
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
মহররম মাসে বিয়ে করা কি অশুভ?

ইসলামের দৃষ্টিতে মহররম সম্মানিত চার মাসের একটি। রাসূল (সা.) বলেন, ‘আসমান-জমিন সৃষ্টিলগ্ন থেকে সময় তার মতো করে চলছে। বছরে ১২ মাসের চারটি সম্মানিত মাস। ধারাবাহিকভাবে তিনটি: জিলকদ, জিলহজ ও মহররম। চতুর্থটি হলো রজব।’ (বুখারি ৩১৯৭)
হিজরি সনের প্রথম মাস মহররম কারবালার ঐতিহাসিক হৃদয় বিদারক ঘটনার অনন্য স্মৃতি বহন করে চলেছে। মুসলিম বিশ্বে মহরম মাসকে শোকের মাস হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়। এ মাসের ১০ তারিখ কারবালা ময়দানে প্রিয় নবী (সা.) এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রা.) সহ অসংখ্য সাহাবায়ে কেরাম শাহাদাতের সুধা পান করেছেন নির্মম ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে।
তাই শোকের এ মাসটির শুরুতে অনেকেই আনন্দ উৎসব উদযাপন করাকে ইসলামের
সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেও মনে করেন। এতে কোনোই সন্দেহ নেই যে, আল্লাহ তায়ালা কতক মাস, দিন ও রাতকে অন্যান্য মাস, দিন ও রাতের চেয়ে বেশি মর্যাদাপূর্ণ বানিয়েছেন এবং তাতে ভালো কাজের অধিক বরকত রেখেছেন। কিন্তু কোনো মাস, দিন ও রাত বা কোনো সময়কে অকল্যাণকর বা অশুভ বানাননি। সময় মাত্রই আল্লাহ তাআলার নেয়ামত ও করুণা। উত্তম ও সঠিক কাজের মাধ্যমে মানুষ যে কোনো সময়কেই ফলপ্রসূ ও বরকতময় করতে সক্ষম। কোনো মাস, দিন বা রাতকে অশুভ মনে করা বিশেষ কোনো সময়কে বিশেষ কাজের জন্য অশুভ ও অলক্ষুণে মনে করা-সবই জাহেলিয়াতের কুসংস্কার। যেমন ইসলামপূর্ব যুগের কোনো কোনো লোকের এই ধারণা ছিল যে, শাওয়াল মাসে বিবাহ-শাদির
অনুষ্ঠান অশুভ ও অকল্যাণকর। উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রা. এই ভিত্তিহীন ধারণাকে এই বলে খন্ডন করেছেন যে- ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে শাওয়াল মাসেই বিবাহ করেছেন এবং শাওয়াল মাসেই বিবাহ-রজনী উদযাপন করেছেন। অথচ তার অনুগ্রহ লাভে আমার চেয়ে অধিক সৌভাগ্যবতী স্ত্রী আর কে আছে? -সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৪২৩ বর্তমানে কিছু মানুষ মহররম মাসের ব্যাপারে এজাতীয় ধারণা পোষণ করে। সম্ভবত তাদের এই ভ্রান্ত ধারণার পেছনে এ মাসে হযরত হোসাইন রা.-এর শাহাদাত বরণের ঘটনা কার্যকর। অথচ সময় কখনো অশুভ হয় না। বিশেষ করে মহররম মাস তো ‘আশহুরে হুরুম’ তথা মর্যাদাপূর্ণ মাস-চারটির অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। রমজান মাসের পর এ মাসের গুরুত্ব
ও ফজিলতই সবচেয়ে বেশি। হযরত হোসাইন রা.-এর শাহাদাত বরণের মাধ্যমে এ মাস কীভাবে অশুভ হতে পারে? অশুভ ও অকল্যাণ তো ওই সব লোকের বদআমলের মধ্যে নিহিত, যারা তাকে অন্যায়ভাবে শহীদ করেছে। বছরের কোন মাসটি এমন আছে, যাতে কোনো মহান ব্যক্তির শাহাদাতের ঘটনা ঘটেনি? তবে কি বছরের সকল মাসই অশুভ ও অকল্যাণকর হয়ে যাবে? সফর মাসের ব্যাপারেও জাহেলি যুগে এই ভ্রান্ত বিশ্বাস ছিল যে, এ মাসটি অশুভ। নাউযুবিল্লাহ! এজাতীয় শুভাশুভের ধারণা একটি কুসংস্কার, যাকে ইসলাম বাতিল সাব্যস্ত করেছে এবং এভাবে বান্দাদেরকে এক বিরাট মুসিবত থেকে মুক্তি দিয়ে আরাম ও স্বস্তির জীবন-যাপনের পথ সুগম করেছে।
সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেও মনে করেন। এতে কোনোই সন্দেহ নেই যে, আল্লাহ তায়ালা কতক মাস, দিন ও রাতকে অন্যান্য মাস, দিন ও রাতের চেয়ে বেশি মর্যাদাপূর্ণ বানিয়েছেন এবং তাতে ভালো কাজের অধিক বরকত রেখেছেন। কিন্তু কোনো মাস, দিন ও রাত বা কোনো সময়কে অকল্যাণকর বা অশুভ বানাননি। সময় মাত্রই আল্লাহ তাআলার নেয়ামত ও করুণা। উত্তম ও সঠিক কাজের মাধ্যমে মানুষ যে কোনো সময়কেই ফলপ্রসূ ও বরকতময় করতে সক্ষম। কোনো মাস, দিন বা রাতকে অশুভ মনে করা বিশেষ কোনো সময়কে বিশেষ কাজের জন্য অশুভ ও অলক্ষুণে মনে করা-সবই জাহেলিয়াতের কুসংস্কার। যেমন ইসলামপূর্ব যুগের কোনো কোনো লোকের এই ধারণা ছিল যে, শাওয়াল মাসে বিবাহ-শাদির
অনুষ্ঠান অশুভ ও অকল্যাণকর। উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রা. এই ভিত্তিহীন ধারণাকে এই বলে খন্ডন করেছেন যে- ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে শাওয়াল মাসেই বিবাহ করেছেন এবং শাওয়াল মাসেই বিবাহ-রজনী উদযাপন করেছেন। অথচ তার অনুগ্রহ লাভে আমার চেয়ে অধিক সৌভাগ্যবতী স্ত্রী আর কে আছে? -সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৪২৩ বর্তমানে কিছু মানুষ মহররম মাসের ব্যাপারে এজাতীয় ধারণা পোষণ করে। সম্ভবত তাদের এই ভ্রান্ত ধারণার পেছনে এ মাসে হযরত হোসাইন রা.-এর শাহাদাত বরণের ঘটনা কার্যকর। অথচ সময় কখনো অশুভ হয় না। বিশেষ করে মহররম মাস তো ‘আশহুরে হুরুম’ তথা মর্যাদাপূর্ণ মাস-চারটির অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। রমজান মাসের পর এ মাসের গুরুত্ব
ও ফজিলতই সবচেয়ে বেশি। হযরত হোসাইন রা.-এর শাহাদাত বরণের মাধ্যমে এ মাস কীভাবে অশুভ হতে পারে? অশুভ ও অকল্যাণ তো ওই সব লোকের বদআমলের মধ্যে নিহিত, যারা তাকে অন্যায়ভাবে শহীদ করেছে। বছরের কোন মাসটি এমন আছে, যাতে কোনো মহান ব্যক্তির শাহাদাতের ঘটনা ঘটেনি? তবে কি বছরের সকল মাসই অশুভ ও অকল্যাণকর হয়ে যাবে? সফর মাসের ব্যাপারেও জাহেলি যুগে এই ভ্রান্ত বিশ্বাস ছিল যে, এ মাসটি অশুভ। নাউযুবিল্লাহ! এজাতীয় শুভাশুভের ধারণা একটি কুসংস্কার, যাকে ইসলাম বাতিল সাব্যস্ত করেছে এবং এভাবে বান্দাদেরকে এক বিরাট মুসিবত থেকে মুক্তি দিয়ে আরাম ও স্বস্তির জীবন-যাপনের পথ সুগম করেছে।