
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

নিউইয়র্কে ভুলে গ্রেফতার ব্যক্তিরা পাবেন ১০ হাজার ডলার

পাঁচ লাখ ৩০ হাজার অভিবাসীর অস্থায়ী আইনি বৈধতা (টিপিএস) বাতিল করলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসে বৈধ কাগজপত্রহীন বাংলাদেশিদের মধ্যে গ্রেফতার আতংক!

যুক্তরাষ্ট্রে পার্কে বন্দুক হামলা, নিহত ৩

যুক্তরাষ্ট্রে পার্কে বন্দুক হামলা, নিহত ৩

নতুন ‘মহামারি’ ছড়িয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে, মৃত্যুর হার ৩৯ %

নতুন ‘মহামারি’ ছড়িয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে, মৃত্যুর হার ৩৯ %
যুদ্ধ নাকি কূটনীতি, কোন পথে হাঁটবে তারা

বিশ্ব পরিস্থিতি উত্তপ্ত ও জটিল করছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র। বিভিন্ন কারণেই আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে এ দুই দেশ। বিশেষ করে ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হুমকি বিশ্বমঞ্চে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামরিক পদক্ষেপ এবং ইরানের ক্রমাগত প্রতিক্রিয়া এ উত্তেজনার মূল কারণ। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সাম্প্রতিক বক্তব্য এবং ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের উন্নতি না হওয়া, কেন যুক্তরাষ্ট্রকে তোয়াক্কা করে না ইরান, ইরান কী যুদ্ধ চায়?— এসবের বিশ্লেষণ নিয়ে এই প্রতিবেদন।
ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ইতিহাস
ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ইতিহাস অনেকটাই জটিল। ১৯৭৯ সালে ইরান ইসলামি বিপ্লবের মাধ্যমে শাসন পরিবর্তন হলে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে চিড় ধরে। এরপর থেকে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের
মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কখনো কখনো তা সামরিক সংঘাতের দিকে গড়িয়ে যায়। ২০১৫ সালে ইরান এবং ছয়টি বিশ্ব শক্তি— (চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র) এক ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এর মাধ্যমে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করে এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পরিদর্শকদের তেহরানে পারমাণবিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেয়। এর বিনিময়ে ইরানের ওপর আরোপিত মার্কিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে এ চুক্তি থেকে বের হয়ে যান এবং ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। ট্রাম্পের এ পদক্ষেপে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে
যাওয়ার পর ইরান তার পারমাণবিক কার্যক্রম বাড়িয়ে দেয়। ট্রাম্পের চিঠি এবং ইরানের প্রত্যাখ্যান যুদ্ধ নাকি কূটনীতি, কোন পথে হাঁটবে তারা সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি চিঠি পাঠান ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছে। চিঠিতে তিনি ইরানকে পরমাণু আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানান। তবে এ চিঠি গ্রহণ করে ইরান কোনো আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানায়। আয়াতুল্লাহ খামেনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘আমরা ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসবো না, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের গঠনমূলক উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।’ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতারণামূলক নীতি এবং দেশটির আগ্রাসী আচরণের তীব্র সমালোচনা করেন। ইরানের মূল উদ্বেগ হলো, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক নীতি এবং সামরিক হুমকি চুক্তি বা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আয়াতুল্লাহ
খামেনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি পারমাণবিক চুক্তি থেকে বের হয়ে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তবে আমরা তাদের হুমকির কাছে নত নই।’ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও হুমকি ইরান দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে, তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে আগ্রহী নয়। তবে গত কয়েক বছরে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করেছে, বিশেষত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের ক্ষেত্রে। বর্তমানে ইরান ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম বাড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজন। আইএইএ বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং ইরানকে সতর্ক করেছে। যদিও ইরান বারবার দাবি করেছে, তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করছে না, তাদের পারমাণবিক কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সন্দেহ বাড়ছে। ইরান নিজের
বক্তব্যে বলেছে, ‘যদি আমরা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চাইতাম, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের থামাতে পারতো না।’ এমনকি, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন, ‘ইরান কখনও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দিকে যাবে না, কারণ ইসলামিক রীতি নীতি অনুযায়ী এই ধরনের অস্ত্র তৈরির কোনো প্রয়োজন নেই।’ মার্কিন সামরিক পদক্ষেপ ও ইরানের প্রতিক্রিয়া এ দিকে চলতি মার্চে ট্রাম্প ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের হুমকি মোকাবিলা করতে ‘শক্তিশালী’ সামরিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ পদক্ষেপে ইরানকে হুতিদের প্রতি সহায়তা বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়। ট্রাম্পের এ পদক্ষেপের পর ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) দ্রুত হুঁশিয়ারি দেয়, তারাও ‘কঠোর ও ধ্বংসাত্মক’ প্রতিক্রিয়া দেখাবে। আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামি বলেন, ‘ইরান যুদ্ধ চায় না,
তবে কেউ যদি আমাদের ওপর আক্রমণ করে, তাহলে আমরা কঠোরভাবে এর জবাব দেব।’ এমনকি ইরানীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রও মার্কিন হামলাকে ‘নির্মম’ এবং ‘জাতিসংঘ সনদের গুরুতর লঙ্ঘন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ইরানের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণের কোনো অধিকার নেই। তাদের উচিত ইয়েমেনের জনগণের ওপর হামলা বন্ধ করা।’ গত ১৫ মার্চ থেকে মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। এ পর্যন্ত মার্কিন হামলায় ইয়েমেনে কমপক্ষে ৫৩ জন নিহত হয়েছে। এর আগে হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত জাহাজগুলোর ওপর হামলা শুরু করে। গাজায় ইসরায়েলের অবরোধ ও হামলার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে এ হামলা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে হুতিরা। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা এবং ভবিষ্যৎ বর্তমান পরিস্থিতি
মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি করেছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্র হুতিদের ওপর নয়, ইসরায়েল একের পর এক লেবাননে হামলা চালাচ্ছে। আবার গাজার ওপর গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে। এ পরিস্থিতিতে ইরানের কঠোর প্রতিক্রিয়া এ অঞ্চলে সম্ভাব্য সংঘাতের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। তবে ইরান পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে, ‘ইরান নিজে কোনো আগ্রাসন শুরু করবে না, তবে কেউ যদি তাদের বিরুদ্ধে আগ্রাসী পদক্ষেপ নেয়, তাহলে তারা এর উপযুক্ত জবাব দিবে।’ যদিও ট্রাম্প প্রশাসন সামরিক পদক্ষেপের দিকে ঝুঁকছে, তবে ইরানের সঙ্গে সম্ভাব্য সমঝোতা চুক্তি হলে সংঘাত এড়ানো যাবে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, ‘ইরানকে মোকাবিলা করার দুটি উপায় আছে—সামরিকভাবে অথবা চুক্তি করে। আমি চুক্তি করতে চাই, কারণ আমি জানি, ইরানকে আঘাত করতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ইচ্ছা নেই।’ ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফা ক্ষমতা নেওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি বদলে গেছে। পারমাণবিক চুক্তি, সামরিক পদক্ষেপ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গতিপথে কঠিন দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। এর ভবিষ্যৎ পরিণতি কী হবে, তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। যদিও দুদেশই যুদ্ধ চায় না, তবে সামরিক পদক্ষেপ এবং প্রতিক্রিয়া একে অপরকে আরও উত্তেজিত করে তুলছে। আর এ উত্তেজনার পরিণতি শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, এরইমধ্যে বিশ্বের সব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে।
মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কখনো কখনো তা সামরিক সংঘাতের দিকে গড়িয়ে যায়। ২০১৫ সালে ইরান এবং ছয়টি বিশ্ব শক্তি— (চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র) এক ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এর মাধ্যমে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করে এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পরিদর্শকদের তেহরানে পারমাণবিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেয়। এর বিনিময়ে ইরানের ওপর আরোপিত মার্কিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে এ চুক্তি থেকে বের হয়ে যান এবং ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। ট্রাম্পের এ পদক্ষেপে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে
যাওয়ার পর ইরান তার পারমাণবিক কার্যক্রম বাড়িয়ে দেয়। ট্রাম্পের চিঠি এবং ইরানের প্রত্যাখ্যান যুদ্ধ নাকি কূটনীতি, কোন পথে হাঁটবে তারা সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি চিঠি পাঠান ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছে। চিঠিতে তিনি ইরানকে পরমাণু আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানান। তবে এ চিঠি গ্রহণ করে ইরান কোনো আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানায়। আয়াতুল্লাহ খামেনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘আমরা ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসবো না, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের গঠনমূলক উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।’ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতারণামূলক নীতি এবং দেশটির আগ্রাসী আচরণের তীব্র সমালোচনা করেন। ইরানের মূল উদ্বেগ হলো, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক নীতি এবং সামরিক হুমকি চুক্তি বা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আয়াতুল্লাহ
খামেনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি পারমাণবিক চুক্তি থেকে বের হয়ে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তবে আমরা তাদের হুমকির কাছে নত নই।’ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও হুমকি ইরান দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে, তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে আগ্রহী নয়। তবে গত কয়েক বছরে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করেছে, বিশেষত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের ক্ষেত্রে। বর্তমানে ইরান ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম বাড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজন। আইএইএ বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং ইরানকে সতর্ক করেছে। যদিও ইরান বারবার দাবি করেছে, তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করছে না, তাদের পারমাণবিক কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সন্দেহ বাড়ছে। ইরান নিজের
বক্তব্যে বলেছে, ‘যদি আমরা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চাইতাম, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের থামাতে পারতো না।’ এমনকি, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন, ‘ইরান কখনও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দিকে যাবে না, কারণ ইসলামিক রীতি নীতি অনুযায়ী এই ধরনের অস্ত্র তৈরির কোনো প্রয়োজন নেই।’ মার্কিন সামরিক পদক্ষেপ ও ইরানের প্রতিক্রিয়া এ দিকে চলতি মার্চে ট্রাম্প ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের হুমকি মোকাবিলা করতে ‘শক্তিশালী’ সামরিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ পদক্ষেপে ইরানকে হুতিদের প্রতি সহায়তা বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়। ট্রাম্পের এ পদক্ষেপের পর ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) দ্রুত হুঁশিয়ারি দেয়, তারাও ‘কঠোর ও ধ্বংসাত্মক’ প্রতিক্রিয়া দেখাবে। আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামি বলেন, ‘ইরান যুদ্ধ চায় না,
তবে কেউ যদি আমাদের ওপর আক্রমণ করে, তাহলে আমরা কঠোরভাবে এর জবাব দেব।’ এমনকি ইরানীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রও মার্কিন হামলাকে ‘নির্মম’ এবং ‘জাতিসংঘ সনদের গুরুতর লঙ্ঘন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ইরানের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণের কোনো অধিকার নেই। তাদের উচিত ইয়েমেনের জনগণের ওপর হামলা বন্ধ করা।’ গত ১৫ মার্চ থেকে মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। এ পর্যন্ত মার্কিন হামলায় ইয়েমেনে কমপক্ষে ৫৩ জন নিহত হয়েছে। এর আগে হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত জাহাজগুলোর ওপর হামলা শুরু করে। গাজায় ইসরায়েলের অবরোধ ও হামলার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে এ হামলা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে হুতিরা। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা এবং ভবিষ্যৎ বর্তমান পরিস্থিতি
মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি করেছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্র হুতিদের ওপর নয়, ইসরায়েল একের পর এক লেবাননে হামলা চালাচ্ছে। আবার গাজার ওপর গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে। এ পরিস্থিতিতে ইরানের কঠোর প্রতিক্রিয়া এ অঞ্চলে সম্ভাব্য সংঘাতের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। তবে ইরান পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে, ‘ইরান নিজে কোনো আগ্রাসন শুরু করবে না, তবে কেউ যদি তাদের বিরুদ্ধে আগ্রাসী পদক্ষেপ নেয়, তাহলে তারা এর উপযুক্ত জবাব দিবে।’ যদিও ট্রাম্প প্রশাসন সামরিক পদক্ষেপের দিকে ঝুঁকছে, তবে ইরানের সঙ্গে সম্ভাব্য সমঝোতা চুক্তি হলে সংঘাত এড়ানো যাবে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, ‘ইরানকে মোকাবিলা করার দুটি উপায় আছে—সামরিকভাবে অথবা চুক্তি করে। আমি চুক্তি করতে চাই, কারণ আমি জানি, ইরানকে আঘাত করতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ইচ্ছা নেই।’ ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফা ক্ষমতা নেওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি বদলে গেছে। পারমাণবিক চুক্তি, সামরিক পদক্ষেপ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গতিপথে কঠিন দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। এর ভবিষ্যৎ পরিণতি কী হবে, তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। যদিও দুদেশই যুদ্ধ চায় না, তবে সামরিক পদক্ষেপ এবং প্রতিক্রিয়া একে অপরকে আরও উত্তেজিত করে তুলছে। আর এ উত্তেজনার পরিণতি শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, এরইমধ্যে বিশ্বের সব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে।