
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, সব আরোহীর মৃত্যু

সোমবার ফের আলোচনায় বসছে রাশিয়া–ইউক্রেন

স্পেনের এক ধমকেই ইসরাইলে আতঙ্ক

ইসরাইলকে ‘পুড়িয়ে দেওয়ার’ হুঁশিয়ারি ইয়েমেনের

ট্রাম্পের গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে ইসরাইল: হোয়াইট হাউস

ট্রাম্পের গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে ইসরাইল: হোয়াইট হাউস

ইসরাইলকে ‘পুড়িয়ে দেওয়ার’ হুঁশিয়ারি ইয়েমেনের
সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত: পাকিস্তানের হাতে চার বিকল্প

দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্র্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ এবং রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে আবারও আলোচনায় বহুল আলোচিত সিন্ধু পানি চুক্তি। ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত এ ঐতিহাসিক চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশ ছয়টি নদীর পানিবণ্টনের একটি কাঠামোয় একমত হয়। কিন্তু মে মাসের শুরুতে কাশ্মীরে এক প্রাণঘাতী হামলার পর ভারত হঠাৎ করে চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয়। যা নতুন করে কূটনৈতিক উদ্বেগ তৈরি করেছে। ভারতের এই একতরফা সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের কৃষিনির্ভর অর্থনীতিকে চাপের মুখে ফেলেছে। ইসলামাবাদ জানিয়েছে, চুক্তির লঙ্ঘনকে তারা ‘যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’ হিসেবে বিবেচনা করবে। তবে এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক আইন, মধ্যস্থতা, কূটনৈতিক তৎপরতা এবং দ্বিপাক্ষিক আলোচনা—এ চারটি সম্ভাব্য কৌশল সামনে রেখে এগোতে পারে
পাকিস্তান। নিক্কেই এশিয়া। বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া সক্রিয় করা ১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি চুক্তির পেছনে মূল মধ্যস্থতাকারী ছিল বিশ্বব্যাংক। বর্তমান সংকটেও পাকিস্তান চায়, বিশ্বব্যাংক পুনরায় দুই দেশের মধ্যে সমাধানের রূপরেখা তৈরি করুক। যদিও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটি সরাসরি সালিশি বা রায় দেবে না। তবে আনুষ্ঠানিক বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া শুরু হলে তারা তা সহায়তা করবে। পাকিস্তান সরকারের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংকের কাছে মামলা দায়েরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে কয়েকটি সরকারি বিভাগ। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানের আইনি অবস্থান দৃঢ় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে মধ্যস্থতার আবেদন করা এখনই সময়োপযোগী পদক্ষেপ। অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে সালিশির ব্যবস্থা যদি বিশ্বব্যাংক সাহায্য করতে না
পারে, তাহলে পাকিস্তান অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে যেতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তন পরামর্শক নাসির মেমন বলেছেন, পাকিস্তান ‘পার্মানেন্ট কোর্ট অব আর্বিট্রেশন’ (দ্য হেগ)-এ যেতে পারে। যা চুক্তিতেই উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও পাকিস্তান আন্তর্জাতিক আদালত এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রতিকার চাইতে পারে। তবে অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক আইনের প্রক্রিয়া খুব ধীরগতিতে চলে এবং এতে দ্রুত সমাধান পাওয়া কঠিন। ভারতের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব এখনও বিদ্যমান। তবুও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যদি নয়া দিল্লি রাজি হয়, তাহলে পাকিস্তান চুক্তি নিয়ে ভারতের সঙ্গে সরাসরি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু করতে পারে। ইসলামাবাদভিত্তিক ইনস্টিটিউট অব পলিসি স্টাডিজের চেয়ারম্যান খালিদ রহমান বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার
