মিসরে দানখয়রাতে চলছে গাজা শরণার্থীদের দিন – ইউ এস বাংলা নিউজ




মিসরে দানখয়রাতে চলছে গাজা শরণার্থীদের দিন

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৩০ মে, ২০২৫ | ১০:২৯ 49 ভিউ
মিসরে দানখয়রাতে চলছে গাজা শরণার্থীদের দিন। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে অর্থের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কায়রোতে গাজার উদ্বাস্তুদের সাহায্যকারী এমন একজন স্বেচ্ছাসেবক আমিরা। তিনি খাদ্য ও সাহায্য প্যাকেজ পাঠানোর জন্য একটি স্থানীয় গ্রুপে যোগ দিয়েছিলেন। তারই মতো আরও একজন স্বেচ্ছাসেবক রায়া বলেছেন, কিছু ক্ষেত্রে মানুষ আমাদের কাছে তাদের বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য সাহায্য করার জন্য ভিক্ষা চায়। দ্য গার্ডিয়ান। যুদ্ধ শুরুর প্রথম ৩৮ দিনে রায়ার গ্রুপ ৩০ হাজার ডলারের বেশি সংগ্রহ করেছে। যার বেশির ভাগই আবাসন এবং ওষুধের জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তারা সম্মিলিতভাবে ১০০টি পরিবারের মধ্যে সহায়তা বিতরণ করেছে। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর মিসরে চলে আসা এমন একজন রানিয়া।

কায়রোতে আসার জন্য তিনি তার সব গহনা বিক্রি করে দিয়েছিলেন। উত্তর গাজায় ভারী গোলাবর্ষণের পর জীবন বাঁচাতে পালিয়ে আসে তার পুরো পরিবার। এরপর গাজায় আশ্রয় শিবিরে ছিলেন তারা। দীর্ঘ তিন মাস পর, তিনি সীমান্ত শহর রাফাহতে নিজের আংটি, সোনার ব্রেসলেট এবং নেকলেস বিক্রি করে ১৫ হাজার ডলার দিয়ে মিসরে আসতে হয় তাকে। বর্তমানে রানিয়া এবং তার পরিবার কায়রোতে একটি অ্যাপার্টমেন্টের জন্য খাবার এবং ভাড়া দেওয়ার জন্য তৃণমূল দাতব্য সংস্থার ওপর নির্ভর করছে। এটি তার পুরোনো জীবনের সম্পূর্ণ বিপরীত। রানিয়া বলেন, এর আগে তার স্বামী একটি সাহায্য সংস্থার জন্য কাজ করে ভালো বেতন পেতেন। তাদের দুটি বাড়ি, দুটি গাড়ি ছিল। তার সন্তানরা

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত। এখন সেগুলো সবই অতীত। রানিয়ার মতো এমন আরও অনেক পরিবার যুদ্ধের পর মিশরে আশ্রয় নিয়েছে। রানিয়া বলেন, ‘মিসরে জীবন সহজ নয়। আমরা এখানে থাকতে চাই না, তবে আমরা ছেড়েও যেতে চাই না। মাঝে মাঝে আমরা দেশত্যাগের কথা ভাবি। কিন্তু যখনই আমরা বিষয়টি নিয়ে আসি, আমরা সবাই আমাদের হৃদয়ে জানি যে আমরা কেবল গাজায় ফিরে যেতে চাই।’ মিসরীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ গাজা ছেড়েছে। এরপর থেকে বেশিরভাগই অন্য দেশে ভ্রমণ করেছে। কিন্তু স্বেচ্ছাকর্মীরা বলছেন ত্রাণ সাহায্যের অপ্রতুলতা সত্ত্বেও হাজার হাজার ফিলিস্তিনি মিসরে আশ্রয় নিচ্ছেন। যদিও গাজা থেকে মিসরে ভ্রমণ প্রাথমিকভাবে একাধিক সংস্থার ভিন্ন ভিন্ন মূল্য চার্জ করত। একক

কোম্পানি সীমান্ত ক্রসিংয়ে একজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য ৫ হাজার ডলার এবং প্রতিটি শিশুর জন্য ২৫০০ ডলার নিয়ে থাকে। একজন মিসরীয় অ্যাক্টিভিস্টের মতে, হালা কনসাল্টিং এবং ট্যুরিজম ‘এখন গাজা থেকে বের হয়ে আসার একমাত্র উপায়’।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রত্যাশা পূজা পরিষদের অক্সিজেন ছাড়াই শীর্ষ পর্বত মানাসলুর চূড়ায় দুই বাংলাদেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২১৯ ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে ট্রাম্পের নতুন হুমকি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তানের একাধিক এলাকা ব্যাংক কর্মীদের উৎসাহ বোনাস নিয়ে নতুন নির্দেশনা ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার পথে হাঁটছে উয়েফা সাত বছর ধরে যে শহরে ছিল গাড়ি ধোয়ায় নিষেধাজ্ঞা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না, জানাল সৌদি আরব সৌরবিদ্যুতে ভর্তুকি কমলেও লাভ হবে গ্রাহকের মস্কোতে শুরু ওয়ার্ল্ড অ্যাটমিক উইক ঘোষণা শুনেই বাজারে বাড়ল খোলা তেলের দাম স্বর্ণের আজকের বাজারদর জেনে নিন নীলক্ষেতেই ছাপা ডাকসুর ব্যালট: সংখ্যায় বিশাল গরমিল, নির্বাচনে ঘাপলা ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ: আটক নেতা-কর্মীদের পাশে কেন্দ্রীয় যুবলীগ ১০৪ সদস্যের লটবহর নিয়ে ড. ইউনূসের নিউইয়র্ক সফর: জনগণের অর্থের শ্রাদ্ধ করে প্রাপ্তিযোগ কী? প্রকল্প বাস্তবায়নে সমন্বয়ক ও উপদেষ্টাদের এলাকাপ্রীতিতে বঞ্চিত সমস্যাগ্রস্ত জেলার মানুষ ইউনূস আমলে ভিসা পাচ্ছেন না বাংলাদেশিরা, বিদেশি ইমিগ্রেশন থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে অনেককে শান্তিপূর্ণ ভিন্নমত প্রকাশ ও সমাবেশের উপর দমন-পীড়ন মানবাধিকারের লঙ্ঘন ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৫% হারে বৈদেশিক ঋণ: সরকারের নতুন ‘অর্থনৈতিক ঝুঁকি’ নিয়ে উদ্বেগ