
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ন্যায়বিচারের পথে এক ধাপ এগোল বাংলাদেশ

শিশুদের ‘নোবেল’ শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত সাতক্ষীরার তরুণ সুদীপ্ত

বাতিল হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব মামলা, দায়মুক্তি পাচ্ছেন আসামিরা

অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ আর নেই

বাংলাদেশে শুভেচ্ছা সফরে মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইমাম প্রশিক্ষণ দেবে তুর্কি ফাউন্ডেশন

বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখলেই সন্দেহ, বন্ধ হচ্ছে একে একে ভিসার দুয়ার
ভোটার হালনাগাদ তথ্য ছলচাতুরি

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সপ্তমবারের মতো চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও অভিযোগের ঝড় উঠেছে। গত ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রমে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের দাবি করা হলেও বাস্তবে অনেক এলাকায়, বিশেষ করে চরাঞ্চল ও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে, এমন কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান হয়নি। ফলে লক্ষাধিক নাগরিক ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। এই অবহেলা ও অদক্ষতার কারণে ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে, যা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার উপর গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
নির্বাচন কমিশনের দাবি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে চলমান এই প্রকল্পে দেশজুড়ে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
নতুন ভোটার যোগ করা এবং পুরনো তথ্য সংশোধনের জন্য ইউএনডিপির সহায়তায় ল্যাপটপ, স্ক্যানার ও ব্যাগ সরবরাহ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। কিন্তু স্থানীয় পর্যায়ে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে আসা অভিযোগে ভিন্ন চিত্র ফুটে উঠেছে। শহরাঞ্চল ছাড়া গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে তথ্য সংগ্রহকারীদের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। বিশেষ করে চরাঞ্চলের বাসিন্দারা, যারা ভৌগোলিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাস করেন, তারা এই কার্যক্রম থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত হয়েছেন। একজন চরবাসী অভিযোগ করে বলেন, “বছরের পর বছর আমরা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। এবারও কেউ এসে আমাদের তথ্য নেয়নি, অথচ ইসি বলছে কাজ শেষ হয়েছে। এটা স্পষ্ট ছলচাতুরি!” সামাজিক মাধ্যমেও একই ধরনের অভিযোগ ছড়িয়ে পড়েছে। একটি পোস্টে বলা
হয়, “ইসির বাড়ি-বাড়ি তথ্য সংগ্রহের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। কোনো প্রতিনিধি আমাদের এলাকায় আসেনি।” ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে ডোর-টু-ডোর তথ্য সংগ্রহ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আগস্ট পর্যন্ত কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ছাড়াই সময় পার হয়েছে। আগস্টে প্রকাশিত খসড়া তালিকায় ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৬১ লাখ দেখানো হলেও, এতে চরাঞ্চল ও প্রত্যন্ত এলাকার অসংখ্য নাম অনুপস্থিত। এই পরিস্থিতি আসন্ন ২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিকে জটিল করে তুলেছে। ভোটার তালিকার অনিশ্চয়তা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। বিএনপি-সহ বিরোধী দলগুলো প্রশ্ন তুলেছে, এই অদক্ষতা কি ইচ্ছাকৃত? একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, “ইসির এই অবহেলা কেবল ভোটারদের অধিকার খর্ব করছে না, গণতন্ত্রের মূল ভিত্তিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
চরাঞ্চলের মানুষ যদি ভোট দিতে না পারেন, তাহলে নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা কোথায়?” ভোটার তালিকা হালনাগাদে এই ত্রুটি ও অবহেলার কারণে নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। বিশেষ করে চরাঞ্চল ও প্রত্যন্ত এলাকার নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে ইসির অবিলম্বে বিশেষ অভিযান চালানো উচিত। স্বচ্ছ ও কার্যকর পদক্ষেপ ছাড়া এই প্রক্রিয়া কেবল ছলচাতুরি হিসেবেই বিবেচিত হবে, যা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরও দুর্বল করবে। নির্বাচন কমিশনের উচিত জরুরি ভিত্তিতে এই সমস্যার সমাধান করে সকল নাগরিকের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। অন্যথায়, আসন্ন নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হবে।
নতুন ভোটার যোগ করা এবং পুরনো তথ্য সংশোধনের জন্য ইউএনডিপির সহায়তায় ল্যাপটপ, স্ক্যানার ও ব্যাগ সরবরাহ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। কিন্তু স্থানীয় পর্যায়ে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে আসা অভিযোগে ভিন্ন চিত্র ফুটে উঠেছে। শহরাঞ্চল ছাড়া গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে তথ্য সংগ্রহকারীদের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। বিশেষ করে চরাঞ্চলের বাসিন্দারা, যারা ভৌগোলিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাস করেন, তারা এই কার্যক্রম থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত হয়েছেন। একজন চরবাসী অভিযোগ করে বলেন, “বছরের পর বছর আমরা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। এবারও কেউ এসে আমাদের তথ্য নেয়নি, অথচ ইসি বলছে কাজ শেষ হয়েছে। এটা স্পষ্ট ছলচাতুরি!” সামাজিক মাধ্যমেও একই ধরনের অভিযোগ ছড়িয়ে পড়েছে। একটি পোস্টে বলা
হয়, “ইসির বাড়ি-বাড়ি তথ্য সংগ্রহের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। কোনো প্রতিনিধি আমাদের এলাকায় আসেনি।” ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে ডোর-টু-ডোর তথ্য সংগ্রহ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আগস্ট পর্যন্ত কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ছাড়াই সময় পার হয়েছে। আগস্টে প্রকাশিত খসড়া তালিকায় ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৬১ লাখ দেখানো হলেও, এতে চরাঞ্চল ও প্রত্যন্ত এলাকার অসংখ্য নাম অনুপস্থিত। এই পরিস্থিতি আসন্ন ২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিকে জটিল করে তুলেছে। ভোটার তালিকার অনিশ্চয়তা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। বিএনপি-সহ বিরোধী দলগুলো প্রশ্ন তুলেছে, এই অদক্ষতা কি ইচ্ছাকৃত? একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, “ইসির এই অবহেলা কেবল ভোটারদের অধিকার খর্ব করছে না, গণতন্ত্রের মূল ভিত্তিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
চরাঞ্চলের মানুষ যদি ভোট দিতে না পারেন, তাহলে নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা কোথায়?” ভোটার তালিকা হালনাগাদে এই ত্রুটি ও অবহেলার কারণে নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। বিশেষ করে চরাঞ্চল ও প্রত্যন্ত এলাকার নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে ইসির অবিলম্বে বিশেষ অভিযান চালানো উচিত। স্বচ্ছ ও কার্যকর পদক্ষেপ ছাড়া এই প্রক্রিয়া কেবল ছলচাতুরি হিসেবেই বিবেচিত হবে, যা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরও দুর্বল করবে। নির্বাচন কমিশনের উচিত জরুরি ভিত্তিতে এই সমস্যার সমাধান করে সকল নাগরিকের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। অন্যথায়, আসন্ন নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হবে।