ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বাড়ি নির্মাণে বাধা দিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি যুবদল কর্মীদের, প্রতিবাদ করায় প্রবাসীকে পিটুনি
শাহজালালে যাত্রীর পাকস্থলীতে মিলল ৬৩৭৮ ইয়াবা
ভোলায় বিএনপি-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, আহত অর্ধশতাধিক
জমি দখলের অভিযোগ আসলাম চৌধুরীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে
বাগেরহাটে নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড: হাত-পা বাঁধা অবস্থায় প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার, তীব্র উত্তেজনা
ফেনীতে চিকিৎসকের বাড়িতে ডাকাতি, আটক যুবদল নেতা কারাগারে
কারাগারে চিকিৎসা না পেয়ে আরও এক বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
সম্রাট জাহাঙ্গীর : রূপান্তরের বাদশাহী-৩
সম্রাট জাহাঙ্গীরের ছিলো প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। বহুশাস্ত্রে জ্ঞান ও আগ্রহ ছিলো তার। প্রজ্ঞাবান, দয়ালু ও বুদ্ধিমান শাসক হিসেবে তাকে চিহ্নিত করেছে ইতিহাস। ক্ষমতা লাভ করেই জনকল্যাণী পদক্ষেপ গ্রহণ করে তিনি প্রজাতুষ্টি নিশ্চিত করেন। কৌশলে তিনি ছিলেন প্রাজ্ঞ। যাঁরা তাকে সিংহাসন লাভে সহায়তা করেছিলেন তিনি তাঁদের পদোন্নতি প্রদান করেন। যারা তাঁর বিরোধিতা করেছিলেন তাদেরও তিনি উদারতা ও ক্ষমা প্রদর্শন করেন। জাহাঙ্গীর পদে পদে পিতাকে অনুসরণ করেননি। আকবরের যে আইনগুলো প্রজাদের জন্য কল্যাণী সাব্যস্ত হয়নি, তিনি তা বাতিল করেন। দয়া ও উদারতার উপর নির্ভরশীল ‘দস্তর-উল-আমল’ নামে ১২টি আইন প্রণয়ন করেন। একজন সাধারণ প্রজাও সরাসরি সম্রাটের বিচারপ্রার্থী হতে পারতেন। একজন কৃষক বিচার চাইতে পারতেন
রাষ্ট্রের যে কোনো কর্তার বিরুদ্ধে। ধনী ও গরিব সকলেই যেন সরাসরি সম্রাটের কাছে বিচারপ্রার্থী হতে পারে সেজন্য ঘণ্টাযুক্ত সোনার শিকল ছড়িয়ে দেওয়া হয় রাজপ্রসাদ থেকে যমুনা নদী অবধি। এমন ঘণ্টার সংখ্যা ছিলো ষাটটি। অনেকগুলো শিকল থাকতো ঘণ্টায়। কোনো বিচারপ্রার্থী কোনো শিকলে টান দিলে এক সাথে ষাটটি ঘণ্টায় সাইরেন বেজে উঠতো। আওয়াজে কেঁপে উঠতো চারপাশ, রাজপ্রসাদ। সম্রাট যেখানেই থাকুন না কেন, বার্তা পৌঁছে যেতো তার কাছে। সম্রাট যখন রাজধানীর বাইরে থাকতেন, তখনও দ্রæত বিচারের জন্য বিশেষ বিচারক নিয়োজিত ছিলেন। প্রত্যেক বিচার প্রার্থীর অভিযোগ শোনা হতো এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে জোর দেওয়া হতো। প্রজাদের প্রতি এমনি দয়া ও মহানুভবতা সত্তে¡ও সম্রাটের চরিত্রে কিছু
বৈপরীত্যের সংমিশ্রণ পরিলক্ষিত হয়। তাঁর চরিত্রে দয়া-দাক্ষিণ্য ও কোমলতার পাশাপাশি শত্রæ দমনে ও অপরাধীর শাস্তি বিধানে কঠোরতার তীব্রতাও লক্ষ্যণীয়।
রাষ্ট্রের যে কোনো কর্তার বিরুদ্ধে। ধনী ও গরিব সকলেই যেন সরাসরি সম্রাটের কাছে বিচারপ্রার্থী হতে পারে সেজন্য ঘণ্টাযুক্ত সোনার শিকল ছড়িয়ে দেওয়া হয় রাজপ্রসাদ থেকে যমুনা নদী অবধি। এমন ঘণ্টার সংখ্যা ছিলো ষাটটি। অনেকগুলো শিকল থাকতো ঘণ্টায়। কোনো বিচারপ্রার্থী কোনো শিকলে টান দিলে এক সাথে ষাটটি ঘণ্টায় সাইরেন বেজে উঠতো। আওয়াজে কেঁপে উঠতো চারপাশ, রাজপ্রসাদ। সম্রাট যেখানেই থাকুন না কেন, বার্তা পৌঁছে যেতো তার কাছে। সম্রাট যখন রাজধানীর বাইরে থাকতেন, তখনও দ্রæত বিচারের জন্য বিশেষ বিচারক নিয়োজিত ছিলেন। প্রত্যেক বিচার প্রার্থীর অভিযোগ শোনা হতো এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে জোর দেওয়া হতো। প্রজাদের প্রতি এমনি দয়া ও মহানুভবতা সত্তে¡ও সম্রাটের চরিত্রে কিছু
বৈপরীত্যের সংমিশ্রণ পরিলক্ষিত হয়। তাঁর চরিত্রে দয়া-দাক্ষিণ্য ও কোমলতার পাশাপাশি শত্রæ দমনে ও অপরাধীর শাস্তি বিধানে কঠোরতার তীব্রতাও লক্ষ্যণীয়।



