
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে ফের সংঘর্ষ, হতাহত বহু

মাদাগাস্কারের ক্ষমতা দখল করল সেনাবাহিনী

গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল

ভারতের কাশির সিরাপে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা

থাইল্যান্ডে উদযাপনকালে মাদকসহ চার ইসরাইলি সেনা গ্রেফতার

‘যেন দোজখ থেকে বেহেশতে এলাম’

গাজায় ফুটবল অবকাঠামো পুনর্গঠনে সহায়তার অঙ্গীকার ফিফা সভাপতির
ভারত ঝুঁকছে, চীন কতটা সাড়া দেবে

‘আমার শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু’।– প্রবাদটা এক প্রতিবেদনে ব্যবহার করেছেন নিউ ইয়র্ক টাইমসের দুই সাংবাদিক ডেভিড পিয়ারসন ও অ্যালেক্স ট্র্যাভেলি। ১৮ আগস্ট গণমাধ্যমটির ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম- ‘ট্রাম্প ভারতকে আবার চীনের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন’। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতের বর্তমান সম্পর্ক বোঝাতে প্রতিবেদকরা এমন প্রবাদ ব্যবহার করেছেন।
বিশ্ব বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের লড়াইয়ের কথা খুব কম মানুষেরই অজানা। অপরদিকে সীমান্ত নিয়ে দ্বন্দ্বের পাশাপাশি ভারতকে এশীয় অঞ্চলের বাণিজ্য প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে চীন। কিন্তু শুল্ক যুদ্ধ শুরু করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন আঞ্চলিক রেষারেষির হিসাব প্রায় উল্টে দিয়েছেন। যেখানে উষ্ণতা থেকে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে শীতলতা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক ‘শত্রু’ চীনকে বন্ধু বানানোর ইঙ্গিত
দিচ্ছে নয়াদিল্লি। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে চীনের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন কেন। আর সীমান্ত বিরোধ পাশ কাটিয়ে মোদিই বা কেন চীনের দিকে ঝুঁকতে চাইছেন। ফরাসি গণমাধ্যম লো মঁদ-এর ভারতে অবস্থানরত প্রতিবেদক সোফি লান্দ্রিন তাঁর এক প্রতিবেদনে লিখেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে যে কঠোর আচরণ করেছেন, তা উল্টো ফল বয়ে এনেছে। রাশিয়া থেকে ভারতকে দূরে সরাতে হুমকি দেওয়া এবং পরে শুল্ক আরোপ করাটা নয়াদিল্লিকে মস্কো ও বেইজিংয়ের কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছে। সোফি লান্দ্রিন লিখেছেন, ২০১৪ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর এবারই প্রথম গুরুতর কূটনৈতিক সংকটের মুখে পড়েছেন নরেন্দ্র মোদি। বিশ্বনেতাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যের উদাহরণ দিয়ে তিনি প্রায়ই আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি তুলে ধরতেন। সে ভাবমূর্তিও
এখন হুমকির মুখে। এমন পরিস্থিতিই মোদিকে চীন ও রাশিয়ার দিকে ঝুঁকতে বাধ্য করছে। ড্রাগন-এলিফ্যান্ট ট্যাঙ্গো চীন-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বোঝাতে এই প্রতীক ব্যবহার করা হয়। চলতি বছর দুই দেশ সম্পর্কের ৭৫ বছর উদযাপন করেছে। এ উপলক্ষে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে দেওয়া বার্তায়ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নৃত্যরত ড্রাগন-এলিফ্যান্টের কথা উল্লেখ করেন। ট্রাম্পের বাড়তি শুল্কের পর এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে বেশকিছু বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে ভারত-চীন। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাণিজ্য ও অন্যান্য সম্পর্ক পুনরায় শুরু করতে এ দুই দেশ দীর্ঘদিনের হিমালয় সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তিতে সম্মত হয়েছে। এ ছাড়া, পুনরায় সরাসরি ফ্লাইট চালু করছে। সাংবাদিকদের ভিসা দেওয়া এবং ব্যবসা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়কে সহজ করতে রাজি হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজয় দোভালের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। সেখানে অজয় দোভাল উল্লেখ করেন, হিমালয় ঘেঁষা সীমান্ত পরিস্থিতি আগের চেয়ে স্থীতিশীল আছে। একই বৈঠকে নরেন্দ্র মোদির চীন সফরের বিষয়ে নিশ্চত করেন ওয়াং ই। যে সফরটি হতে যাচ্ছে চলতি মাসের শেষ দিকে। একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতও করতে পারেন মোদি। গার্ডিয়ান বলছে, দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সম্পর্ক ২০২০ সালে তলানিতে নেমে যায়। যখন হিমালয়ে সীমান্ত বিরোধ রক্তক্ষয়ী সংঘাতে রূপ নেয়। প্রতিবেশী দুই দেশের সেনারা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, যা কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত ছিল। সরকারি হিসাব অনুযায়ী,
ওই সংঘাতে ২০ ভারতীয় ও ৪ চীনা সেনা নিহত হন। এমন পরিস্থিতির পর বর্তমান সম্পর্ক ও সম্ভাবনা নিয়ে গত মঙ্গলবার দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ায় মতামত নিবন্ধ লিখেছেন বেইজিংয়ে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত বিজয় গোখলে। চীন ও ভারতের এখনও অনেক ভিন্ন স্বার্থ থাকার পরও সম্পর্ক কেমন হবে? গোখলে লিখেছেন, ‘ট্রাম্পীয় বিশৃঙ্খলার’ বিপরীতে চীন-ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভারসাম্য রক্ষাকারী শক্তি হতে পারে। তারা উন্নয়নশীল অন্য দেশের কাছে পুঁজি ও প্রযুক্তির উৎসের অংশীদার হতে পারে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ভারত ভক্তি দেখালেও চীন সতর্ক অবস্থানে আছে। কারণ তারা মনে করছে ভারতের এই নতুন অবস্থান হয়তো কেবল ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে একটি ভারসাম্য
রক্ষার কৌশল। সম্পর্ক উষ্ণ হওয়ার মাঝেও চীন সীমান্তবর্তী এলাকায় নতুন রাস্তা, রেলপথ এবং গ্রাম তৈরির মাধ্যমে উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। এমন অবকাঠামো চীনা সেনাবাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এবং সন্দেহ নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের দৃষ্টিকোণ থেকে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার অন্যতম বড় কারণ হলো সন্দেহ। চীন মনে করে নয়াদিল্লি তার ঐতিহাসিকভাবে নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি ত্যাগ করে ক্রমশ ওয়াশিংটনের বলয়ে প্রবেশ করছে। বেইজিং এর প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরে চার দেশের জোট কোয়াডকে। এই চার দেশ হলো ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। কোয়াডের লক্ষ্য চীনের সামরিক উত্থান মোকাবিলা করা। চলতি বছর কোয়াডের পরবর্তী বৈঠক হওয়ার কথা। তবে ভারতের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বৈঠক হবে কি না তা নির্ভর
করবে ট্রাম্প প্রশাসন ও নয়াদিল্লি তাদের বাণিজ্য বিরোধ মিটিয়ে আস্থা কতটা পুনর্গঠন করতে পারবে সেটির ওপর। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে প্রতিবেদন করেছে চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস। যেটিকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্রও বলা হয়। মোদির আসন্ন চীন সফর নিয়ে গ্লোবাল টাইমস লিখেছে, এই সফর একটি ইঙ্গিত বহন করে। সেটি হলো যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে ‘চীন ঠেকাও’ কৌশলে টানতে ব্যর্থ হয়েছে। সাংহাইয়ের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ লিন মিনওয়াং বলছেন, ভারত যদি চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চায়, তবে চীন তা স্বাগত জানাবে। কিন্তু ভারতের তথাকথিত কূটনৈতিক অবস্থানের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য চীন বড় কোনো ছাড় দেবে না। লিন বলেছেন, পাকিস্তানের প্রতি বেইজিংয়ের ঘনিষ্ঠ সমর্থন ভারতের জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে চীন তার জাতীয় স্বার্থ থেকে সরে আসবে না। অপরদিকে ভারতও সতর্ক অবস্থানে আছে। বিশ্লেষকদের ভাষায় মোদি একবার শি জিনপিংয়ের ওপর অতিরিক্ত আস্থা রেখেছিলেন। তাতে তিনি ক্ষতিগ্রস্তও হন। লিন মিনওয়াং বলছেন, ভারতের বর্তমান অবস্থান মূলত কৌশলগত হিসাব-নিকাশ দ্বারা চালিত। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির প্রেক্ষাপটে ভারত চীনবান্ধব কিছু ইঙ্গিত দেখিয়েছে। তবে চীনা কর্তৃপক্ষ এসব ইঙ্গিতকে সতর্কতার সঙ্গেই মূল্যায়ন করবে।
