মাস্কের নাগরিকত্ব বাতিল চান দেড় লাখ কানাডিয়ান – ইউ এস বাংলা নিউজ




মাস্কের নাগরিকত্ব বাতিল চান দেড় লাখ কানাডিয়ান

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৮:২৩ 34 ভিউ
বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের কানাডার নাগরিকত্ব বাতিল করতে দেশটির দেড় লাখের বেশি নাগরিক একটি পার্লামেন্টারি পিটিশনে সই করেছেন। তাদের যুক্তি, মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র, আর ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে কানাডার স্বাধীনতা হুমকির মুখে ফেলে দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত করার হুমকি দিয়ে আসছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার লেখক কোয়ালিয়া রিড এ পিটিশনটি কানাডার হাউস অব কমন্সে উত্থাপন করেন। নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির এমপি ও মাস্কের সমালোচক চার্লি অ্যাঙ্গাসের অর্থায়নে এ পিটিশনটি পরিচালিত হয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া মাস্ক বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি টেসলা, স্পেসএক্স এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্স-এর প্রধান। তার মায়ের সূত্র ধরে

তিনি কানাডার নাগরিক। মাস্কের মায়ের জন্মস্থান কানাডার সাসকাচোওয়ান প্রদেশের রাজধানী রেজিনা। ইলন মাস্ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরামর্শদাতার পাশাপাশি মার্কিন সরকারের নতুন অঙ্গ সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের আকার কমানোর পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প বারবার কানাডার সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করে আসছেন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি দাখিল করা রিডের পিটিশনে অভিযোগ করা হয়েছে, মাস্ক ‘ট্রাম্পের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে কানাডার জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত’ হয়েছেন। ট্রাম্প কানাডার পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়ে ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটি সংযুক্ত করার বিষয়ে প্রকাশ্যে দম্ভোক্তি করে

কানাডার ৪ কোটি মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছেন। পিটিশনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়া মানে মাস্ক এমন এক ‘বিদেশি সরকারের সদস্য, যারা কানাডার সার্বভৌমত্ব মুছে ফেলতে চায়।’ এই পিটিশনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কাছে মাস্কের নাগরিকত্ব অবিলম্বে বাতিল করার এবং তাঁর কানাডীয় পাসপোর্ট প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়েছে। ট্রাম্প আগেও ট্রুডোকে ব্যঙ্গ করে ‘গভর্নর’ বলেছেন। এই শব্দটি সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলোর প্রধান নির্বাহীদের জন্য ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে, ট্রুডো লিবারেল পার্টির প্রধানের পদ ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর মাস্ক এক্সে ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। কানাডার সংবাদমাধ্যম কানাডীয় প্রেস জানিয়েছে, সাধারণত এ ধরনের পিটিশনটি স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য কমপক্ষে ৫০০ স্বাক্ষর প্রয়োজন, যাতে এটি হাউস অব কমন্সে

উপস্থাপন করা যায় এবং সরকারিভাবে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। রিডের পিটিশন সহজেই এই শর্ত পূরণ করেছে এবং রোববার রাত পর্যন্ত এতে প্রায় ১ লাখ ৫৭ হাজার স্বাক্ষর পড়েছে এবং ক্রমাগত বাড়ছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সোনা লুট, ঘটনায় জড়িত চার পুলিশ ডিবিতে জিজ্ঞাসাবাদে নুসরাত ফারিয়া রোগী দেখে ওষুধ দেবে এআই চিকিৎসক অশ্লীলতা ছড়ানোর দায়ে উপস্থাপিকা তমাকে লিগ্যাল নোটিশ মার্কিন কারাগার থেকে হত্যা মামলার আসামিসহ ১০ জনের পলায়ন স্থলবন্দরে ভারতের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা যা বললেন বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা, দুশ্চিন্তায় ভারতের ব্যবসায়ীরা এবার আলোচনায় কর্নেল কুরেশির যমজ বোন—ড. শায়না কালও বিক্ষোভের ডাক ইশরাক সমর্থকদের হাইকোর্ট: ভেতরে আপিল শুনানি, বাইরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের অবস্থান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ ভারত স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চায় পাকিস্তানের সঙ্গে রিজার্ভ চুরি: প্রতিবেদন জমার তারিখ পেছাল ৮৫ বার দেশে আরও বেকার বাড়ল ১ লাখ ৬০ হাজার গাজায় ‘ব্যাপক’ স্থল অভিযান শুরু ইসরাইলের হায়দ্রাবাদের ভবনে ভয়াবহ আগুন, বহু মানুষের প্রাণহানি মিরপুরে বস্তিতে আগুন নতুন শাখা খোলার বিষয়ে কঠোর নীতিমালা বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ইউনূসের রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্তের’ বিরুদ্ধে একদিনে আওয়ামী লীগের ৩৯ মিছিলে প্রকম্পিত ঢাকার রাজপথ ছাত্রলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে গাছের সাথে বেঁধে পিটিয়ে-কুপিয়ে গুরুতর জখম