মানচিত্র অক্ষুণ্ন রাখবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, কারও ভয়ে ভীত হয়ে নয় – ইউ এস বাংলা নিউজ




মানচিত্র অক্ষুণ্ন রাখবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, কারও ভয়ে ভীত হয়ে নয়

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৪ মে, ২০২৫ | ৫:৪০ 78 ভিউ
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে সেনাবাহিনী। বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে নিজস্ব ভুখন্ডকে রক্ষা করাই তাদের প্রধান কাজ। এছাড়া তারা অভ্যন্তরীণ নানা দুর্যোগে সবচেয়ে কঠিন দায়িত্ব নিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে তা পালন করে। গত আগস্টে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর থেকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং সাধারণ জনগণের জানমাল রক্ষায় সেনাবাহিনী সর্বাগ্রে মূখ্য ভূমিকা রাখছে। কিন্তু এক গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বর্তমান উগ্রবাদ-নির্ভর সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি থেকে শুরু করে মৌলবাদী সহ সরকারের শরিক অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর অনেক নেতারাই প্রতিনিয়ত সেনাবাহিনীকে নিয়ে অসম্মানজনক বক্তব্য দিচ্ছে। ৫ই আগস্ট সেনাবাহিনীর সদস্যদের ফুল দিয়ে বরন করে নিলেও, নিজেদের এজেন্ডা রক্ষার উদ্দেশ্যে সেই সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে হুমকি ধামকি বেড়েই

যাচ্ছে। বিশেষ করে সরকারের ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, কিংস পার্ট তথা জাতীয় নাগরিক পার্টির উগ্র নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমসহ সরকারি মদদপুষ্ট কিছু ইউটিউবার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নানারকম কুৎসা রটিয়ে মনোবল ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে। বাংলাদেশের সংবিধানের শেষ রক্ষক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উষ্কে দেয়া হচ্ছে এক শ্রেনীর উগ্র জনতাকে। লক্ষ্য হচ্ছে, শেষ বাধা সেনাবাহিনীকে ব্যার্থ করে নিজেদের খেয়ালখুশি মতো মবতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। আমরা দেখেছি একদিকে যেমন অনেক জায়গায় সেনাবাহিনীকে যথাযথভাবে কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না, অন্যদিকে কিছু ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং মবকে ব্যবহার করে সেনা সদস্যদের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সেনাপ্রধান ও সেনাবাহিনী ৫ই আগস্ট পর থেকে দেশের নিরাপত্তার গুরুদায়িত্ব নিজেদের হাতে নিয়েছে এবং নিশ্চিত

করছে সংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আর নিশ্চিত করতে চাচ্ছে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের। কিন্তু বর্তমান ক্ষমতাসীন উগ্রবাদীরা সেনাবাহিনীকে দুর্বল করে সারাদেশে মবতন্ত্র কায়েম করতে চায়। একইসাথে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে পশ্চিমা মদদে প্রতিবেশী দেশের সমস্যায় জড়িয়ে দেশকে চরম বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে সরকার। শুধু দেশকে না, জাতীয় পতাকার রক্ষক সেনাবাহিনীকে এমন এক যুদ্ধে জড়াতে বাধ্য করা হচ্ছে, যা কখনই আমাদের যুদ্ধ ছিল না। এর প্রেক্ষিতে মাস দুয়েক আগে রাওয়া ক্লাবের এক আলোচনা সভায় সেনাপ্রধান সবাইকে সাবধান করে বলেছিলেন যে, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব যেন হুমকির মুখে না পড়ে। কিন্তু এখন যেন সেই পথেই হাঁটছে বাংলাদেশ। দুই সপ্তাহ আগে এক সভায় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের প্রসঙ্গ এনে প্রধান উপদেষ্টা

বললেন, এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকেও যুদ্ধের পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে হবে। নাহলে তা হবে আত্মঘাতী। কিন্তু আমাদেরকে কেন প্রস্তুতি নিতে হবে? গত ৫৪ বছরে তো বাংলাদেশের সাথে কোন দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতি হয়নি। এখন কেন পরিস্থিতি সেদিকে যাচ্ছে? প্রধান উপদেষ্টার পদে বসেও কেন তিনি সশস্ত্র বাহিনীকে এমন প্ররোচণা দিচ্ছেন? এই বালখিল্যতার জন্য চরম মূল্য দিতে হতে পারে। অন্যদিকে পশ্চিমা মদদপুষ্ট মায়ানমারের আরাকান আর্মি রাখাইনের বেশিরভাগ অঞ্চল দখল করায় বাস্তুচ্যুত হচ্ছে রোহিঙ্গারা। খাদ্যাভাবে মানবেতর জীবনযাপন করা মানুষদের জন্য পশ্চিমাদের অনুরোধে জাতিসংঘের মাধ্যমে মানবিক করিডোর দিতে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছে সরকার। কাউকে কিছু না জানিয়ে এবং কারও সাথে আলোচনা না করে প্রধান উপদেষ্টা তার ক্ষমতাবলে এমন স্পর্শকাতর সিন্ধান্ত নিতে পারে

কিনা সেটাও প্রশ্নসাপেক্ষ। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে রহস্যজনকভাবে রোহিঙ্গা বিষয়ক কর্মকর্তা খলিলুর রহমানকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এমন একটা সময়ে মার্কিন নাগরিক খলিলুর রহমানকে নিরাপত্তা উপদেষ্টা করা হয়, যখন সমগ্র বাংলাদেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকা সেনাপ্রধান বাংলাদেশে ছিলেন না। এরই মধ্যে সরকার স্বীকার করেছে মায়ানমারের সাথে বাংলাদেশের প্রায় ২৭২ কিলোমিটার সীমান্ত এখন আরাকান আর্মির দখলে চলে গেছে। সরকার বলছে তারা আরাকান আর্মির সাথে সমন্বয় করে কাজ করছে। এ নিয়ে নানাদিকে সমালোচনা হলেও তারা তা আমলে নিচ্ছে না। আরাকান আর্মি এমন এক বিদ্রোহী গোষ্ঠি যারা কোন শান্তি আলোচনাকেই পাত্তা দেয় নাই, না চায়নার, না মায়নামার জান্তা সরকারের। সেই আরাকান আর্মি, যারা এখনো

নাফ নদীতে বা সীমান্তে এলাকায় যত্রতত্র অস্ত্রের ক্ষমতা প্রদর্শন করে যাচ্ছে, এদের সাথে সহযোগীতা করতে যাওয়া মানে সেনাসদস্যদের সব সময় পিছনেও দুইটা চোখ খোলা রাখা। মাতৃভূমিকে রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মোস্তাফা কামাল, মোহাম্মদ হামিদুর রহমান, মুন্সি আব্দুল রউফ, রুহুল আমিন, মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, মতিউর রহমান, নূর মোহাম্মদ শেখ সহ হাজারো মুক্তিযোদ্ধা সেনা’দের উত্তরসূরী। অন্যদেশের এজেন্ডা অথবা কারো ব্যাক্তিগত ক্ষমতাশালী হওয়ার এজেন্ডা বাস্তবয়নে আমাদের সেনাবাহিনী তাদের মহামূল্যবান জীবন হেলায় হারাবে না। আমাদের বিশ্বাস দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারী, প্রভাবশালী রংবাজ বা অন্য কারও চোখ রাঙ্গানিতে দমে যাবে না বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। দেশপ্রেম ও পেশাদারিত্ব দিয়ে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৃঢ়তার সাথে কাজ করবে প্রতিটি সদস্য।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বাংলাদেশের জন্য দুঃসংবাদ: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বড় ছাঁটাই আসছে বাজারে সবজির সেঞ্চুরি: ১০০ টাকার নিচে মিলছে না কিছুই রাজনৈতিক অস্থিরতায় রপ্তানিতে ধাক্কা, বিনিয়োগে স্থবিরতা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি: ভয়াবহ সংকটে অর্থনীতি পুলিশি বাধায় চারুকলার পর গেণ্ডারিয়াতেও পণ্ড ‘শরৎ উৎসব’: ১৯ বছরের ধারাবাহিকতায় ছেদ তালেবান মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর কাবুলে দূতাবাস চালুর ঘোষণা ভারতের, ভারতকে ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ আখ্যা আওয়ামী লীগ কি সশস্ত্র সংগ্রাম করবে? কারাবন্দীদের উপর নির্যাতন: সংবিধান ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন দেশের সব বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি বেবিচকের এ কেমন সংস্কার! দুদকের মামলার একদিন পরই আসামী উল্টো পুরস্কৃত, পেলেন আরও বড় দায়িত্ব নৃশংস বর্বরতা আর নরকীয়তার ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হল – নূরুল মজিদ হুমায়ূনের নিথর দেহে হাতকড়া লাগিয়ে। ন্যায়বিচারের পথে এক ধাপ এগোল বাংলাদেশ ট্রাম্প নয় শান্তিতে নোবেল পেলেন ভেনেজুয়েলার মারিয়া ট্রাম্পকে হারিয়ে নোবেল জেতা কে এই মাচাদো? শিশুদের ‘নোবেল’ শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত সাতক্ষীরার তরুণ সুদীপ্ত শাহজালাল বিমানবন্দরে ৬৫ ভরি স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার ২ টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ ১৯ বছর ধরে ইসরায়েলে বন্দি কে এই ‘দ্বিতীয় ইয়াহিয়া সিনওয়ার’? হংকংয়ের কাছে হেরেও যে সমীকরণে এশিয়ান কাপে খেলবে বাংলাদেশ মিরপুরে কুড়িয়ে পাওয়া ককটেল বিস্ফোরণ, শিশু আহত শাহবাগ এলাকা থেকে ৩ লাশ উদ্ধার