![](https://usbangla24.news/wp-content/themes/pitwmeganews/pitw-assets/pitw-image/user_default.png)
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2025/02/ezgif-7ee3493576124f-67a6dd4a6154a.jpg)
সংলাপে বসতে নতুন প্রস্তাব সরকারের, পিটিআইয়ের অবস্থান অনিশ্চিত
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2025/02/market-67a6d3415ec41.jpg)
মার্কেট-কাঁচাবাজারে সন্ত্রাসীদের থাবা
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2025/02/1-2-67a6e2d966b29.jpg)
ছাত্রদের ওপর মোজাম্মেল বাহিনীর হামলা, গাজীপুরে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2025/02/Sohel-Taj-D32-67a6c1936f4c4.jpg)
ধানমন্ডি ৩২ এ ভাঙচুর নিয়ে যা বললেন সোহেল তাজ
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2025/02/11-67a66cc36f730.jpg)
৩২ নম্বর গুঁড়িয়ে দেওয়ার দায় সরকার এড়াতে পারে না
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2025/02/rab-67a66b6a6033c.jpg)
র্যাব-১ এর প্রধান ফটকে অবস্থান ভুক্তভোগীদের
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2025/02/kader-gani-67a62199f1f2b.jpg)
সত্য বলার সাহসিকতাই সাংবাদিকতার মূলমন্ত্র: কাদের গনি চৌধুরী
বাঙালির মেধাশূন্য করার ষড়যন্ত্রের কালো অধ্যায়
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/12/6577.jpg)
১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গভীর শোকের দিন, যে দিনটি স্মরণ করিয়ে দেয় বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের চূড়ান্ত পর্বে সংঘটিত এক নির্মম হত্যাযজ্ঞের কথা। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং তাদের সহযোগী রাজাকার, আল বদর, ও আল শামস বাহিনী পরিকল্পিতভাবে দেশের মেধাবী সন্তানদের হত্যা করে।
পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞের নেপথ্য
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বুদ্ধিজীবী নিধনের পরিকল্পনা করে। বিশেষত ডিসেম্বরের প্রথম দিক থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিল্পী, এবং সাহিত্যিকসহ সমাজের অগ্রগামী মানুষদের টার্গেট করে। স্বাধীন বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে এই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়।
ঢাকার মিরপুর ও রায়েরবাজারের গণকবরে পাওয়া গিয়েছে তাদের
ক্ষতবিক্ষত দেহ। নির্যাতনের চিহ্ন, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। অনেককে গুলি করে, আবার অনেককে জবাই করে হত্যা করা হয়। বুদ্ধিজীবীদের অবদান এবং পাকিস্তানি শাসকের ভয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। সাহিত্যিক, চিত্রশিল্পী, গবেষক ও শিক্ষকরা তাদের সৃজনশীল কাজ ও সমাজ সচেতনতায় মানুষের মনোবলকে চাঙ্গা করেছিলেন। তাদের এই ভূমিকা পাকিস্তানি শাসকদের ভীত করেছিল। পরিকল্পিত এই হত্যাযজ্ঞের পেছনে ছিল শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবীদের সরিয়ে দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার ষড়যন্ত্র। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা ও তদন্তের সীমাবদ্ধতা বাংলা একাডেমির 'শহীদ বুদ্ধিজীবী কোষগ্রন্থ' অনুযায়ী, এই হত্যাযজ্ঞে ২৩২ জন বুদ্ধিজীবী নিহত হয়েছেন। তবে এটি অসম্পূর্ণ একটি তালিকা। ১৯৭১ সালে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আজও প্রকাশিত হয়নি।
এর মধ্যেও আল বদর বাহিনীর নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়, তবে বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হয়েছে। স্মৃতিরক্ষা: স্মৃতিসৌধ ও স্মারক ১৯৭১ সালের শহীদদের স্মরণে ঢাকার মিরপুরে প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়। ১৯৯৯ সালে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে নির্মিত হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ। এ দুটি স্থাপনা বাংলাদেশের মানুষের জন্য শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রতীক। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এই দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে শহীদদের স্মরণ করে আসছে। প্রজন্মের দায়িত্ব শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ শুধু একটি দিনের স্মরণ নয়, এটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তাদের আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান। তাদের রেখে যাওয়া পথ ধরেই একটি ন্যায়ভিত্তিক, মেধাবী ও সুশীল সমাজ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি আমাদের পালন করতে হবে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি
শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশের মানুষ আজও এই দিনটিকে গভীর শোক ও বেদনার সঙ্গে পালন করে। তাঁদের স্মৃতি চিরজাগ্রত থাকবে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে।
ক্ষতবিক্ষত দেহ। নির্যাতনের চিহ্ন, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। অনেককে গুলি করে, আবার অনেককে জবাই করে হত্যা করা হয়। বুদ্ধিজীবীদের অবদান এবং পাকিস্তানি শাসকের ভয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। সাহিত্যিক, চিত্রশিল্পী, গবেষক ও শিক্ষকরা তাদের সৃজনশীল কাজ ও সমাজ সচেতনতায় মানুষের মনোবলকে চাঙ্গা করেছিলেন। তাদের এই ভূমিকা পাকিস্তানি শাসকদের ভীত করেছিল। পরিকল্পিত এই হত্যাযজ্ঞের পেছনে ছিল শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবীদের সরিয়ে দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার ষড়যন্ত্র। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা ও তদন্তের সীমাবদ্ধতা বাংলা একাডেমির 'শহীদ বুদ্ধিজীবী কোষগ্রন্থ' অনুযায়ী, এই হত্যাযজ্ঞে ২৩২ জন বুদ্ধিজীবী নিহত হয়েছেন। তবে এটি অসম্পূর্ণ একটি তালিকা। ১৯৭১ সালে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আজও প্রকাশিত হয়নি।
এর মধ্যেও আল বদর বাহিনীর নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়, তবে বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হয়েছে। স্মৃতিরক্ষা: স্মৃতিসৌধ ও স্মারক ১৯৭১ সালের শহীদদের স্মরণে ঢাকার মিরপুরে প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়। ১৯৯৯ সালে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে নির্মিত হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ। এ দুটি স্থাপনা বাংলাদেশের মানুষের জন্য শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রতীক। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এই দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে শহীদদের স্মরণ করে আসছে। প্রজন্মের দায়িত্ব শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ শুধু একটি দিনের স্মরণ নয়, এটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তাদের আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান। তাদের রেখে যাওয়া পথ ধরেই একটি ন্যায়ভিত্তিক, মেধাবী ও সুশীল সমাজ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি আমাদের পালন করতে হবে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি
শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশের মানুষ আজও এই দিনটিকে গভীর শোক ও বেদনার সঙ্গে পালন করে। তাঁদের স্মৃতি চিরজাগ্রত থাকবে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে।