ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মদদে বাংলাদেশে ভয়াবহভাবে বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ
‘ক্যাঙারু কোর্ট’ নয় ট্রাইব্যুনাল, কোনো অস্বচ্ছতা নেই: বিতর্কের জবাব দিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্টদের ওপর ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’: আইসিসি-তে তদন্তের আহ্বান জানিয়ে যোগাযোগ দাখিল
চুক্তির কারণে মার্কিন গম কিনতে গিয়ে প্রতি টনে ৯২০০ টাকা বেশি গুনছে বাংলাদেশ
নেতাকর্মীদের হত্যা ও নির্বিচার গ্রেপ্তার: আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে আওয়ামী লীগের অভিযোগ দায়ের
বুয়েটের আপত্তিতে তখনই বদলানো হয় বিয়ারিং প্যাড, অব্যবস্থাপনায় দায় স্বীকার মেট্রোরেলের বর্তমান এমডির
প্রটোকল-শিষ্টাচারের তোয়াক্কা না করে ড. ইউনূসের সামনে ব্যাটন বগলে পাকি জেনারেল, কী ইঙ্গিত দিলেন?
হাফিজ সঈদের ঘনিষ্ঠ পাকিস্তানি ধর্মপ্রচারক বাংলাদেশে
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত উদ দাওয়ার (JuD) প্রধান হাফিজ সঈদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত পাকিস্তানের মারকাজি জামিয়াত আহলে হাদিসের সাধারণ সম্পাদক ইবতিসাম ইলাহি জাহির গত ২৫ অক্টোবর এক আকস্মিক সফরে বাংলাদেশে এসেছেন। এই সফরের জেরে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত এই আলেম ২৭ অক্টোবর (সোমবার) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
নর্থইস্ট নিউজ জানতে পেরেছে, মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর এটি ইবতিসাম ইলাহি জাহিরের দ্বিতীয় বাংলাদেশ সফর। একজন আন্তর্জাতিকভাবে বিতর্কিত ব্যক্তির এমন ঘন ঘন সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় সফর নিয়ে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
আল জামিয়া আস সালিফার আতিথেয়তা
নিরাপত্তা
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরে জাহিরকে অভ্যর্থনা জানান আল জামিয়া আস সালিফার (আহলে হাদিস আন্দোলন বাংলাদেশের সহযোগী গবেষণা সংস্থা) সদস্য আবদুর রহিম বিন আবদুর রাজ্জাক, যিনি আহলে হাদিস নেতা শেখ আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের পুত্র। জাহিরকে তাদের রাজশাহী শহরের নওদাপাড়ার ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হয়। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, এই ‘প্রবীণ আলেম’র হঠাৎ সফর কিছুটা বিস্ময় সৃষ্টি করেছে, কারণ তার বিতর্কিত অতীত এবং জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। সীমান্ত এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ও বিতর্কিত সফরসূচি সোমবার সকালে ইবতিসাম ইলাহি জাহির শেখ আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের সঙ্গে নওদাপাড়া ত্যাগ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন। তার সফরসূচি অনুযায়ী, তিনি নাচোলের মতো ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার
কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করবেন এবং স্থানীয় কিছু মসজিদে সভা করবেন। জানা গেছে, জাহির আহলে হাদিস আন্দোলন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আসাদুল্লাহ আল গালিবের সাথেও বৈঠক করবেন। জাহিরের বিতর্কিত সফরসূচি অনুযায়ী, তিনি আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী এলাকা সফর করবেন: ২৯ থেকে ৩১ নভেম্বর: রংপুর, লালমনিরহাট এবং নীলফামারীর মতো ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন স্থানে সভা করবেন। উল্লেখ্য, এই এলাকাগুলো ১৬ অক্টোবর ভারত ও বাংলাদেশের সামরিক গোয়েন্দা দলের একটি যৌথ দল হেলিকপ্টারে পরিদর্শন করেছিল। ১ নভেম্বর: জয়পুরহাট। ৩ নভেম্বর: নওগাঁ। ৬ ও ৭ নভেম্বর: রাজশাহীর পবার ডাঙিপাড়ায় তিনি একটি বড় সালাফি সম্মেলনে ভাষণ দেবেন। ৮ নভেম্বর: তার পাকিস্তান ফিরে যাওয়ার কথা। বিতর্কিত মন্তব্য ও আন্তর্জাতিক চাপ ইবতিসাম ইলাহি জাহির তার কট্টরপন্থী মতাদর্শের জন্য
