
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

শুল্কের অর্থে ঘাটতি সামলাতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র?

মেদভেদেভের কথায় চটে রাশিয়ার কাছাকাছি সাবমেরিন পাঠানোর নির্দেশ ট্রাম্পের

ইমরান খানের দলের ১০৮ নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড

যে কারণে ইংল্যান্ডে টানা ২ বছর সবচেয়ে প্রিয় নাম ‘মোহাম্মদ’

‘টিন সেক্স’ নিয়ে নতুন বিতর্ক

চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া: চীনে বন্যায় নিহত ৭০, স্ক্যান্ডিনেভিয়ায় তীব্র তাপপ্রবাহ

কলকাতার হুগলিতে তৃণমূলের রচনা ও অসিত দ্বন্দ্ব!
ভূগর্ভের তাপ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেষ্টা বিজ্ঞানীদের

ভূগর্ভের গভীরে আছে প্রচণ্ড চাপ ও তাপ। যা হাজার বছর ধরে জমে আছে পাথরের ভেতর। বিজ্ঞানীরা এখন চেষ্টা করছেন ভূগর্ভের এই তাপ ব্যবহার করে পরিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন করার। খবর: সিএনএন
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন জানাচ্ছে, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ মরুভূমিতে এক প্রকল্পে প্রায় ৩ মাইল গভীর পর্যন্ত ড্রিল করা হয়েছে। এই ড্রিলিংয়ের লক্ষ্য তেল বা গ্যাস অনুসন্ধান নয় বরং ভেতরের তাপকে তুলে এনে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেষ্টা করা।
ফার্ভো এনার্জি নামের হিউস্টনভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান তেল-গ্যাস খাতের প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভূতাপবিদ্যুৎ (জিওথার্মাল) উৎপাদনের নতুন উপায় উদ্ভাবনে কাজ করছে। এর লক্ষ্য বিশ্বজুড়ে নিরবচ্ছিন্ন ও পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সরবরাহ করা।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার তথ্যমতে, আধুনিক জিওথার্মাল প্রযুক্তি বৈশ্বিক বিদ্যুৎ চাহিদার
১৪০ গুণ জোগান দিতে পারে। তবে এটি বাস্তবায়নে ব্যয়বহুল ড্রিলিং, জটিল প্রকৌশল ব্যবস্থাপনা, ভূকম্পনের ঝুঁকি এবং পানি ও জমি ব্যবস্থাপনাসহ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ফার্ভো এনার্জির এনহ্যান্সড জিওথার্মাল সিস্টেমে (ইজিএস) দুটি কূপ খনন করে ভূগর্ভস্থ পাথরকে ফাটিয়ে দেয়া হয়। এরপর সেই ফাটলের মধ্য দিয়ে পানি প্রবাহিত করে সেটিকে উত্তপ্ত করা হয় এবং সেটিকে বাইরে বের করে আনা হয়। এই পদ্ধতির ভিত্তি তৈরি হয়েছিল ১৯৭০-এর দশকে। বর্তমানে ইউটাহ ফোর্জ ও ফার্ভোর দুটি প্রকল্পে প্রযুক্তিটি নতুনভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে। ফার্ভো ইউটাহতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জিওথার্মাল প্ল্যান্ট নির্মাণ করছে, যা ২০২৮ সালের মধ্যে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে সমস্যা হলো, এ
ধরনের প্রকল্পে ভূমিকম্পের ঝুঁকি থাকে বলে মনে করা হয়। ২০১৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার পোহাং শহরে ভূমিকম্পের জন্য একটি জিওথার্মাল প্রকল্পকে দায়ী করা হয়। অবশ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যথাযথ নজরদারিতে এই ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণযোগ্য। কানাডার ইয়েভর ও যুক্তরাষ্ট্রের কোয়েজ এনার্জি ভূকম্পনের ঝুঁকি এড়াতে ভিন্ন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের চেষ্টা করছে। কেউ ফ্র্যাকিং ছাড়াই পাইপের মাধ্যমে পানি ঘোরানোর পদ্ধতি নিচ্ছে, আবার কেউ পাথর গলিয়ে আরো গভীর থেকে তাপ সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ এই প্রযুক্তিগুলোর টেকসইতা নিয়ে সন্দিহান। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বাণিজ্যিকভাবে বড় পরিসরে এই প্রযুক্তি বাস্তবায়ন এখনও সময়সাপেক্ষ। তবে সফল হলে এটি হতে পারে পরিচ্ছন্ন জ্বালানির নতুন দিগন্ত। ফার্ভোর সিইও বলেন, ‘ভূপৃষ্ঠের নিচে থাকা তাপ দিয়েই মানবজাতির
শত কোটি বছরের শক্তির চাহিদা মেটানো সম্ভব।’
১৪০ গুণ জোগান দিতে পারে। তবে এটি বাস্তবায়নে ব্যয়বহুল ড্রিলিং, জটিল প্রকৌশল ব্যবস্থাপনা, ভূকম্পনের ঝুঁকি এবং পানি ও জমি ব্যবস্থাপনাসহ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ফার্ভো এনার্জির এনহ্যান্সড জিওথার্মাল সিস্টেমে (ইজিএস) দুটি কূপ খনন করে ভূগর্ভস্থ পাথরকে ফাটিয়ে দেয়া হয়। এরপর সেই ফাটলের মধ্য দিয়ে পানি প্রবাহিত করে সেটিকে উত্তপ্ত করা হয় এবং সেটিকে বাইরে বের করে আনা হয়। এই পদ্ধতির ভিত্তি তৈরি হয়েছিল ১৯৭০-এর দশকে। বর্তমানে ইউটাহ ফোর্জ ও ফার্ভোর দুটি প্রকল্পে প্রযুক্তিটি নতুনভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে। ফার্ভো ইউটাহতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জিওথার্মাল প্ল্যান্ট নির্মাণ করছে, যা ২০২৮ সালের মধ্যে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে সমস্যা হলো, এ
ধরনের প্রকল্পে ভূমিকম্পের ঝুঁকি থাকে বলে মনে করা হয়। ২০১৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার পোহাং শহরে ভূমিকম্পের জন্য একটি জিওথার্মাল প্রকল্পকে দায়ী করা হয়। অবশ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যথাযথ নজরদারিতে এই ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণযোগ্য। কানাডার ইয়েভর ও যুক্তরাষ্ট্রের কোয়েজ এনার্জি ভূকম্পনের ঝুঁকি এড়াতে ভিন্ন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের চেষ্টা করছে। কেউ ফ্র্যাকিং ছাড়াই পাইপের মাধ্যমে পানি ঘোরানোর পদ্ধতি নিচ্ছে, আবার কেউ পাথর গলিয়ে আরো গভীর থেকে তাপ সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ এই প্রযুক্তিগুলোর টেকসইতা নিয়ে সন্দিহান। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বাণিজ্যিকভাবে বড় পরিসরে এই প্রযুক্তি বাস্তবায়ন এখনও সময়সাপেক্ষ। তবে সফল হলে এটি হতে পারে পরিচ্ছন্ন জ্বালানির নতুন দিগন্ত। ফার্ভোর সিইও বলেন, ‘ভূপৃষ্ঠের নিচে থাকা তাপ দিয়েই মানবজাতির
শত কোটি বছরের শক্তির চাহিদা মেটানো সম্ভব।’