১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় পাশ শহীদ আবু সাঈদ – ইউ এস বাংলা নিউজ




১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় পাশ শহীদ আবু সাঈদ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৪ অক্টোবর, ২০২৪ | ৮:৩৩ 10 ভিউ
জুলাইয়ের ১২ ও ১৩ তারিখে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তখন কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলন ছিল তুঙ্গে। সারাদেশের মতো রংপুরেও আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় তথা রংপুর অঞ্চলে আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন আবু সাঈদ। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যেই তিনি অংশ নেন লিখিত পরীক্ষায়। সোমবার বিকেলে সেই লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ। এতে পাশ করেছেন ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন। তাদের মধ্যে একজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া শহীদ আবু সাঈদ। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, রংপুর বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া আবু সাঈদ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তিনি ইবতেদায়ী জেনারেল শিক্ষক (ইংরেজি

ও বাংলা বিষয়) পদে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। পরীক্ষায় আবু সাঈদের রোল নম্বর ছিল ২০১২৫৬২৯৭। বাবার নাম মো. মকবুল হোসেন। মায়ের নাম মনোয়ারা বেগম। জানা যায়, আবু সাঈদ ২০০১ সালে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ৯ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। স্থানীয় জাফরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এরপরে স্থানীয় খালাশপীর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করেন। ২০১৮ সালে রংপুর সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। ২০২০ সালে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন তিনি। আবু সাঈদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। চলতি বছরের জুনের শেষ

দিক থেকে শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলনে শুরু থেকেই সক্রিয় ছিলেন আবু সাঈদ। তিনি রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক হিসেবে এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। গত ১৬ জুলাই দুপুর ১২টা থেকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। আবু সাঈদ এ আন্দোলনে সম্মুখভাগে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থী ও পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। সেসময় তাকে একটি লাঠি হাতে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক পেতে দিতে দেখা যায়। তার সঙ্গের আন্দোলনকারীরা যখন কিছুটা পেছনে ছিলেন, তখন তিনি পুলিশের একেবারে কাছাকাছি গিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। সেসময় পুলিশের একজন সদস্য তাকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়তে

থাকে। যা আবু সাঈদের বুকে-পেটে আঘাত হানে। একপর্যায়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুতে কোটা সংস্কার আন্দোলন আরও বেগবান হয়। একপর্যায়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে টানা ১৬ বছর দেশ শাসন করা শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
সবার টার্গেট জাতীয় নির্বাচন সাবজেক্ট ম্যাপিংয়েও ফল নিম্নমুখী এক গুলিতে শেষ মিরাজের সব স্বপ্ন এইচএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন শুরু আজ ভারত থেকে এলো ৫৯৩ টন কাঁচামরিচ ২৫ অক্টোবর দেশে ফিরবেন মির্জা ফখরুল আবারও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন ড. ইউনূস হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের ডাক হাসনাত-সারজিসের টাকার জাজিমে ঘুমাতেন আমু ব্যাংক লেনদেনে আস্থা ছিল না মেসির হ্যাটট্রিকে আর্জেন্টিনার বড় জয় বাজার সিন্ডিকেট শনাক্তে কাজ করছে সরকার ‘পৃথিবীকে বাঁচাতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করতে হবে’ ‘সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রিতে রাজি ব্যবসায়ীরা’ ৭০০ ফুট সড়কে শত সমস্যা পর্ষদ সভায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন আসছে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচিতে সেনাবাহিনীতে নতুন দুই লেফটেন্যান্ট জেনারেল, ডিজিএফআই মহাপরিচালক হলেন জাহাঙ্গীর আলম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি ভারতের অভিযোগ ভিত্তিহীন অযাচিত মুম্বাইয়ে সাবেক মন্ত্রী সিদ্দিককে গুলি করে হত্যা কৌশলী বিএনপির ‘সমন্বয়’ পরিকল্পনা, বাদ জামায়াত রাষ্ট্র সংস্কারের সংলাপে না ডাকায় আমরা বিব্রত: জি এম কাদের