‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে’ – ইউ এস বাংলা নিউজ




‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে’

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৪ অক্টোবর, ২০২৪ | ৫:১০ 14 ভিউ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। রোববার (১৩ অক্টোবর) ধানমন্ডিতে ট্রাইব্যুনালের কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। তাজুল ইসলাম বলেন, বিচারক নিয়োগ হওয়া মাত্রই ট্রাইব্যুনাল ফাংশনাল হবে। এরপর আমরা নেসেসারি কিছু অর্ডারস চাইব। এ বিচার শুরুর আগে যেগুলো দরকার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, আসামিদের বিদেশ যাওয়া বন্ধ করা, অনেক রকমের তথ্য-উপাত্ত এগুলো সিজ করার জন্য অর্ডার লাগবে। তাদের দ্রুততার সঙ্গে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য লাগবে। সে ব্যাপারে ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে আদেশ আসবে। ইমপ্লিম্যান্ট করার দায়িত্ব কিন্তু ট্রাইব্যুনালের হাতে না, এর দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে। তিনি

বলেন, মূলত যাদের নির্দেশে ও যাদের কারণে এই গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল, তাদের বিষয়গুলো যারা টপ কমান্ডারস... তাদের আমরা প্রায়োরিটির তালিকায় শুরুতে নিয়ে এসেছি। আইন অনুযায়ী তাদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের সাহায্য চাওয়া হবে। কোনো অপরাধী বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে থাকলে, ইন্টারপোলের সিস্টেমের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা থাকায় তাদের গ্রেপ্তারে বাংলাদেশ ইন্টারপোলে রেড নোটিশ পাঠাতে পারে। তাজুল ইসলাম আরও বলেন, বিচারক নিয়োগ হলে এ সপ্তাহেই জুলাই গণহত্যায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হবে। শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত

গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ ৬০টির বেশি অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা পড়েছে। এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গেল জুলাই ও আগস্ট মাসে গণহত্যার অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে নতুন প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থা গঠিত হয়েছে। বিচারের জন্য আইন সংশোধন ও ভবন মেরামতের কাজও চলমান। এমন পরিস্থিতিতেই আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিয়োগ হবে। স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর ২০১০ সালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ওই বছরের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনালের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন

করা হয়। তবে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটিকে একীভূত করে আবার একটি ট্রাইব্যুনাল বহাল রাখা হয়। ফলে একটি ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারকার্য চলমান ছিল।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
আকিজ বেকারিতে তেলাপোকা, ৪ লাখ টাকা জরিমানা পাসপোর্ট সিন্ডিকেটে অসহায় মালয়েশিয়ার প্রবাসীরা তিতাসের গলার কাঁটা ৪০ হাজার গ্রাহক বিদ্যমান আইনেই নির্বাচন কমিশনের হাত-পা বাঁধা ঋণগ্রস্ত হাবিব এমপি হয়েই হাজার কোটির মালিক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে অপেক্ষা করছে ইরান প্রবল বেগে ওড়িশা অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোংলার আরও কাছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মিডিয়া ঘেরাও হলে ব্যবস্থা নেবে সরকার শেখ হাসিনার অবস্থান জানিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ‘চোখ’ না থাকায় ঘূর্ণিঝড় দানায় শঙ্কা ছিল বেশি গণতন্ত্রের জন্য অনৈক্যই মূল চ্যালেঞ্জ : আসিফ নজরুল মোংলার আরও কাছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ অতিরিক্ত আইজিপির দায়িত্বে আরও ৫ ডিআইজি সরকারি খরচে কাউকে হজে পাঠানো হবে না নিউইয়র্ক মহানগর আ: লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদকদের দায়িত্ব পেলেন মোতাসিম বিল্লাহ আওয়ামী লীগ নেত্রীসহ ৭৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা গণহত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর সরকার ছাত্রলীগ তার অপকর্মের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছে: সোহেল তাজ ‘তোকে যদি জেলের ভাত খাওয়াতে না পারি, তবে আমার নাম মুসতাক না’