
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

চবিতে সংঘর্ষ : হাসপাতালে ভর্তি ১২ শিক্ষার্থী, দুজন লাইফ সাপোর্টে

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলো যুক্তরাষ্ট্র

৩৮ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

৩০ জুলাইয়ের ভাঙা কাচের ছবি নিয়ে বামজোট প্রার্থীর ব্যাখ্যা

খুলনায় সেতুর নিচ থেকে সাংবাদিকের লাশ উদ্ধার, হাত ও মুখমণ্ডলে আঘাতের চিহ্ন

খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া বিচারপতি ড. আখতারুজ্জামানের পদত্যাগ

মেরুন টি-শার্ট পরা সেই ব্যক্তি ছিলেন পুলিশের কনস্টেবল
মহানায়কের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

১০ জানুয়ারি, ১৯৭২—এক ঐতিহাসিক দিন, যা চিরকাল বাঙালির হৃদয়ে অম্লান হয়ে থাকবে। এই দিনে বাঙালি জাতি তাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাগত জানায়। এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে তাঁর প্রত্যাবর্তন নতুন ভোরের সূচনা করে।
পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। কিন্তু তখনও বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে বন্দি ছিলেন। পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন জেনারেল ইয়াহিয়া খান তাকে ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিলেন, কিন্তু আন্তর্জাতিক চাপ এবং বাঙালির অদম্য চেতনা তাঁকে মুক্তি এনে দেয়।
১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু মুক্তি পান এবং পাকিস্তান থেকে লন্ডন পৌঁছান। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি
বলেন, "আমি জানতাম, আমার দেশ স্বাধীন হবে।" লন্ডন থেকে দিল্লি হয়ে ১০ জানুয়ারি তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন। ঢাকার উত্তাল জনসমুদ্র ১০ জানুয়ারি, তেজগাঁও বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ার ফোর্সের বিমানটি অবতরণ করে। বিমানবন্দরে লাখো মানুষের ঢল নামে। শিশু, বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সবার মুখে ছিল আনন্দাশ্রু। বঙ্গবন্ধু যখন বিমান থেকে নেমে আসেন, তখন "জয় বাংলা" ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়। সেদিন বিকেলে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমাবেশে বঙ্গবন্ধু ভাষণ দেন। এই ভাষণে তিনি বলেন, “আজ আমি বাংলার মানুষকে বলছি, আমার জীবনের লক্ষ্য পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু দায়িত্ব এখনও শেষ হয়নি। দেশকে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।” তাঁর এই বক্তব্য জাতিকে নতুন
উদ্দীপনা দেয়। একজন নেতা, একটি জাতির আশা বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন শুধু একটি ব্যক্তিগত ঘটনা নয়; এটি ছিল নতুন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক ভিত্তি স্থাপনের সূচনা। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জ তখন প্রধানত তাঁর কাঁধে ছিল। তাঁর নেতৃত্বে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র, এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনার রূপরেখা তৈরি হয়। আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাঁর নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দেয়। ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়নসহ বহু দেশ তাঁকে অভ্যর্থনা জানায়। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বান বঙ্গবন্ধু তাঁর প্রত্যাবর্তন ভাষণে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান, "একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি, এবার দেশ গড়ার দায়িত্ব
আমাদের। একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।" যুদ্ধের ক্ষত সত্ত্বেও তাঁর কথাগুলি জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে চলার প্রেরণা দেয়। ১০ জানুয়ারি, ১৯৭২, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল বাঙালি জাতির এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। এ দিনটি শুধু একটি বিজয়ের স্মৃতি নয়, এটি বাঙালি জাতির অঙ্গীকারের দিন—একটি সোনার বাংলা গড়ার। বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণা এবং নেতৃত্বের সেই গল্প আজও জাতির জন্য প্রেরণার উৎস।
বলেন, "আমি জানতাম, আমার দেশ স্বাধীন হবে।" লন্ডন থেকে দিল্লি হয়ে ১০ জানুয়ারি তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন। ঢাকার উত্তাল জনসমুদ্র ১০ জানুয়ারি, তেজগাঁও বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ার ফোর্সের বিমানটি অবতরণ করে। বিমানবন্দরে লাখো মানুষের ঢল নামে। শিশু, বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সবার মুখে ছিল আনন্দাশ্রু। বঙ্গবন্ধু যখন বিমান থেকে নেমে আসেন, তখন "জয় বাংলা" ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়। সেদিন বিকেলে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমাবেশে বঙ্গবন্ধু ভাষণ দেন। এই ভাষণে তিনি বলেন, “আজ আমি বাংলার মানুষকে বলছি, আমার জীবনের লক্ষ্য পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু দায়িত্ব এখনও শেষ হয়নি। দেশকে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।” তাঁর এই বক্তব্য জাতিকে নতুন
উদ্দীপনা দেয়। একজন নেতা, একটি জাতির আশা বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন শুধু একটি ব্যক্তিগত ঘটনা নয়; এটি ছিল নতুন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক ভিত্তি স্থাপনের সূচনা। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জ তখন প্রধানত তাঁর কাঁধে ছিল। তাঁর নেতৃত্বে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র, এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনার রূপরেখা তৈরি হয়। আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাঁর নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দেয়। ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়নসহ বহু দেশ তাঁকে অভ্যর্থনা জানায়। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বান বঙ্গবন্ধু তাঁর প্রত্যাবর্তন ভাষণে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান, "একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি, এবার দেশ গড়ার দায়িত্ব
আমাদের। একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।" যুদ্ধের ক্ষত সত্ত্বেও তাঁর কথাগুলি জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে চলার প্রেরণা দেয়। ১০ জানুয়ারি, ১৯৭২, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল বাঙালি জাতির এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। এ দিনটি শুধু একটি বিজয়ের স্মৃতি নয়, এটি বাঙালি জাতির অঙ্গীকারের দিন—একটি সোনার বাংলা গড়ার। বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণা এবং নেতৃত্বের সেই গল্প আজও জাতির জন্য প্রেরণার উৎস।