বিশ্বজুড়ে সমালোচিত। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২০১২ সালের জুলাই মাসে তিনি প্রকাশ্যে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করা ব্যক্তিদের (মুরতাদ) হত্যা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে ইহুদি ও খ্রিস্টানরা "আমাদের বন্ধু হতে পারে না।" ব্রিটিশ গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এও জানা গিয়েছিল যে তিনি "যৌন দাসত্বের" পক্ষে কথা বলেছিলেন। জননিরাপত্তার স্বার্থে যুক্তরাজ্যে তার প্রবেশ নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছিল। যুক্তরাজ্যভিত্তিক চারটি দাতব্য সংস্থা (মসজিদ) তাকে আয়োজন করার জন্য ইউকে'র চ্যারিটি কমিশনের নজরদারিতে এসেছিল। ২০১৪ সালের অক্টোবরে জাহির ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমানে পলাতক ইসলামিক বক্তা জাকির আব্দুল করিম নায়েকের সাথে দেখা করেছিলেন। জাকির নায়েকও চলতি বছরের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ এবং ডিসেম্বর মাসে ভারত সফরে এসে ধর্মীয়
বক্তৃতা দেওয়ার কথা রয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরে জাহিরকে অভ্যর্থনা জানান আল জামিয়া আস সালিফার (আহলে হাদিস আন্দোলন বাংলাদেশের সহযোগী গবেষণা সংস্থা) সদস্য আবদুর রহিম বিন আবদুর রাজ্জাক, যিনি আহলে হাদিস নেতা শেখ আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের পুত্র। জাহিরকে তাদের রাজশাহী শহরের নওদাপাড়ার ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হয়। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, এই ‘প্রবীণ আলেম’র হঠাৎ সফর কিছুটা বিস্ময় সৃষ্টি করেছে, কারণ তার বিতর্কিত অতীত এবং জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। সীমান্ত এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ও বিতর্কিত সফরসূচি সোমবার সকালে ইবতিসাম ইলাহি জাহির শেখ আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের সঙ্গে নওদাপাড়া ত্যাগ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন। তার সফরসূচি অনুযায়ী, তিনি নাচোলের মতো ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার
কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করবেন এবং স্থানীয় কিছু মসজিদে সভা করবেন। জানা গেছে, জাহির আহলে হাদিস আন্দোলন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আসাদুল্লাহ আল গালিবের সাথেও বৈঠক করবেন। জাহিরের বিতর্কিত সফরসূচি অনুযায়ী, তিনি আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী এলাকা সফর করবেন: ২৯ থেকে ৩১ নভেম্বর: রংপুর, লালমনিরহাট এবং নীলফামারীর মতো ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন স্থানে সভা করবেন। উল্লেখ্য, এই এলাকাগুলো ১৬ অক্টোবর ভারত ও বাংলাদেশের সামরিক গোয়েন্দা দলের একটি যৌথ দল হেলিকপ্টারে পরিদর্শন করেছিল। ১ নভেম্বর: জয়পুরহাট। ৩ নভেম্বর: নওগাঁ। ৬ ও ৭ নভেম্বর: রাজশাহীর পবার ডাঙিপাড়ায় তিনি একটি বড় সালাফি সম্মেলনে ভাষণ দেবেন। ৮ নভেম্বর: তার পাকিস্তান ফিরে যাওয়ার কথা। বিতর্কিত মন্তব্য ও আন্তর্জাতিক চাপ ইবতিসাম ইলাহি জাহির তার কট্টরপন্থী মতাদর্শের জন্য
বিশ্বজুড়ে সমালোচিত। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২০১২ সালের জুলাই মাসে তিনি প্রকাশ্যে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করা ব্যক্তিদের (মুরতাদ) হত্যা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে ইহুদি ও খ্রিস্টানরা "আমাদের বন্ধু হতে পারে না।" ব্রিটিশ গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এও জানা গিয়েছিল যে তিনি "যৌন দাসত্বের" পক্ষে কথা বলেছিলেন। জননিরাপত্তার স্বার্থে যুক্তরাজ্যে তার প্রবেশ নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছিল। যুক্তরাজ্যভিত্তিক চারটি দাতব্য সংস্থা (মসজিদ) তাকে আয়োজন করার জন্য ইউকে'র চ্যারিটি কমিশনের নজরদারিতে এসেছিল। ২০১৪ সালের অক্টোবরে জাহির ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমানে পলাতক ইসলামিক বক্তা জাকির আব্দুল করিম নায়েকের সাথে দেখা করেছিলেন। জাকির নায়েকও চলতি বছরের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ এবং ডিসেম্বর মাসে ভারত সফরে এসে ধর্মীয়
বক্তৃতা দেওয়ার কথা রয়েছে।



