রাখাইনের নতুন প্রশাসনে রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্তি দেখতে চায় বাংলাদেশ – ইউ এস বাংলা নিউজ




রাখাইনের নতুন প্রশাসনে রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্তি দেখতে চায় বাংলাদেশ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৭ মে, ২০২৫ | ৭:২৭ 84 ভিউ
মিয়ানমারের রাখাইনে নতুন যে প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি হচ্ছে সেখানে রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্তি দেখতে চায় বাংলাদেশ। আরাকান আর্মিকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি যাতে করে আর নতুন রোহিঙ্গা না আসে। এ কথা আমরা খুব জোরের সঙ্গে আরাকান আর্মিকে জানিয়েছি। জাতিসংঘের মাধ্যমে তাদেরকে যে কয়েকটি কথা আমরা জানিয়েছি সেগুলো হলো-আরাকানে যে নতুন প্রশাসন তৈরি হচ্ছে, তার সব স্তরে আমরা রোহিঙ্গাদের দেখতে চাই। যদি সেটি তারা না করে, তবে সেটি হবে জাতিগত নিধনের একটি নিদর্শন। এটি আমরা কোনোভাবেই সমর্থন করতে পারি

না। আমরা এ কাজটি কখনও করবো না। এই কাজটি যদি তারা না করে, তাহলে তাদের সঙ্গে আমাদের কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়া খুব মুশকিল হবে।’ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এ ধরনের জাতিগত নিধন কোনোভাবেই সমর্থন করি না, এটা পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় হোক। এটা আরাকান আর্মির জন্য একটি প্রথম পরীক্ষা। আমরা অপেক্ষা করছি এই পরীক্ষায় তারা উত্তীর্ণ হতে পারছে কিনা।’ আরাকান আর্মির পক্ষ থেকে কী জবাব পাওয়া গেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রশ্ন করেছি। জবাব পেলে আমরা বিচার-বিবেচনা করে দেখব কী ধরনের জবাব পাচ্ছি। এখানে কোনো রাখঢাকা নেই। এটি সরাসরি প্রশ্ন। আপনি জাতিগত নিধনের পক্ষে অথবা বিপক্ষে।’ আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগের

বিষয়ে মিয়ানমারের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমরা সার্বভৌম রাষ্ট্র। যার সঙ্গে ইচ্ছা তার সঙ্গে আমরা কথা বলব। কে কী বলল, তাতে কিছু যায় আসে না। আমরা একটি স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি প্রণয়ন করেছি এবং বাস্তবায়ন করছি।’ তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার আরাকান আর্মিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু তারাও তো কথা বলছে। তারাতো যুদ্ধবিরতির কথা বলছে। এছাড়া আরেকটি বিষয় বিবেচনায় আনতে হবে। আমাদের সীমান্তের ওপারে এখন নিয়ন্ত্রণ আরাকান আর্মির। আমাদের সার্বভৌম সীমান্ত আমাদেরই ব্যবস্থাপনা করতে হবে, রক্ষা করতে হবে, শান্তিপূর্ণ রাখতে হবে। এজন্য ওপারে যেই থাক, তার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখব। মিয়ানমার আর্মি যদি পারে, আসুক তারা সীমান্তের ওপাশে। তাদের সঙ্গে

আগে যোগাযোগ ছিল এবং সেটি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করুক। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলব। মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে, নিশ্চয়ই আছে। কিছুকাল আগে মিয়ানমারে ভূমিকম্পের সময়ে আমরা সাহায্য পাঠিয়েছি। তাদের অনুরোধের অপেক্ষা করিনি। তাদের সঙ্গে বাণিজ্য যোগাযোগ আছে। রোহিঙ্গা বিষয়েও তাদের সঙ্গে আমাদের কথাবার্তা আছে। বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। আলাপ আলোচনা চলতেই থাকবে। একটি সমস্যার সমাধান চাইলে সব পক্ষের সঙ্গে একটি যোগাযোগ রাখতে হবে। সেটি না হলে সমাধান করা সম্ভব হবে না। রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, সবপক্ষ রাজি হলেই যে বাংলাদেশ মানবিক সাহায্য দেবে- এমন কোনো কথা নেই। কারণ আমাদের

অন্যান্য বিষয় আছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ট্রাম্পের হুমকি পাত্তাই দিল না আফগানরা অবশেষে হাত মেলাল ভারত, তবে… রাত ১০টার পরও চলবে মেট্রোরেল ময়লার ভাগাড় থেকে ৫ বস্তা এনআইডি কার্ড উদ্ধার রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে জাতিসংঘের সম্মেলন কি ভূরাজনীতিকে প্রভাবিত করবে? বঙ্গোপসাগরে ২ লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস, ৫ দিনের পূর্বাভাসে যা জানা গেল পাকিস্তানের বিপক্ষে আবারও সহজ জয় ভারতের গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি একীভূত হওয়ার ইতিবাচক আলোচনা হচ্ছে : রাশেদ খান ৩ দেশের স্বীকৃতিতে নাখোশ ইসরায়েল ফিলিস্তিনকে ৩ দেশের স্বীকৃতিতে কী লাভ? অর্থবছরের প্রথম ২ মাসে বড় ধরনের রাজস্ব ঘাটতি আমি গর্বিত, আমার সব নায়িকা আজ উদযাপনে শামিল: দেব ডেঙ্গুতে দেশে রেকর্ড মৃত্যু সাজাপ্রাপ্ত ৮ ছাত্রদল নেতা কারাগারে যেসব জেলায় রাতেই ঝড় হতে পারে ‘আ.লীগ ধরলেই ৫ হাজার টাকা পুরস্কার’ বিষয়ে যা জানাল ডিএমপি সংকটের দায় কাঁধে চাপাতেই কি প্রথমবার নারী প্রধানমন্ত্রী বেছে নিচ্ছে জাপান? ছয় মাসে ব্যাংকের চাকরি হারিয়েছেন ৯৭৮ জন বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ আজ, বাংলাদেশ সময় কখন শুরু হঠাৎ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন মোদি, বাড়ছে গুঞ্জন