ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
নিবিড় হচ্ছে ঢাকা-ইসলামাবাদ সামরিক বন্ধন: অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেলের নেতৃত্বে ৩ নভেম্বর রাওয়ালপিন্ডি যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
বর্তমান বাস্তবতায় অন্তবর্তী সরকার গঠনকল্পে সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগে পাঠানো মহামান্য রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সটি রি-কল (Recall) হওয়া উচিত
ঢাকায় স্বতঃস্ফূর্ত মিছিল: অবৈধ ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আওয়ামী লীগ, ১০ মাসে গ্রেপ্তার ৩ হাজার
ইউনূস সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ঢাকার ৪০ স্থানে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল
প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য বিভিন্ন পশ্চিমা কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
অক্টোবরে হেফাজতে মৃত্যু ও অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার বৃদ্ধি, মানবাধিকার পরিস্থিতি ‘উদ্বেগজনক’
অধস্তন আদালতের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে মঙ্গলবার বসছে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা
রাউজান-গাজীপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত অস্ত্র থানা লুটের
দেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পেছনে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী চক্রের অস্ত্র জোগান নতুন করে আবারও প্রমাণিত হলো। গত বছরের ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সারাদেশের প্রায় ৫শ থানা-ফাঁড়ি থেকে অস্ত্র লুটের পর এসব চক্রের হাতে যেসব সরকারি অস্ত্র চলে গিয়েছিল, তা দিয়েই তারা এখন সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে বলে নিরাপত্তা বাহিনীর ধারণা। অভিযানে সেসব অস্ত্র উদ্ধারও করা হচ্ছে।
পুলিশের নিজস্ব অস্ত্রশস্ত্র ছাড়াও বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত অস্ত্র জব্দকৃত আলামত হিসেবে রাখা ছিল থানাগুলোতে। এছাড়াও অনেক ব্যবসায়ী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ব্যক্তিগত লাইসেন্সকৃত অস্ত্রও অনেক সময় থানায় নিরাপদে রক্ষিত থাকে, সব অস্ত্র লুট হয় গত বছরের সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময়। পুলিশের
অস্ত্রের যৎসামান্য উদ্ধার হলেও দেশে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র পুনরায় চলে গেছে সন্ত্রাসীদের হাতে, যারা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকায় ছিল। চট্টগ্রামের রাউজান ও গাজীপুরে পরিচালিত দুইটি বড় অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের মধ্য দিয়ে আবারও প্রকাশ পেয়েছে এই ভয়াবহ বাস্তবতায় উঠে এসেছে এমন চিত্র। ৫ই আগস্ট পরবর্তী সময় থেকে বেপরোয়া সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে যেভাবে মহড়া দিচ্ছে, অপরাধ সংঘটিত করছে, এমন দৃশ্য বিগত দেড় দশকে দেখা যায়নি বলে সাধারণ মানুষ বলছেন। চট্টগ্রামের রাউজানে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত প্রায় ১২ ঘণ্টার অভিযানে র্যাব-৭ উদ্ধার করেছে ৬৯টি অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র। এ সময় গ্রেপ্তার হন দুইজন—নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কুখ্যাত সন্ত্রাসী কামাল উদ্দিন এবং তার সহযোগী সোহেল আহমেদ।
অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারকৃত দুজনেই বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের (গিকা) চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পরিচিত। র্যাব জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় খুন, দখল, চাঁদাবাজি ও নাশকতা চালিয়ে আসছিল। অভিযানে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একনলা বন্দুক, কার্তুজ, চাপাতি, রামদা, চায়নিজ কুড়াল, হকিস্টিক, বারুদ, এমনকি মাদকদ্রব্যও। র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, গত ১৪ মাসে রাউজানে ১৭টি হত্যাকা-ে একই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই অস্ত্রগুলোর বেশিরভাগই ৫ আগস্ট থানা লুটের সময় চুরি যাওয়া অস্ত্রের অংশ। রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, কামালের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি জামিনে থেকে সংগঠিত অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। র্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে
মামলা করা হবে এবং রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, যাতে থানা লুটের অস্ত্রচক্রের মূল উৎস খুঁজে বের করা যায়। একই সময় গাজীপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৪৫টি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছে বিএনপি নেতা তানভীর সিরাজের ভাই তসলিম সিরাজ এবং ভাতিজা মুশফিক সিরাজ। অভিযানটি পরিচালনা করে গাজীপুর সেনাক্যাম্পের অধীনে থাকা ‘১৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি’। ভোররাত পর্যন্ত চলা এই অভিযানে ছোট-বড় ছুরি, চাপাতি, রামদা, হাঁসুয়া ও ৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ২৭টি ‘নকল ডায়মন্ড’ নামের অস্ত্র ধার দেওয়ার উপকরণ পাওয়া গেছে, যা সন্ত্রাসীদের হাতে অস্ত্র রক্ষণাবেক্ষণের প্রমাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বাসন থানার ওসি শাহীন খান জানান, আটক দুজনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র
ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হবে। নিরাপত্তা সূত্রগুলো বলছে, এই দুটি অভিযান প্রমাণ করছে যে বিএনপি-জামায়াত চক্র ৫ই আগস্ট থানা লুটের পর থেকে অস্ত্র সঞ্চয় করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করছে। রাউজান ও গাজীপুরের উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো সেই লুটের অস্ত্রগুলোর অংশ বলে ধারণা করা হচ্ছে। র্যাব ও সেনা কর্মকর্তারা মনে করছেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও ভয়ভীতির পরিবেশ তৈরির জন্য এই চক্র পরিকল্পিতভাবে অস্ত্র সঞ্চয় করছে। সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশে পুনরায় বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে দেওয়া এবং নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা বাড়ানো। রাউজান ও গাজীপুরের অভিযানে যে পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, তা কোনো একক সন্ত্রাসী গ্রুপের নয়। এটি একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক, যার সূত্রপাত েই আগস্টের থানা লুটের
ঘটনায়। র্যাব ও যৌথ বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্ত্রাসী দমনে অভিযান আরও জোরদার করা হবে। ৫ আগস্টের পর থেকে থানা লুটের ঘটনায় উদ্ধার না হওয়া অস্ত্রগুলো কোথায় ব্যবহৃত হচ্ছে, তা খুঁজে বের করতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এই অস্ত্রভান্ডারগুলো শুধু অবৈধ অস্ত্র নয় এগুলো দেশের স্থিতিশীলতার জন্য সরাসরি হুমকি। বিএনপি-জামায়াত চক্র এসব অস্ত্র দিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, যা দমন করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে ওই সূত্র নিশ্চিত করে। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন রাউজান ও গাজীপুরে অভিযান শুধু অস্ত্র উদ্ধার নয় এটি প্রমাণ করছে, বিএনপি ও জামায়াতের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক সক্রিয় এবং তারা থানা লুটের অস্ত্র ব্যবহার করে দেশে সহিংসতা ছড়াচ্ছে।
অস্ত্রের যৎসামান্য উদ্ধার হলেও দেশে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র পুনরায় চলে গেছে সন্ত্রাসীদের হাতে, যারা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকায় ছিল। চট্টগ্রামের রাউজান ও গাজীপুরে পরিচালিত দুইটি বড় অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের মধ্য দিয়ে আবারও প্রকাশ পেয়েছে এই ভয়াবহ বাস্তবতায় উঠে এসেছে এমন চিত্র। ৫ই আগস্ট পরবর্তী সময় থেকে বেপরোয়া সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে যেভাবে মহড়া দিচ্ছে, অপরাধ সংঘটিত করছে, এমন দৃশ্য বিগত দেড় দশকে দেখা যায়নি বলে সাধারণ মানুষ বলছেন। চট্টগ্রামের রাউজানে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত প্রায় ১২ ঘণ্টার অভিযানে র্যাব-৭ উদ্ধার করেছে ৬৯টি অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র। এ সময় গ্রেপ্তার হন দুইজন—নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কুখ্যাত সন্ত্রাসী কামাল উদ্দিন এবং তার সহযোগী সোহেল আহমেদ।
অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারকৃত দুজনেই বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের (গিকা) চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পরিচিত। র্যাব জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় খুন, দখল, চাঁদাবাজি ও নাশকতা চালিয়ে আসছিল। অভিযানে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একনলা বন্দুক, কার্তুজ, চাপাতি, রামদা, চায়নিজ কুড়াল, হকিস্টিক, বারুদ, এমনকি মাদকদ্রব্যও। র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, গত ১৪ মাসে রাউজানে ১৭টি হত্যাকা-ে একই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই অস্ত্রগুলোর বেশিরভাগই ৫ আগস্ট থানা লুটের সময় চুরি যাওয়া অস্ত্রের অংশ। রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, কামালের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি জামিনে থেকে সংগঠিত অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। র্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে
মামলা করা হবে এবং রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, যাতে থানা লুটের অস্ত্রচক্রের মূল উৎস খুঁজে বের করা যায়। একই সময় গাজীপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৪৫টি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছে বিএনপি নেতা তানভীর সিরাজের ভাই তসলিম সিরাজ এবং ভাতিজা মুশফিক সিরাজ। অভিযানটি পরিচালনা করে গাজীপুর সেনাক্যাম্পের অধীনে থাকা ‘১৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি’। ভোররাত পর্যন্ত চলা এই অভিযানে ছোট-বড় ছুরি, চাপাতি, রামদা, হাঁসুয়া ও ৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ২৭টি ‘নকল ডায়মন্ড’ নামের অস্ত্র ধার দেওয়ার উপকরণ পাওয়া গেছে, যা সন্ত্রাসীদের হাতে অস্ত্র রক্ষণাবেক্ষণের প্রমাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বাসন থানার ওসি শাহীন খান জানান, আটক দুজনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র
ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হবে। নিরাপত্তা সূত্রগুলো বলছে, এই দুটি অভিযান প্রমাণ করছে যে বিএনপি-জামায়াত চক্র ৫ই আগস্ট থানা লুটের পর থেকে অস্ত্র সঞ্চয় করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করছে। রাউজান ও গাজীপুরের উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো সেই লুটের অস্ত্রগুলোর অংশ বলে ধারণা করা হচ্ছে। র্যাব ও সেনা কর্মকর্তারা মনে করছেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও ভয়ভীতির পরিবেশ তৈরির জন্য এই চক্র পরিকল্পিতভাবে অস্ত্র সঞ্চয় করছে। সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশে পুনরায় বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে দেওয়া এবং নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা বাড়ানো। রাউজান ও গাজীপুরের অভিযানে যে পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, তা কোনো একক সন্ত্রাসী গ্রুপের নয়। এটি একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক, যার সূত্রপাত েই আগস্টের থানা লুটের
ঘটনায়। র্যাব ও যৌথ বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্ত্রাসী দমনে অভিযান আরও জোরদার করা হবে। ৫ আগস্টের পর থেকে থানা লুটের ঘটনায় উদ্ধার না হওয়া অস্ত্রগুলো কোথায় ব্যবহৃত হচ্ছে, তা খুঁজে বের করতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এই অস্ত্রভান্ডারগুলো শুধু অবৈধ অস্ত্র নয় এগুলো দেশের স্থিতিশীলতার জন্য সরাসরি হুমকি। বিএনপি-জামায়াত চক্র এসব অস্ত্র দিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, যা দমন করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে ওই সূত্র নিশ্চিত করে। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন রাউজান ও গাজীপুরে অভিযান শুধু অস্ত্র উদ্ধার নয় এটি প্রমাণ করছে, বিএনপি ও জামায়াতের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক সক্রিয় এবং তারা থানা লুটের অস্ত্র ব্যবহার করে দেশে সহিংসতা ছড়াচ্ছে।



