ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
নাটোরে মহাশ্মশানে ডাকাতি, মন্দিরে লুটপাট, সেবায়েতকে হত্যা
ডাকাতি পরিকল্পনা এক মাস আগে
বিমানবন্দরে আটক বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল
খণ্ডিত দেহাংশ এমপি আনারের, ডিএনএ মিলেছে মেয়ের সঙ্গে
ইলিয়াসের বিরুদ্ধে বিএনপির ঝাড়ু মিছিল
সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ঘোষণা দাবি, থানা ঘেরাও
উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীতে ছিনতাইয়ের বাড়বাড়ন্ত
রাজধানী ঢাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ও ভুক্তভোগীদের বক্তব্যে স্পষ্ট, সন্ধ্যা নামতেই রাজধানীর ব্যস্ত সড়কগুলোতে বেপরোয়া হয়ে উঠছে ছিনতাইকারী চক্র। এসব ঘটনা কেবল সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতা ও দায়িত্ব পালনের ওপর প্রশ্ন তুলছে।
ছিনতাইয়ের সাম্প্রতিক চিত্র
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, যানজটে থমকে থাকা প্রাইভেটকার বা পথচারীদের টার্গেট করে ছিনতাইকারীরা মুহূর্তের মধ্যে মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নিচ্ছে। সম্প্রতি আসাদ গেট, এয়ারপোর্ট রোড, ধানমন্ডি, যাত্রাবাড়ী এবং ফার্মগেট এলাকায় এমন বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে।
সায়েদাবাদে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মো. কামরুল হাসানের (২৩) মৃত্যু এবং মগবাজারে আহত হয়ে হাবিবুল্লাহর (১৮) মৃত্যুর ঘটনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা
ফুটিয়ে তোলে। এ ধরনের ঘটনার বেশিরভাগই রাতে ঘটে, বিশেষ করে যানজট বা পথচারীদের নির্জন মুহূর্তে। সামাজিক প্রতিক্রিয়া ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা ফেসবুকে এসব ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। অনেকেই পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এবং প্রভাবশালী মহলের মদদপুষ্ট হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। অপরদিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহল জোরদার করার ঘোষণা দিলেও কার্যত পরিস্থিতির উন্নতি খুব কমই হয়েছে। র্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস জানিয়েছেন, ছিনতাই বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় টহল ও চেকপোস্ট জোরদার করা হয়েছে। তবে অধিকাংশ ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা গ্রহণের অনীহা এবং গ্রেফতার হওয়া ছিনতাইকারীদের দ্রুত জামিন পাওয়ার প্রবণতা সমস্যাকে আরও ঘনীভূত করছে। পরিসংখ্যান যা উদ্বেগ বাড়ায় ২০১৯ সাল থেকে চলতি বছরের আগস্ট
পর্যন্ত ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৪৭ হাজারের বেশি অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে, কারণ অনেক ভুক্তভোগী আইনি প্রক্রিয়ায় যান না। পুলিশের তথ্যমতে, গ্রেফতার হওয়া ছিনতাইকারীদের বড় অংশই জামিনের পর পুনরায় অপরাধে জড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতামত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক জানান, ছিনতাই এখন বাণিজ্যিকীকরণের পর্যায়ে পৌঁছেছে। সংঘবদ্ধ চক্রের আড়ালে স্থানীয় প্রভাবশালী ও কখনও কখনও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সরকারকে এ সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে এবং কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। করণীয় আইন কঠোর করা: ছিনতাইকারীদের জামিন পাওয়ার প্রক্রিয়া কঠোর করা এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি করা। পুলিশের জবাবদিহি নিশ্চিত করা: টহল
কার্যক্রম আরও সক্রিয় করা এবং ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। সচেতনতা বৃদ্ধি: জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া। প্রযুক্তি ব্যবহার: সিসিটিভি ক্যামেরা ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধী শনাক্ত করা এবং সঠিক বিচার নিশ্চিত করা। ছিনতাই এখন ঢাকার একটি বড় সামাজিক সমস্যা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ এই সমস্যার সমাধানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যথায়, নাগরিকদের নিরাপত্তা ও রাজধানীর শান্তি নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জ হয়েই থাকবে।
ফুটিয়ে তোলে। এ ধরনের ঘটনার বেশিরভাগই রাতে ঘটে, বিশেষ করে যানজট বা পথচারীদের নির্জন মুহূর্তে। সামাজিক প্রতিক্রিয়া ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা ফেসবুকে এসব ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। অনেকেই পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এবং প্রভাবশালী মহলের মদদপুষ্ট হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। অপরদিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহল জোরদার করার ঘোষণা দিলেও কার্যত পরিস্থিতির উন্নতি খুব কমই হয়েছে। র্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস জানিয়েছেন, ছিনতাই বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় টহল ও চেকপোস্ট জোরদার করা হয়েছে। তবে অধিকাংশ ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা গ্রহণের অনীহা এবং গ্রেফতার হওয়া ছিনতাইকারীদের দ্রুত জামিন পাওয়ার প্রবণতা সমস্যাকে আরও ঘনীভূত করছে। পরিসংখ্যান যা উদ্বেগ বাড়ায় ২০১৯ সাল থেকে চলতি বছরের আগস্ট
পর্যন্ত ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৪৭ হাজারের বেশি অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে, কারণ অনেক ভুক্তভোগী আইনি প্রক্রিয়ায় যান না। পুলিশের তথ্যমতে, গ্রেফতার হওয়া ছিনতাইকারীদের বড় অংশই জামিনের পর পুনরায় অপরাধে জড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতামত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক জানান, ছিনতাই এখন বাণিজ্যিকীকরণের পর্যায়ে পৌঁছেছে। সংঘবদ্ধ চক্রের আড়ালে স্থানীয় প্রভাবশালী ও কখনও কখনও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সরকারকে এ সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে এবং কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। করণীয় আইন কঠোর করা: ছিনতাইকারীদের জামিন পাওয়ার প্রক্রিয়া কঠোর করা এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি করা। পুলিশের জবাবদিহি নিশ্চিত করা: টহল
কার্যক্রম আরও সক্রিয় করা এবং ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। সচেতনতা বৃদ্ধি: জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া। প্রযুক্তি ব্যবহার: সিসিটিভি ক্যামেরা ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধী শনাক্ত করা এবং সঠিক বিচার নিশ্চিত করা। ছিনতাই এখন ঢাকার একটি বড় সামাজিক সমস্যা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ এই সমস্যার সমাধানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যথায়, নাগরিকদের নিরাপত্তা ও রাজধানীর শান্তি নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জ হয়েই থাকবে।