
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

বাংলাদেশে নিজের বিচার নিয়ে টিউলিপের প্রতিক্রিয়া

সেনাপ্রধানের নামে সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া অ্যাকাউন্ট, আইএসপিআরের সতর্কবার্তা

গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগের প্রতিবাদ সম্পাদক পরিষদের

‘স্টার লিংকের’ সমান শুল্ক সুবিধা পাচ্ছে বিএসসিএল

সাদা পাথর উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু

গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনায় দুই কর্মকর্তাসহ ৮ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

৩৩ ওষুধের দাম কমলো, ১১৬ কোটি টাকা সাশ্রয়
স্বর্ণ পাচারে জড়িত সেই কেবিন ক্রু রুদাবা সাসপেন্ড

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বর্ণ পাচার করতে গিয়ে ধরা পরা কেবিন ক্রু রুদাবা সুলতানাকে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হলেও বুধবার (১৩ আগস্ট) বিষয়টি জানাজানি হয়।
রুদাবা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একজন সিনিয়র কেবিন ক্রু। গত ৪ আগস্ট বিকেলে সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে বিমানের বিজি ৩৪০ ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। তিনি কাস্টমস হলের গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার সময়ে বিমানবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তাকে চ্যালেঞ্জ করে। ওই সময়ে তিনি দেহে বিশেষভাবে টিস্যু পেপারে লুকানো স্বর্ণের দুটি চেইন ছুড়ে ফেলে দেন। তখন তাকে কাস্টমস কর্মকর্তারা আটক করে। এ নিয়ে গত
৪ আগস্ট ‘স্বর্ণ পাচারের সময় বিমানবন্দরে আটক কেবিন ক্রু’ শিরোনামে অনলাইনে খবর প্রকাশিত হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোঃ সাফিকুর রহমানের স্বাক্ষর করা রুদাবার সাময়িক বরখাস্তের আদেশে বলা হয়, ‘আপনি বিজি ৩৪০/০৪ আগস্ট ২০২৫খ্রি: রিয়াদ-ঢাকা ফ্লাইটে দায়িত্ব পালন শেষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ঢাকায় অবতরণ করেন। কাস্টমস্ হলের গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করার সময় আপনার মুভমেন্ট সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হলে আর্চওয়ে করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। আর্চওয়েতে নিয়ে যাওয়ার সময় আপনার পরিহিত পোশাকের মধ্যে সুকৌশলে লুকায়িত থাকা একটি টিস্যু পেপার হাত দিয়ে ফেলার পর সেটি পা দিয়ে স্ক্যানিং মেশিন-২ এর নিচে ঠেলে দেন। উপস্থিত কাস্টমস্ কর্মকর্তা কর্তৃক টিস্যু পেপারটি
খুলে সেটির মধ্যে স্বর্ণের চেইন সদৃশ দুটি বস্তু দেখতে পায়, যার ওজন মোট ২৩০ (দুইশত ত্রিশ) গ্রাম। পরে মেশিনে পরীক্ষা করা হলে সেগুলো ২৪ ক্যারেটে ১০০ ভাগ শুদ্ধতা আসে। বিমান বন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ব্যাগেজ আইনের প্রদত্ত ধারা অনুযায়ী উক্ত অলংকার বেআইনী হিসেবে জব্দ করেন। আপনার এহেন কর্মকান্ডে বিমানের ভাবমূর্তি ও সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়, যা বাংলাদেশ বিমান কর্পোরেশন কর্মচারী (চাকরি) প্রবিধানমালা, ১৯৭৯ এর ৫৫ ধারার পরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’ সাময়িক বরখাস্ত আদেশে আরও বলা হয়, ‘এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ বিমান কর্পোরেশন কর্মচারী (চাকরি) প্রবিধানমালা, ১৯৭৯ এর ৫৮ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আপনাকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চাকরি হতে 'সাময়িক বরখাস্ত' করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন
আপনি বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন এবং বিমানের প্রধান কার্যালয়ে আপনি নিয়মিত হাজিরা দিবেন। আপনি আপনার বর্তমান ঠিকানায় অবস্থান করবেন।’ বিমানের ফ্লাইট পার্সার বিভাগের সূত্র জানায়, বিমানের ফ্লাইট পার্সার বিভাগে রুদাবা সুলতানা প্রভাবশালী কর্মী। তার ভাই কেবিন ক্রু ইউনিয়নের সভাপতি হওয়ায় সেই প্রভাব কাজে লাগিয়ে তিনি সেদিন ধরা পড়ার পরও বের হওয়ার চেষ্টা করেন। তাকে রক্ষার জন্য প্রভাবশালীরা চেষ্টাও করে আসছিলেন।
৪ আগস্ট ‘স্বর্ণ পাচারের সময় বিমানবন্দরে আটক কেবিন ক্রু’ শিরোনামে অনলাইনে খবর প্রকাশিত হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোঃ সাফিকুর রহমানের স্বাক্ষর করা রুদাবার সাময়িক বরখাস্তের আদেশে বলা হয়, ‘আপনি বিজি ৩৪০/০৪ আগস্ট ২০২৫খ্রি: রিয়াদ-ঢাকা ফ্লাইটে দায়িত্ব পালন শেষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ঢাকায় অবতরণ করেন। কাস্টমস্ হলের গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করার সময় আপনার মুভমেন্ট সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হলে আর্চওয়ে করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। আর্চওয়েতে নিয়ে যাওয়ার সময় আপনার পরিহিত পোশাকের মধ্যে সুকৌশলে লুকায়িত থাকা একটি টিস্যু পেপার হাত দিয়ে ফেলার পর সেটি পা দিয়ে স্ক্যানিং মেশিন-২ এর নিচে ঠেলে দেন। উপস্থিত কাস্টমস্ কর্মকর্তা কর্তৃক টিস্যু পেপারটি
খুলে সেটির মধ্যে স্বর্ণের চেইন সদৃশ দুটি বস্তু দেখতে পায়, যার ওজন মোট ২৩০ (দুইশত ত্রিশ) গ্রাম। পরে মেশিনে পরীক্ষা করা হলে সেগুলো ২৪ ক্যারেটে ১০০ ভাগ শুদ্ধতা আসে। বিমান বন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ব্যাগেজ আইনের প্রদত্ত ধারা অনুযায়ী উক্ত অলংকার বেআইনী হিসেবে জব্দ করেন। আপনার এহেন কর্মকান্ডে বিমানের ভাবমূর্তি ও সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়, যা বাংলাদেশ বিমান কর্পোরেশন কর্মচারী (চাকরি) প্রবিধানমালা, ১৯৭৯ এর ৫৫ ধারার পরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’ সাময়িক বরখাস্ত আদেশে আরও বলা হয়, ‘এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ বিমান কর্পোরেশন কর্মচারী (চাকরি) প্রবিধানমালা, ১৯৭৯ এর ৫৮ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আপনাকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চাকরি হতে 'সাময়িক বরখাস্ত' করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন
আপনি বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন এবং বিমানের প্রধান কার্যালয়ে আপনি নিয়মিত হাজিরা দিবেন। আপনি আপনার বর্তমান ঠিকানায় অবস্থান করবেন।’ বিমানের ফ্লাইট পার্সার বিভাগের সূত্র জানায়, বিমানের ফ্লাইট পার্সার বিভাগে রুদাবা সুলতানা প্রভাবশালী কর্মী। তার ভাই কেবিন ক্রু ইউনিয়নের সভাপতি হওয়ায় সেই প্রভাব কাজে লাগিয়ে তিনি সেদিন ধরা পড়ার পরও বের হওয়ার চেষ্টা করেন। তাকে রক্ষার জন্য প্রভাবশালীরা চেষ্টাও করে আসছিলেন।