‘স্বাধীনভাবে খেলতে চাওয়া’ই কাল হলো ১০ বছরের কিশোরীর? – ইউ এস বাংলা নিউজ




‘স্বাধীনভাবে খেলতে চাওয়া’ই কাল হলো ১০ বছরের কিশোরীর?

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ১১:১০ 87 ভিউ
অবরুদ্ধ গাজায় সম্প্রতি ইসরাইলি বিমান হামলায় ১০ বছরের এক কিশোরী প্রাণ হারিয়েছে। তলা নামে কিশোরীটি রোলার-স্কেটিং খুব ভালোবাসত। তার পরিবারের মতে, শিশুটি সব সময় খেলাধুলা করতে চেয়েছিল এবং স্বাধীনভাবে বাইরে খেলতে পছন্দ করত। তলার বাবা হুসাম আবু আজওয়া প্রথমে তাকে বাইরে খেলতে যেতে বাধা দেন। তবে তলার ক্রমাগত অনুরোধে অবশেষে তিনি রাজি হন। কিন্তু মাত্র দুই মিনিটের মধ্যেই ইসরাইলি হামলার বিস্ফোরণ হয়। আর সেই হামলায় নিহত হয় তলা। হুসাম জানান, তার মেয়ে তাকে বারবার বলেছিল, ‘বাবা, দয়া করে আমাকে বাইরে যেতে দাও’। তিনি বলেন, ‘আমি তার এমন অনুরোধে দুঃখিত বোধ করেছিলাম। কারণ সে অন্য মেয়েদের সঙ্গে খেলতে চেয়েছিল। তবে বিস্ফোরণের শব্দ শুনেই

আমি দ্রুত বাইরে ছুটে যাই। যখন আমি বোমাবর্ষিত ফ্ল্যাটের কাছে পৌঁছালাম, আমি তাকে ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে থাকতে দেখি। তার রোলার স্কেট দেখে আমি তাকে চিনতে পারি’। গাজায় শিশুদের খেলাধুলার সুযোগ নেই তলার মৃত্যু ইসরাইলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত গাজার হাজার হাজার শিশুর করুণ অবস্থার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুদ্ধ, আগ্রাসন, বোমা হামলা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের কারণে গাজা উপত্যকায় শিশুদের জন্য খেলাধুলা এবং বিনোদনের সুযোগ প্রায় সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে গেছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা UNRWA-এর প্রধান জানিয়েছেন, ৭০ শতাংশ স্কুল ধ্বংস হয়ে গেছে বা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মায়ের কথা উম্মে তলা বলেন, তার মেয়ে সবসময়ই বলত, ‘আমরা কেনো বিশ্বের অন্য শিশুদের মতো শান্তিতে বাঁচতে পারি না? আমরা আর

যুদ্ধ চাই না, মা’। ১০ বছরের তলার মৃত্যুতে তার মা, বাবা এবং ভাইদের শোক কোনোভাবেই কাটছে না। তলার মা বলেন, সে সবসময় বলত, ‘আমি পার্কে যেতে চাই, খেলতে চাই’। এখন তার সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। এমনই হৃদয়বিদারক ঘটনা গাজার শিশুদের দুর্বিষহ অবস্থাকে আবারও বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরেছে। যেখানে তারা প্রতিনিয়ত যুদ্ধ এবং ধ্বংসের মাঝে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। গাজার পরিস্থিতি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও অন্যান্য প্রতিরোধ গোষ্ঠীকে নির্মূলের লক্ষ্যে অবরুদ্ধ গাজায় চালানো ইসরাইলি আগ্রাসনে এমন বহু সংখ্যক বেসামরিক ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে, বিশেষত শিশুরা। গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় ইতোমধ্যেই হাজারো শিশু প্রাণ হারিয়েছে। উপত্যকাজুড়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৪১ হাজার ফিলিস্তিনি

নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। গাজার চিকিৎসা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, উপত্যকায় শিশুদের মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে। কারণ হামলার লক্ষ্যবস্তু প্রায়ই বেসামরিক এলাকা হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া এ হত্যাকাণ্ডের পর ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহল থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। গাজার নিরীহ মানুষের মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
শুল্ক-কর বাড়ানো পণ্যের তালিকা দীর্ঘ হবে বিনিয়োগে উচ্চাভিলাষী ব্যয়ে লাগাম মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর দেখে যেতে চান মা শিক্ষার্থীদের হাতে ৩৩ শতাংশ নিম্নমানের বই ইন্টারকে গুঁড়িয়ে অবশেষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আক্ষেপ ঘোচাল পিএসজি অর্থনীতিতে গতি বাড়াচ্ছে ঈদুল আজহা সকাল ৯টার মধ্যে যেসব অঞ্চলে ঝড়ের আভাস হাজারো অবৈধ ভারতীয়কে বের করে দিল যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে সাধারণ ভারতীয়রা হয়ে উঠল পাকিস্তানের গুপ্তচর ৩ দেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এনসিপি নেতাদের বৈঠক স্বামীর যে শর্ত মানতেই হয়, ফাঁস করলেন দুবাই ধনীর স্ত্রী বন্ধ বাঙলা কলেজের ওয়েবসাইট, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা কমল জ্বালানি তেলের দাম যুদ্ধবিমান ভূপাতিত নিয়ে তোপের মুখে নরেন্দ্র মোদি পিএসজি না ইন্টার—কাকে মুকুট পরাবে ইউরোপ? ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসী হামলায় নিহত পাকিস্তানের জেলা প্রশাসক ট্রাম্পের উপদেষ্টা থাকাকালে নিয়মিত মাদক নিতেন ইলন মাস্ক বরিশালে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল, প্রস্তুত আশ্রয় কেন্দ্র বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুধার্ত এলাকা এখন ‘গাজা’