচার এরশাদের পতনের পর থেকেই দেশের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে রয়েছে তীব্র মতভেদ। এ নিয়ে দফায় দফায় রাজপথে লড়াই চালিয়ে এলেও স্থায়ী কোনো সমাধান মেলেনি। তবে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়ায় দেশে-বিদেশে এই ব্যবস্থা গ্রহণযোগ্যতা পায়। কিন্তু ২০১১ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধান থেকে এ ব্যবস্থা বাতিল করে। মঙ্গলবার রায় ঘোষণার পর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর একটা অংশ আদালতের রায়ে
অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি পেলেই বোঝা যাবে, এটা কীভাবে কার্যকর হবে। সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপের বিধানকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন। ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হবে। এ ছাড়াও গণভোটের বিধানও ফিরিয়ে আনার কথা বলছেন। এ ছাড়া আরও যে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে আদালত রায় দিয়েছেন, সেগুলোও সংবিধানে স্বয়ংক্রিয় যুক্ত হবে। তিনি বলেন, এর আগে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল নিয়ে আপিল বিভাগের রায় হওয়ার পর, জুডিশিয়াল কাউন্সিল এখন যেভাবে স্বয়ংক্রিয় পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রেও তাই হবে। রিট আবেদনকারীর আইনজীবী শরিফ ভূঁইয়া বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরে আসার ক্ষেত্রে বড়
বাধা দূর হয়েছে। তবে সেটা এখনই ফিরে এসেছে বলা যাবে না। কারণ, সেটা বাতিল করা হয়েছিল দু’ভাবে। সর্বোচ্চ আদালতের রায় ও সংসদে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে। তিনি বলেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার ও আরও চারজন এ বিষয়ে আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদন করেছেন। আগামী জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে শুনানির জন্য রয়েছে। সেটা আবেদনকারীদের পক্ষে নিষ্পত্তি হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরবে এবং কার্যকর হবে। অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। কারণ রায়ে বলা হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সাংবিধানিকভাবেই বৈধ সরকার। ১০৬ অনুচ্ছেদের প্রেক্ষাপটে মতামত নিয়ে করা হয়েছে। ‘অন্তর্বর্তী সরকারই নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামকরণ হবে’– এমন মত তুলে ধরে তিনি বলেন,
এই সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নামান্তরিত হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যক্তিরাই যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতিতে চলে যাবেন, তারাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবেন। এতে সাংবিধানিক সাংঘর্ষিকের কোনো জায়গা নেই। আরেক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আপিল বিভাগে যে রিভিউ বিচারাধীন আছে, তা এড়িয়ে এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কেন আছে, তত্ত্বাবধায়কের ত্রয়োদশ সংশোধনীতে দুটি অনুপাত, এক তত্ত্বাবধায়ক সরকার বৈধ, নাকি অবৈধ। এই অংশে চারজন বলছেন অবৈধ, তিনজন বললেন বৈধ। দ্বিতীয় অংশে সবাই বললেন, পরবর্তী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে হবে। এই যে পরবর্তী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে হবে, তার আগেই পঞ্চদশ সংশোধনী চলে এসেছে। তাহলে ধরে নেওয়া হবে– ওই রায়ের অনুপাত এখনও কার্যকর আছে।
তাহলে কমপক্ষে আগামী দুটি নির্বাচন হতে আপিল বিভাগের অনুমোদন লাগে না।
নিয়ে যেসব প্রশ্ন রয়েছে, তার অবসান ঘটবে। কেউ কেউ বলছেন, পঞ্চদশ সংশোধনী মামলার রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল হয়ে গেছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরতে পারে। রায়ের পর সঙ্গে আলাপকালে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহ্দীন মালিক বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় পেতে সময় লাগবে। সংক্ষিপ্ত রায় হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল-সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর রিভিউ আবেদন আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় আছে। দুটি রায় প্রকাশিত হলে সব মিলিয়ে সেখানে আদালতের দিকনির্দেশনা থাকবে। আগামী নির্বাচন কার অধীনে এবং কীভাবে হবে– সেটা স্পষ্ট হবে। এর পর ওই রায় সংবিধানে পুনঃস্থাপন করতে হবে। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা কার্যকরের কথা
