
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
হার্ট ভালো রাখতে খাবেন যে ৭ খাবার

হৃদরোগ বেড়েই চলেছে। অগোছালো খাদ্যাভ্যাসের কারণে আমরা বেশি আক্রান্ত হই। সুতরাং স্বাস্থ্যকর খাবার নির্বাচন ও নিয়মিত খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখলে হৃদরোগগুলোর ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
এ সময়ে আমাদের জীবনযাত্রা, অস্বাস্থ্যকর খাবার, অতিরিক্ত তেল-মসলা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে শারীরিক পরিশ্রমের অভাবের কারণে হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে।
সে কারণে সঠিক খাবারের মাধ্যমে আপনি এ বিপদ থেকে নিজেকে অনেকটাই রক্ষা করতে পারেন। তাই আসুন জেনে নিই এমন সাতটি খাবারের কথা, যা নিয়মিত খেলে আপনার হৃদযন্ত্রটি সুস্থ, শক্তিশালী ও স্বাভাবিক থাকবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, যে সাত খাবার খেলে ভালো থাকবে আপনার হার্ট—
১. টাটকা শাকসবজি
আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি পাওয়া যায়। এসব শাকসবজিতে রয়েছে
ভিটামিন, খনিজ ও নাইট্রেট, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে রক্তজমাট বাধার ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন অন্তত এক বাটি শাক খাওয়া হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য অপরিহার্য। আর শাকসবজি কাঁচা বা হালকা ভাপে রান্না করে খেলে এর পুষ্টিগুণ বজায় থাকে। ২. চর্বিযুক্ত মাছ স্যালমন, ম্যাকারেল, সারডিন এবং টুনা মাছের মতো স্বাস্থ্যকর তেলযুক্ত সামুদ্রিক মাছ হার্টের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা রক্তনালির প্রদাহ কমায়, ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা হ্রাস করে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়া নিয়মিত মাছের তেল খেলে হৃৎপিণ্ডের সংকোচন শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং রক্তনালির স্বাস্থ্য ভালো থাকে। সপ্তাহে অন্তত দুবার তেলযুক্ত মাছ খাওয়া হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
যারা মাছ কম খান, তাদের জন্য আখরোট বা চিয়া সিডও ওমেগা-৩-এর ভালো উৎস। তবে সামুদ্রিক মাছ দেশের সব এলাকায় পাওয়া যায় না। তাই এর পরিবর্তে দেশি মাছও খেতে পারেন আপনি। ৩. টমেটো হার্ট ভালো রাখতে নিয়মিত টমেটো খান। কারণ টমেটোতে রয়েছে লাইকোপিন নামক শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা রক্তনালির ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, লাইকোপিনের মাত্রা কম থাকলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই তাজা টমেটো খান সালাদ হিসাবে। আর স্যুপে টমেটো ব্যবহার করা হার্টের জন্য খুব ভালো। ৪. আখরোট আবার আখরোটে থাকে উদ্ভিদভিত্তিক ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম, কপার এবং ম্যাঙ্গানিজ। আপনি যদি প্রতিদিন কয়েকটি আখরোট খান, তবে খারাপ কোলেস্টেরল কমে যাবে
এবং ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পাবে। এটি রক্তনালির স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং হৃৎপিণ্ডকে শক্তিশালী করে। এ ছাড়া হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। ৫. অলিভ ওয়েল ডায়েটের অন্যতম উপাদান হচ্ছে— অলিভ ওয়েল। এতে থাকা মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সালাদ বা রান্নায় জলপাই তেল ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তবে এর ক্যালোরি বেশি হওয়ার কারণে পরিমাণ সীমিত রাখা উচিত। ৬. চিয়া সিড নিয়মিত চিয়া সিড খেলে রক্তচাপ হ্রাস পায়। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। তাই চিয়া সিডে খারাপ কোলেস্টেরল কমে এবং রক্ত চলাচল উন্নত হয়। এটি দুধ, দই, স্মুদি ও সালাদে মিশিয়ে খাওয়া
