লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা

ইয়েমেনের উপকূলে লোহিত সাগরে রোববার ছোট নৌকা থেকে রকেটচালিত গ্রেনেড ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে একটি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে বন্দুকধারীরা। পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো এ তথ্য জানিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই বাণিজ্যিক জলপথে এটি সর্বশেষ হামলা। ব্রিটেনের রয়াল নেভি পরিচালিত ইউকে মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস (ইউকেএমটিও) জানিয়েছে, ইয়েমেনের হোদেইদা বন্দরের ৫১ নটিক্যাল মাইল (৯৪ কিলোমিটার) দক্ষিণ-পশ্চিমে এই হামলা হয়েছে। ইউকেএমটিওর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জাহাজটিকে একাধিক ছোট নৌযান ঘিরে রেখে গুলিবর্ষণ ও রকেটচালিত গ্রেনেড ছোড়ে। সশস্ত্র নিরাপত্তা দল পাল্টা গুলি চালায় এবং পরিস্থিতি এখনো চলমান।’ এ ছাড়া ব্রিটেনভিত্তিক নিরাপত্তা সংস্থা অ্যামবে জানায়, আটটি স্কিফ (ছোট নৌকা) একসঙ্গে জাহাজটির দিকে এগিয়ে এসে প্রথমে ছোট অস্ত্র ও পরে রকেটচালিত গ্রেনেড দিয়ে আক্রমণ চালায়। জাহাজটি লোহিত সাগরে উত্তরমুখে যাত্রা করছিল। হোদেইদা শহরটি ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। তবে এই হামলার দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি। ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরুর কয়েক সপ্তাহ পর ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগর ও এডেনে উপসাগরে ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা শুরু করে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সামরিক হামলা শুরু করলে হুতি তাদের লক্ষ্যবস্তুতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সংযুক্ত জাহাজগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করে। ২০২৪ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছলেও হুতি জানায়, তারা লোহিত সাগরে ইসরাইলি জাহাজে হামলা চালানো অব্যাহত রাখবে। এই বিদ্রোহীরা এ পর্যন্ত ডজনেরও বেশি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে অনেক শিপিং কম্পানি লোহিত সাগর এড়িয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার আশপাশ দিয়ে বিকল্প পথ অবলম্বন করছে। আন্তর্জাতিক শিপিং চেম্বার জানিয়েছে, সাধারণত বিশ্ববাণিজ্যের প্রায় ১২ শতাংশ এই রুট দিয়ে পরিবাহিত হয়। সূত্র: এএফপি