বলা যাবে না। তাঁর মতে, সার্বিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের এই রায়ে জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে। অবশ্যই এটা ইতিবাচক। নব্বই দশকে স্বৈরাচার এরশাদের পতনের পর থেকেই দেশের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে রয়েছে তীব্র মতভেদ। এ নিয়ে দফায় দফায় রাজপথে লড়াই চালিয়ে এলেও স্থায়ী কোনো সমাধান মেলেনি। তবে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়ায় দেশে-বিদেশে এই ব্যবস্থা গ্রহণযোগ্যতা পায়। কিন্তু ২০১১ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধান থেকে এ ব্যবস্থা বাতিল করে। মঙ্গলবার রায় ঘোষণার পর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর একটা অংশ আদালতের রায়ে
অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি পেলেই বোঝা যাবে, এটা কীভাবে কার্যকর হবে। সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপের বিধানকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন। ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হবে। এ ছাড়াও গণভোটের বিধানও ফিরিয়ে আনার কথা বলছেন। এ ছাড়া আরও যে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে আদালত রায় দিয়েছেন, সেগুলোও সংবিধানে স্বয়ংক্রিয় যুক্ত হবে। তিনি বলেন, এর আগে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল নিয়ে আপিল বিভাগের রায় হওয়ার পর, জুডিশিয়াল কাউন্সিল এখন যেভাবে স্বয়ংক্রিয় পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রেও তাই হবে। রিট আবেদনকারীর আইনজীবী শরিফ ভূঁইয়া বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরে আসার ক্ষেত্রে বড়
বাধা দূর হয়েছে। তবে সেটা এখনই ফিরে এসেছে বলা যাবে না। কারণ, সেটা বাতিল করা হয়েছিল দু’ভাবে। সর্বোচ্চ আদালতের রায় ও সংসদে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে। তিনি বলেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার ও আরও চারজন এ বিষয়ে আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদন করেছেন। আগামী জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে শুনানির জন্য রয়েছে। সেটা আবেদনকারীদের পক্ষে নিষ্পত্তি হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরবে এবং কার্যকর হবে। অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। কারণ রায়ে বলা হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সাংবিধানিকভাবেই বৈধ সরকার। ১০৬ অনুচ্ছেদের প্রেক্ষাপটে মতামত নিয়ে করা হয়েছে। ‘অন্তর্বর্তী সরকারই নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামকরণ হবে’– এমন মত তুলে ধরে তিনি বলেন,
এই সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নামান্তরিত হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যক্তিরাই যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতিতে চলে যাবেন, তারাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবেন। এতে সাংবিধানিক সাংঘর্ষিকের কোনো জায়গা নেই। আরেক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আপিল বিভাগে যে রিভিউ বিচারাধীন আছে, তা এড়িয়ে এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কেন আছে, তত্ত্বাবধায়কের ত্রয়োদশ সংশোধনীতে দুটি অনুপাত, এক তত্ত্বাবধায়ক সরকার বৈধ, নাকি অবৈধ। এই অংশে চারজন বলছেন অবৈধ, তিনজন বললেন বৈধ। দ্বিতীয় অংশে সবাই বললেন, পরবর্তী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে হবে। এই যে পরবর্তী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে হবে, তার আগেই পঞ্চদশ সংশোধনী চলে এসেছে। তাহলে ধরে নেওয়া হবে– ওই রায়ের অনুপাত এখনও কার্যকর আছে।
তাহলে কমপক্ষে আগামী দুটি নির্বাচন হতে আপিল বিভাগের অনুমোদন লাগে না।