যায়। ৭. ডার্ক চকলেট ৭০ শতাংশ বা তার বেশি কোকো সমৃদ্ধ ডার্ক চকলেট হৃদরোগের জন্য বেশ উপকারী। এতে থাকা ফ্ল্যাভনয়েড রক্তপ্রবাহ উন্নত করে, রক্তচাপ কমায় এবং রক্তনালির নমনীয়তা বাড়িয়ে তোলে। তবে চিনি ছাড়া ডার্ক চকলেট বেছে নিতে হবে। এবং পরিমাণে অল্প, কয়েক টুকরো ডার্ক চকলেট খাওয়াই যথেষ্ট। এ সাতটি খাবার আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে আমরা সহজেই হৃদরোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি। স্বাস্থ্যকর জীবনধারা, নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামের সঙ্গে প্রতিদিন এসব খাবার হার্টকে শক্তিশালী করে এবং এর ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। সুস্থ হৃদয় মানে সুস্থ জীবন। তাই আজ থেকেই এই খাবারগুলোকে নিজের ডায়েটে স্থান দিন, আর নিজেকে দীর্ঘস্থায়ী করে গড়ে তুলুন।
ভিটামিন, খনিজ ও নাইট্রেট, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে রক্তজমাট বাধার ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন অন্তত এক বাটি শাক খাওয়া হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য অপরিহার্য। আর শাকসবজি কাঁচা বা হালকা ভাপে রান্না করে খেলে এর পুষ্টিগুণ বজায় থাকে। ২. চর্বিযুক্ত মাছ স্যালমন, ম্যাকারেল, সারডিন এবং টুনা মাছের মতো স্বাস্থ্যকর তেলযুক্ত সামুদ্রিক মাছ হার্টের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা রক্তনালির প্রদাহ কমায়, ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা হ্রাস করে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়া নিয়মিত মাছের তেল খেলে হৃৎপিণ্ডের সংকোচন শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং রক্তনালির স্বাস্থ্য ভালো থাকে। সপ্তাহে অন্তত দুবার তেলযুক্ত মাছ খাওয়া হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
যারা মাছ কম খান, তাদের জন্য আখরোট বা চিয়া সিডও ওমেগা-৩-এর ভালো উৎস। তবে সামুদ্রিক মাছ দেশের সব এলাকায় পাওয়া যায় না। তাই এর পরিবর্তে দেশি মাছও খেতে পারেন আপনি। ৩. টমেটো হার্ট ভালো রাখতে নিয়মিত টমেটো খান। কারণ টমেটোতে রয়েছে লাইকোপিন নামক শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা রক্তনালির ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, লাইকোপিনের মাত্রা কম থাকলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই তাজা টমেটো খান সালাদ হিসাবে। আর স্যুপে টমেটো ব্যবহার করা হার্টের জন্য খুব ভালো। ৪. আখরোট আবার আখরোটে থাকে উদ্ভিদভিত্তিক ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম, কপার এবং ম্যাঙ্গানিজ। আপনি যদি প্রতিদিন কয়েকটি আখরোট খান, তবে খারাপ কোলেস্টেরল কমে যাবে
এবং ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পাবে। এটি রক্তনালির স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং হৃৎপিণ্ডকে শক্তিশালী করে। এ ছাড়া হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। ৫. অলিভ ওয়েল ডায়েটের অন্যতম উপাদান হচ্ছে— অলিভ ওয়েল। এতে থাকা মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সালাদ বা রান্নায় জলপাই তেল ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তবে এর ক্যালোরি বেশি হওয়ার কারণে পরিমাণ সীমিত রাখা উচিত। ৬. চিয়া সিড নিয়মিত চিয়া সিড খেলে রক্তচাপ হ্রাস পায়। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। তাই চিয়া সিডে খারাপ কোলেস্টেরল কমে এবং রক্ত চলাচল উন্নত হয়। এটি দুধ, দই, স্মুদি ও সালাদে মিশিয়ে খাওয়া
যায়। ৭. ডার্ক চকলেট ৭০ শতাংশ বা তার বেশি কোকো সমৃদ্ধ ডার্ক চকলেট হৃদরোগের জন্য বেশ উপকারী। এতে থাকা ফ্ল্যাভনয়েড রক্তপ্রবাহ উন্নত করে, রক্তচাপ কমায় এবং রক্তনালির নমনীয়তা বাড়িয়ে তোলে। তবে চিনি ছাড়া ডার্ক চকলেট বেছে নিতে হবে। এবং পরিমাণে অল্প, কয়েক টুকরো ডার্ক চকলেট খাওয়াই যথেষ্ট। এ সাতটি খাবার আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে আমরা সহজেই হৃদরোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি। স্বাস্থ্যকর জীবনধারা, নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামের সঙ্গে প্রতিদিন এসব খাবার হার্টকে শক্তিশালী করে এবং এর ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। সুস্থ হৃদয় মানে সুস্থ জীবন। তাই আজ থেকেই এই খাবারগুলোকে নিজের ডায়েটে স্থান দিন, আর নিজেকে দীর্ঘস্থায়ী করে গড়ে তুলুন।