যুদ্ধবিরতি মানেই মনোভাবগত দ্বন্দ্বর অবসান নয়। তবে চুক্তি নিয়ে আলোচনা হওয়ার আশা রয়েছে। তিনি নিক্কেই এশিয়াকে বলেছেন, যদি পাকিস্তান বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালতে নিয়ে যায় তাহলে তা আলোচনাকে জটিল করে তুলতে পারে। কূটনৈতিক প্রচারণা ও আন্তর্জাতিক জনমত গঠন সাম্প্র্রতিক উত্তেজনার পর পাকিস্তান একটি সংসদীয় প্রতিনিধি দল গঠন করে, যারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে ভারতের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক প্রচারণা চালায়। একই ধরনের পদক্ষেপ নেয় ভারতও। কারাচির বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনিস আহমদ নিক্কেইকে বলেছেন, কূটনৈতিক প্রচারণায় সফল হতে চাইলে পাকিস্তানের পানি চুক্তি নিয়ে মামলা যত্নসহকারে প্রস্তুত করা আবশ্যক। তিনি আরও বলেছেন, অতীতে পাকিস্তান তার কেস যথাযথ ও প্রফেশনাল উপায়ে উপস্থাপন করতে পারেনি। যার ফলে তা অবহেলা
বা গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে।
পাকিস্তান। নিক্কেই এশিয়া। বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া সক্রিয় করা ১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি চুক্তির পেছনে মূল মধ্যস্থতাকারী ছিল বিশ্বব্যাংক। বর্তমান সংকটেও পাকিস্তান চায়, বিশ্বব্যাংক পুনরায় দুই দেশের মধ্যে সমাধানের রূপরেখা তৈরি করুক। যদিও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটি সরাসরি সালিশি বা রায় দেবে না। তবে আনুষ্ঠানিক বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া শুরু হলে তারা তা সহায়তা করবে। পাকিস্তান সরকারের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংকের কাছে মামলা দায়েরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে কয়েকটি সরকারি বিভাগ। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানের আইনি অবস্থান দৃঢ় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে মধ্যস্থতার আবেদন করা এখনই সময়োপযোগী পদক্ষেপ। অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে সালিশির ব্যবস্থা যদি বিশ্বব্যাংক সাহায্য করতে না
পারে, তাহলে পাকিস্তান অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে যেতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তন পরামর্শক নাসির মেমন বলেছেন, পাকিস্তান ‘পার্মানেন্ট কোর্ট অব আর্বিট্রেশন’ (দ্য হেগ)-এ যেতে পারে। যা চুক্তিতেই উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও পাকিস্তান আন্তর্জাতিক আদালত এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রতিকার চাইতে পারে। তবে অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক আইনের প্রক্রিয়া খুব ধীরগতিতে চলে এবং এতে দ্রুত সমাধান পাওয়া কঠিন। ভারতের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব এখনও বিদ্যমান। তবুও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যদি নয়া দিল্লি রাজি হয়, তাহলে পাকিস্তান চুক্তি নিয়ে ভারতের সঙ্গে সরাসরি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু করতে পারে। ইসলামাবাদভিত্তিক ইনস্টিটিউট অব পলিসি স্টাডিজের চেয়ারম্যান খালিদ রহমান বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার
যুদ্ধবিরতি মানেই মনোভাবগত দ্বন্দ্বর অবসান নয়। তবে চুক্তি নিয়ে আলোচনা হওয়ার আশা রয়েছে। তিনি নিক্কেই এশিয়াকে বলেছেন, যদি পাকিস্তান বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালতে নিয়ে যায় তাহলে তা আলোচনাকে জটিল করে তুলতে পারে। কূটনৈতিক প্রচারণা ও আন্তর্জাতিক জনমত গঠন সাম্প্র্রতিক উত্তেজনার পর পাকিস্তান একটি সংসদীয় প্রতিনিধি দল গঠন করে, যারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে ভারতের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক প্রচারণা চালায়। একই ধরনের পদক্ষেপ নেয় ভারতও। কারাচির বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনিস আহমদ নিক্কেইকে বলেছেন, কূটনৈতিক প্রচারণায় সফল হতে চাইলে পাকিস্তানের পানি চুক্তি নিয়ে মামলা যত্নসহকারে প্রস্তুত করা আবশ্যক। তিনি আরও বলেছেন, অতীতে পাকিস্তান তার কেস যথাযথ ও প্রফেশনাল উপায়ে উপস্থাপন করতে পারেনি। যার ফলে তা অবহেলা
বা গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে।