সীমান্তের দুই পারেই আতঙ্কে মানুষ – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৪ মে, ২০২৫
     ৫:০৪ পূর্বাহ্ণ

সীমান্তের দুই পারেই আতঙ্কে মানুষ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৪ মে, ২০২৫ | ৫:০৪ 62 ভিউ
কাশ্মীরের পাহাড়ঘেরা প্রান্তরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে যুদ্ধের আশঙ্কা। পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। প্রতিশোধের হুমকি, সেনা মোতায়েন, গোলাবর্ষণের সম্ভাবনা সব মিলিয়ে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোয় এখন যেন এক অঘোষিত যুদ্ধ পরিস্থিতি। সীমান্তের দুই পারেই মানুষ রাত কাটাচ্ছেন আতঙ্কে। জেগে থাকছেন অনিশ্চয়তার মধ্যে। যুদ্ধাতঙ্কে চুরান্ডা থেকে চকোঠি, সাইন্থ থেকে ত্রেওয়া-প্রতিটি সীমান্তবর্তী গ্রামের ঘরে ঘরেই এখন গড়ে উঠছে বাঙ্কার। জরুরি রসদ মজুত করছেন সেখানেই। প্রতিদিনের জীবনযাপন চালিয়ে যাচ্ছেন ভয় আর দুশ্চিন্তার ছায়ায়। রয়টার্স। যুদ্ধ এখনো শুরু হয়নি। কিন্তু তার আগেই যুদ্ধের প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছেন সীমান্তের দুই পাশের বাসিন্দারা। উরি সেক্টরের কাছাকাছি ভারতীয় গ্রাম চুরান্ডার মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ায়

নিজ বাড়িতেই বাঙ্কার তৈরি করছেন তারা। গ্রামটিতে ১,৫০০ জন মানুষের জন্য মাত্র ছয়টি বাঙ্কার রয়েছে। স্থানীয় যুবক আবদুল আজিজ বলেছেন, ‘যুদ্ধ শুরু হলে আমরা কোথায় যাব? এই গ্রাম সবথেকে বেশি বিপদে।’ এজন্য বাড়িতেই বাঙ্কার তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের চাকোঠি গ্রামেও একই দৃশ্য। গ্রামবাসীরা নিজেদের বাড়িতেই বাঙ্কার বানিয়ে নিচ্ছেন। ফয়জান আনায়াত নামে এক যুবক জানিয়েছেন, ‘গোলাগুলির শব্দ শোনা গেলেই সবাই বাঙ্কারে ঢুকে পড়েন।’ অন্যদিকে, ৭৩ বছর বয়সী মোহাম্মদ নাজির বলেছেন, ‘আমরা কিছুতেই ভয় পাই না। আমাদের প্রতিটি সন্তান যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।’ জম্মু অঞ্চলের সীমান্তবর্তী সাইন্থ গ্রামে বেশিরভাগ পরিবার নিরাপদ স্থানে সরে গেছে। ওই গ্রামের স্কুল শিক্ষক বিক্রম সিংহ বলেছেন,

‘১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের সময়ও আমাদের গ্রামে গোলাবর্ষণ হয়েছিল। তখনও আমরা ভয় পেয়েছিলাম, এখনো ভয় পাচ্ছি।’ জম্মুর আরেকটি সীমান্তবর্তী গ্রাম ত্রেওয়াতেও ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে। গ্রামটির বাসিন্দারা বলেছেন, যদিও এখনো পরিস্থিতি শান্ত। তবুও আমরা বাঙ্কার পরিষ্কার করছি এবং জরুরি প্রস্তুতি নিচ্ছি। গ্রামের বাসিন্দা বলবীর কউর বলেছেন, ‘বহুবার মর্টার শেল পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, তাই এখন থেকেই আমরা প্রস্তুত হচ্ছি।’ উলে­খ্য, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত তিন হাজার ৩২৩ কিলোমিটার বিস্তৃত। এর মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের ৭৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত রয়েছে সীমান্ত। যাকে সবচেয়ে বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। ১৯৪৯ সালে জাতিসংঘের তরফে একে ‘সিজফায়ার লাইন’ বা যুদ্ধবিরতি রেখা হিসাবে

ঘোষণা করা হয়। কিন্তু দুই দেশই সিমলা চুক্তির অধীনে একে নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলওসি নাম দেয়। জম্মু, সাম্বা, কাঠুয়া সংলগ্ন সীমান্তকে ভারত ‘ইন্টারন্যাশানাল বর্ডার’ বলে আখ্যা দেয় আর পাকিস্তান সেটাকে ‘ওয়ার্কিং বাউন্ডারি’ বলে। সাম্বা, কাঠুয়া, জম্মু, আরএস পুরা, রাজৌরি এবং জম্মুর পুঞ্চে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে অবস্থিত বসতি অঞ্চলে ১৯ হাজারেরও বেশি পাকা ভ‚গর্ভস্থ বাঙ্কার নির্মাণ করে ভারত সরকার। এখন উত্তেজনা এতটাই ছড়িয়ে পড়েছে যে এখানকার মানুষ সমস্ত কাজ ছেড়ে এখন বাঙ্কার পরিষ্কার করছেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
অভদ্ররা ভাবে জবাব দেওয়ার ক্ষমতা নেই : প্রভা পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সাইদ মামুন গুলিতে নিহত যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে লেবাননে ফের ইসরায়েলের হামলা থাই-মালয়েশিয়া সীমান্তে নৌকাডুবি, নিহত ১১ পাল্টা শুল্ক থেকে অর্জিত অর্থের লভ্যাংশ জনগণকে দেবেন ট্রাম্প আমাকে সবাই প্রোডাক্ট বানিয়েছিল : প্রসেনজিৎ নতুন রূপে শবনম বুবলী ক্রিকেট বোর্ডের চার কর্মকর্তা ওএসডি টাঙ্গাইলে নির্বাচন অফিসে বিএনপির হামলায় কর্মকর্তাসহ আহত ৪ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ৫.৪ মাত্রার ভূমিকম্প গ্র্যামির মনোনয়ন থেকে বাদ টেইলর সুইফট পপি সিড খাবার নাকি মাদক? জামায়াতের ক্ষমা প্রার্থনা: তিন আমির, তিন ভাষা প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মসূচি ‘আপাতত’ স্থগিত নিমন্ত্রণে জানভি কাপুরের মতো সাজতে চান, রইল উপায় ইংরেজি উচ্চারণ নিয়ে দীপিকাকে কটাক্ষ! যে জবাব দিলেন অভিনেত্রী ধসের মুখে ভারতের চিংড়ি রপ্তানি শিল্প গাজায় গণহত্যার প্রমাণ ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন করেছিল বাইডেন প্রশাসন বিএনপির মনোনয়ন পাননি নেতা, প্রতিবাদে দুই কিলোমিটার জুড়ে মানববন্ধন সমর্থকদের মেট্রোরেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ছুটি বাতিল