রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, নেপথ্যে কী? – ইউ এস বাংলা নিউজ




রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, নেপথ্যে কী?

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১০ জুন, ২০২৫ | ৮:১০ 22 ভিউ
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি ঘুরতে আসা এক দর্শনার্থীকে মারপিটের অভিযোগে কাছারিবাড়ির অডিটোরিয়াম ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরের দিকে দর্শনার্থীকে মারপিটের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে কাছারিবাড়িতে ঢুকে কাস্টোডিয়ানের অফিসসহ অডিটোরিয়াম ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ সময় অডিটোরিয়ামের বাগান পরিচারক মো. সিরাজুল ইসলামকে মারধরের ঘটনাও ঘটে। রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, নেপথ্যে কী? স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার (০৮ জুন) বিকেলে শাহনেওয়াজ নামে এক দর্শনার্থী স্ত্রী ও ভাতিজাকে সঙ্গে নিয়ে রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে ঘুরতে যান। এ সময় তারা প্রবেশমূল্য পরিশোধ করে টিকেট সংগ্রহ করেন। কিন্তু তাদের মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের টাকা নিয়েও টোকেন দেয়নি কর্তৃপক্ষ। কাছারিবাড়ি ঘোরা শেষ হলে বের হওয়ার সময় মেইন গেটের কর্মচারী

মোটরসাইকেলের টোকেন দেখতে চান। ভুক্তভোগী দর্শনার্থী শাহনেওয়াজ বলেন, ‘মোটরসাইকেলে পার্কিংয়ের আলাদা কোনো টিকেট দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে উভয়ের কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়।’ জানা গেছে, হাতাহাতির খবর পেয়ে কাছারিবাড়ির কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমানসহ স্টাফরা এসে শাহনেওয়াজকে মারধর করে এবং ধরে নিয়ে অফিসের আটকে শারীরিক নির্যাতন চালায়। খবর পেয়ে শাহনেওয়াজের অভিভাবক বিএনপির নেতাদের সঙ্গে নিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় কাস্টোডিয়ানসহ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন শাহনেওয়াজ। এদিকে দর্শনার্থীকে মারধরের ঘটনায় মঙ্গলবার শাহজাদপুরের সর্বস্তরের জনসাধারণের ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা মিছিল নিয়ে কাছারিবাড়ি অডিটোরিয়ামে গিয়ে ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সহকারী

কমিশনার (ভূমি) মো. মুশফিকুর রহমান। ভুক্তভোগী দর্শনার্থীর ভাই সবুজ, হান্নান ও সুমন জানান, প্রবাসী শাহনেওয়াজ ছুটিতে দেশে এসে স্ত্রীকে কাছারি বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র তাকে অফিসে আটকে রেখে যে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে তা ন্যক্কারজনক। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত শেষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা। এদিকে গত ৮ জুনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করলেও ভাঙচুরের ঘটনা সম্পর্কে বক্তব্য দিতে রাজি হননি শাহজাদপুর কাচারিবাড়িতে দায়িত্বরত কর্মকর্তা (কাস্টোডিয়ান) হাবিবুর রহমান। শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আছলাম আলী বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন: নগদের মাধ্যমে সরকারি ভাতার ১৭১১ কোটি টাকা উধাও দশ মাস পর মা-ছেলের আবেগঘন পুনর্মিলন করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১১ নির্দেশনা জারি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ইউরোপীয় সংগঠনগুলোর চিঠি: ইউনূস-সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার আহ্বান জনগণ চায় একটি পক্ষপাতহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আটক ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে বন্ধু ছাত্রদল নেতার গুলি, যুবদল কর্মী নিহত সুন্দর ড্রেস পরা ম্যাক্সিমাম মেয়েরা মাদকের সাথে জড়িত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লন্ডনে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ, গোপনে পেছনের দরজা দিয়ে হোটেলে প্রবেশ ইউনূসের লাইফস্টাইল টিপস: মুটিয়ে যাওয়ার চিন্তায় চিন্তায় আরও মুটিয়ে যাচ্ছেন? করণীয় কী? নিউইয়র্ক কি ইতিহাসে প্রথম কোনো মুসলিম মেয়র পেতে যাচ্ছে? প্রাথমিকভাবে ৮ হাসপাতালে শুরু হচ্ছে করোনা পরীক্ষা জামায়াত নেতা মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফীর ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ১২৩ ডিসিসির নগর ভবনে তালা, মশা নিয়ন্ত্রণের বৈঠক ওয়াসা ভবনে জামায়াত-শিবির পেটানোর ঘোষণা ছাত্র ফেডারেশন নেতা শুভ দের চার ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন সাংবাদিক শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপা উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে এক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে ভরা মঞ্চে দলের নেতাকে মালা পরিয়ে সপাটে চড় মারার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। Video Player is loading. Close PlayerUnibots.com সুহেলদেব স্বাভিমান দলের সভাপতি মহেন্দ্র রাজভরকে তার দলেরই এক কর্মী, ব্রিজেশ রাজভর, মারধর করেছেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনা ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। 1 ‘রাম সেবক ইউপি’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, গত শুক্রবার জৌনপুর জেলায় একটি ভূমিপূজা ও মহারাজা সুহেলদেবের বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান চলছিল। মঞ্চে অন্যান্যদের সাথে দাঁড়িয়ে ছিলেন দলের সভাপতি মহেন্দ্র রাজভর। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, তাকে মালা পরানোর জন্য মঞ্চে ওঠেন দলের কর্মী ব্রিজেশ। মালা পরানোর পরই আকস্মিকভাবে তিনি মহেন্দ্র রাজভরের গালে পর পর চড় মারতে শুরু করেন। ঘটনার পর মহেন্দ্র রাজভর ব্রিজেশের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। নিউইয়র্ক কি ইতিহাসে প্রথম কোনো মুসলিম মেয়র পেতে যাচ্ছে? সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় মহেন্দ্র রাজভর জানান যে, ভূমিপূজার সময় ব্রিজেশ তাকে মালা পরিয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, যখন তার বক্তৃতা করার পালা এসেছিল, তখনই ব্রিজেশ তাকে বেশ কয়েকবার চড় মারেন। মহেন্দ্রের আরও অভিযোগ, সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টির নেতা এবং যোগী আদিত্যনাথের সরকারের মন্ত্রী ওম প্রকাশ রাজভরের নির্দেশেই ব্রিজেশ এই হামলা চালিয়েছেন। তবে, মহেন্দ্রের আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্রিজেশ। পাল্টা অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “অনুষ্ঠানে এসে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলার সময় মহেন্দ্র অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন।” এই ভিডিওর সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি, তবে এটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। মালা পরিয়েই নেতাকে ইচ্ছেমতো থাপড়ালেন কর্মীরা! ট্রাম্পকে হত্যার হুমকি আল-কায়েদার এসএসসির ফল প্রকাশ কবে -জানালেন ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান