ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ, ইউনুস সরকার নিখোঁজ
স্বর্ণের দামে বড় লাফ, রোববার থেকে কার্যকর
৪০ টাকার পেঁয়াজ ১৫০ টাকায় বিক্রি!
বৈশ্বিকভাবে নেতিবাচক পরিস্থিতিতে ব্যাংক খাত
বিশ্ববাজারে ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম, নতুন রেকর্ড রুপায়
১০ মণ ওজনের শাপলাপাতা মাছ, ১ লাখ ৩১ হাজারে বিক্রি
স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ, শুক্রবার থেকে কার্যকর
লোকদেখানো ভারত-বিদ্বেষ: দুবাই থেকে বাংলাদেশের কেনা চালের উৎস সেই ভারত!
মরুর দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চাল উৎপাদন হয় না, দেশটি নিজেই আমদানিনির্ভর। সেই দেশ থেকে বাংলাদেশের চাল কেনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। খাদ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দুবাই থেকে আসা চাল আসলে ভারতীয়, তবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অফিস দুবাইয়ে।
খাদ্য অধিদপ্তরের সংগ্রহ বিভাগের পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “চাল সরবরাহকারীর অফিস দুবাই, আসলে চালের সোর্স হলো ইন্ডিয়া।”
গত ২২শে অক্টোবর সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ মিয়ানমার ও দুবাই থেকে মোট ১ লাখ টন চাল কেনার অনুমোদন দেয়। মিয়ানমার থেকে ৫০ হাজার টন আতপ চাল এবং দুবাই থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৪৪৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে
জানানো হয়, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্যাকেজ-২-এর আওতায় প্রতি টন ৩৫৫.৯৯ ডলার দরে দুবাইয়ের মেসার্স ক্রিডেন্টওয়ান এফজেডসিও থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ২১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা। মিয়ানমার থেকে ‘জি টু জি’ ভিত্তিতে প্রতি টন ৩৭৬.৫০ ডলার দরে ৫০ হাজার টন আতপ চাল কেনা হবে, ব্যয় হবে ২২৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা। দুবাই চালের পুনঃরপ্তানির বড় কেন্দ্র। দেশটি ভারত থেকে বাসমতি ও নন-বাসমতি চাল আমদানি করে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রপ্তানি করে। মনিরুজ্জামান বলেন, “আমাদের এখানে ওপেন টেন্ডার হয়। সারা পৃথিবীর সরবরাহকারীরা এতে অংশ নিতে পারে। অফিস কোথায় সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, সে কোন দেশ থেকে চাল
দিচ্ছে সেটাই বিষয়।” কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জামাল উদ্দীন বলেন, “এখানে মূল বিষয় ট্রান্সপোর্ট নয়, বরং দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি। হয়তো ভারত থেকে সরাসরি আমদানি না করে ঘাটতি না বাড়ানোর দিকটিও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “দুবাইয়ে বাংলাদেশি প্রবাসীরা আয় পাঠাচ্ছে। সেখান থেকে চাল কেনায় সেই অর্থ ব্যবহার সহজ হয়।” চাল আমদানির প্রয়োজন সম্পর্কে মনিরুজ্জামান বলেন, “আমাদের যথেষ্ট চাল মজুদ আছে। তারপরও ঝুঁকি এড়াতে আমদানি করা হয়। গত বছর বন্যার পর কিছু চাল বিতরণ করতে হয়েছিল। এবার আমদানি তুলনামূলক কম, মাত্র এক লাখ টন।” তিনি বলেন, “প্রতি বছরই কিছু চাল আমদানি হয়। সরকারের নীতি হলো কোনো ঝুঁকি না নেওয়া।” খাদ্য
অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে দেশে প্রায় ১৫ লাখ টন চাল মজুদ আছে, যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি। চলতি বছরের ২০ আগস্ট দিনাজপুরে এক সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, দেশে চাহিদার চেয়ে এক কোটি টন খাদ্য বেশি উৎপাদন হয়েছে। তিনি বলেন, “বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানি করা হচ্ছে।” অর্থনীতিবিদদের মতে, দুবাইয়ের মাধ্যমে চাল আমদানিতে অতিরিক্ত খরচ পড়ছে, যা জনগণের অর্থের অপচয়। দুবাই চাল উৎপাদনকারী দেশ নয়, বরং তারা ভারত থেকে চাল আমদানি করে পুনঃরপ্তানি করে। সরাসরি ভারত থেকে চাল আমদানির সুযোগ থাকলেও মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কেনার সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠেছে। এ ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কী না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ
ঘটনায় কেউ আহত বা নিহত হননি।
জানানো হয়, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্যাকেজ-২-এর আওতায় প্রতি টন ৩৫৫.৯৯ ডলার দরে দুবাইয়ের মেসার্স ক্রিডেন্টওয়ান এফজেডসিও থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ২১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা। মিয়ানমার থেকে ‘জি টু জি’ ভিত্তিতে প্রতি টন ৩৭৬.৫০ ডলার দরে ৫০ হাজার টন আতপ চাল কেনা হবে, ব্যয় হবে ২২৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা। দুবাই চালের পুনঃরপ্তানির বড় কেন্দ্র। দেশটি ভারত থেকে বাসমতি ও নন-বাসমতি চাল আমদানি করে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রপ্তানি করে। মনিরুজ্জামান বলেন, “আমাদের এখানে ওপেন টেন্ডার হয়। সারা পৃথিবীর সরবরাহকারীরা এতে অংশ নিতে পারে। অফিস কোথায় সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, সে কোন দেশ থেকে চাল
দিচ্ছে সেটাই বিষয়।” কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জামাল উদ্দীন বলেন, “এখানে মূল বিষয় ট্রান্সপোর্ট নয়, বরং দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি। হয়তো ভারত থেকে সরাসরি আমদানি না করে ঘাটতি না বাড়ানোর দিকটিও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “দুবাইয়ে বাংলাদেশি প্রবাসীরা আয় পাঠাচ্ছে। সেখান থেকে চাল কেনায় সেই অর্থ ব্যবহার সহজ হয়।” চাল আমদানির প্রয়োজন সম্পর্কে মনিরুজ্জামান বলেন, “আমাদের যথেষ্ট চাল মজুদ আছে। তারপরও ঝুঁকি এড়াতে আমদানি করা হয়। গত বছর বন্যার পর কিছু চাল বিতরণ করতে হয়েছিল। এবার আমদানি তুলনামূলক কম, মাত্র এক লাখ টন।” তিনি বলেন, “প্রতি বছরই কিছু চাল আমদানি হয়। সরকারের নীতি হলো কোনো ঝুঁকি না নেওয়া।” খাদ্য
অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে দেশে প্রায় ১৫ লাখ টন চাল মজুদ আছে, যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি। চলতি বছরের ২০ আগস্ট দিনাজপুরে এক সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, দেশে চাহিদার চেয়ে এক কোটি টন খাদ্য বেশি উৎপাদন হয়েছে। তিনি বলেন, “বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানি করা হচ্ছে।” অর্থনীতিবিদদের মতে, দুবাইয়ের মাধ্যমে চাল আমদানিতে অতিরিক্ত খরচ পড়ছে, যা জনগণের অর্থের অপচয়। দুবাই চাল উৎপাদনকারী দেশ নয়, বরং তারা ভারত থেকে চাল আমদানি করে পুনঃরপ্তানি করে। সরাসরি ভারত থেকে চাল আমদানির সুযোগ থাকলেও মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কেনার সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠেছে। এ ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কী না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ
ঘটনায় কেউ আহত বা নিহত হননি।



