লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা – ইউ এস বাংলা নিউজ




লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৭ জুলাই, ২০২৫ | ৯:১৬ 7 ভিউ
ইয়েমেনের উপকূলে লোহিত সাগরে রোববার ছোট নৌকা থেকে রকেটচালিত গ্রেনেড ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে একটি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে বন্দুকধারীরা। পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো এ তথ্য জানিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই বাণিজ্যিক জলপথে এটি সর্বশেষ হামলা। ব্রিটেনের রয়াল নেভি পরিচালিত ইউকে মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস (ইউকেএমটিও) জানিয়েছে, ইয়েমেনের হোদেইদা বন্দরের ৫১ নটিক্যাল মাইল (৯৪ কিলোমিটার) দক্ষিণ-পশ্চিমে এই হামলা হয়েছে। ইউকেএমটিওর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জাহাজটিকে একাধিক ছোট নৌযান ঘিরে রেখে গুলিবর্ষণ ও রকেটচালিত গ্রেনেড ছোড়ে। সশস্ত্র নিরাপত্তা দল পাল্টা গুলি চালায় এবং পরিস্থিতি এখনো চলমান।’ এ ছাড়া ব্রিটেনভিত্তিক নিরাপত্তা সংস্থা অ্যামবে জানায়, আটটি স্কিফ (ছোট নৌকা) একসঙ্গে জাহাজটির দিকে এগিয়ে এসে প্রথমে ছোট অস্ত্র ও পরে রকেটচালিত গ্রেনেড দিয়ে আক্রমণ

চালায়। জাহাজটি লোহিত সাগরে উত্তরমুখে যাত্রা করছিল। হোদেইদা শহরটি ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। তবে এই হামলার দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি। ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরুর কয়েক সপ্তাহ পর ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগর ও এডেনে উপসাগরে ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা শুরু করে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সামরিক হামলা শুরু করলে হুতি তাদের লক্ষ্যবস্তুতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সংযুক্ত জাহাজগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করে। ২০২৪ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছলেও হুতি জানায়, তারা লোহিত সাগরে ইসরাইলি জাহাজে হামলা চালানো অব্যাহত রাখবে। এই বিদ্রোহীরা এ পর্যন্ত ডজনেরও বেশি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে অনেক শিপিং কম্পানি লোহিত সাগর এড়িয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার

আশপাশ দিয়ে বিকল্প পথ অবলম্বন করছে। আন্তর্জাতিক শিপিং চেম্বার জানিয়েছে, সাধারণত বিশ্ববাণিজ্যের প্রায় ১২ শতাংশ এই রুট দিয়ে পরিবাহিত হয়। সূত্র: এএফপি

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
জন্মদিনে ‘ধুরন্ধর’ রূপে দেখা দিলেন রণবীর গাজায় ইসরাইলি হামলায় প্রাণ গেল আরও ৮২ ফিলিস্তিনির টেক্সাসে বন্যায় মৃত বেড়ে ৭৮, নিখোঁজ ৪১ আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না ঢাকার যেসব এলাকায় লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা ইলন মাস্ককে রাজনীতির বিষয়ে যে পরামর্শ দিলেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী হামাস ক্ষমতায় থাকলে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হবেন না ইসরাইল: নেতানিয়াহু ইসরাইলকে গণহত্যাকারী আখ্যা দিয়ে ব্রিকস সম্মেলন শুরু করলেন লুলা গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত ৫ বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড় নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ৩২ নম্বর ভাঙার ঘটনাকে বীভৎস মববাজি বললেন রুমিন ফারহানা খোঁজ মিলল সেই ডিজিএমের, কোথায় ছিলেন তিনি সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।