দিচ্ছে নয়াদিল্লি। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে চীনের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন কেন। আর সীমান্ত বিরোধ পাশ কাটিয়ে মোদিই বা কেন চীনের দিকে ঝুঁকতে চাইছেন। ফরাসি গণমাধ্যম লো মঁদ-এর ভারতে অবস্থানরত প্রতিবেদক সোফি লান্দ্রিন তাঁর এক প্রতিবেদনে লিখেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে যে কঠোর আচরণ করেছেন, তা উল্টো ফল বয়ে এনেছে। রাশিয়া থেকে ভারতকে দূরে সরাতে হুমকি দেওয়া এবং পরে শুল্ক আরোপ করাটা নয়াদিল্লিকে মস্কো ও বেইজিংয়ের কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছে। সোফি লান্দ্রিন লিখেছেন, ২০১৪ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর এবারই প্রথম গুরুতর কূটনৈতিক সংকটের মুখে পড়েছেন নরেন্দ্র মোদি। বিশ্বনেতাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যের উদাহরণ দিয়ে তিনি প্রায়ই আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি তুলে ধরতেন। সে ভাবমূর্তিও
এখন হুমকির মুখে। এমন পরিস্থিতিই মোদিকে চীন ও রাশিয়ার দিকে ঝুঁকতে বাধ্য করছে। ড্রাগন-এলিফ্যান্ট ট্যাঙ্গো চীন-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বোঝাতে এই প্রতীক ব্যবহার করা হয়। চলতি বছর দুই দেশ সম্পর্কের ৭৫ বছর উদযাপন করেছে। এ উপলক্ষে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে দেওয়া বার্তায়ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নৃত্যরত ড্রাগন-এলিফ্যান্টের কথা উল্লেখ করেন। ট্রাম্পের বাড়তি শুল্কের পর এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে বেশকিছু বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে ভারত-চীন। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাণিজ্য ও অন্যান্য সম্পর্ক পুনরায় শুরু করতে এ দুই দেশ দীর্ঘদিনের হিমালয় সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তিতে সম্মত হয়েছে। এ ছাড়া, পুনরায় সরাসরি ফ্লাইট চালু করছে। সাংবাদিকদের ভিসা দেওয়া এবং ব্যবসা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়কে সহজ করতে রাজি হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজয় দোভালের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। সেখানে অজয় দোভাল উল্লেখ করেন, হিমালয় ঘেঁষা সীমান্ত পরিস্থিতি আগের চেয়ে স্থীতিশীল আছে। একই বৈঠকে নরেন্দ্র মোদির চীন সফরের বিষয়ে নিশ্চত করেন ওয়াং ই। যে সফরটি হতে যাচ্ছে চলতি মাসের শেষ দিকে। একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতও করতে পারেন মোদি। গার্ডিয়ান বলছে, দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সম্পর্ক ২০২০ সালে তলানিতে নেমে যায়। যখন হিমালয়ে সীমান্ত বিরোধ রক্তক্ষয়ী সংঘাতে রূপ নেয়। প্রতিবেশী দুই দেশের সেনারা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, যা কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত ছিল। সরকারি হিসাব অনুযায়ী,
ওই সংঘাতে ২০ ভারতীয় ও ৪ চীনা সেনা নিহত হন। এমন পরিস্থিতির পর বর্তমান সম্পর্ক ও সম্ভাবনা নিয়ে গত মঙ্গলবার দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ায় মতামত নিবন্ধ লিখেছেন বেইজিংয়ে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত বিজয় গোখলে। চীন ও ভারতের এখনও অনেক ভিন্ন স্বার্থ থাকার পরও সম্পর্ক কেমন হবে? গোখলে লিখেছেন, ‘ট্রাম্পীয় বিশৃঙ্খলার’ বিপরীতে চীন-ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভারসাম্য রক্ষাকারী শক্তি হতে পারে। তারা উন্নয়নশীল অন্য দেশের কাছে পুঁজি ও প্রযুক্তির উৎসের অংশীদার হতে পারে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ভারত ভক্তি দেখালেও চীন সতর্ক অবস্থানে আছে। কারণ তারা মনে করছে ভারতের এই নতুন অবস্থান হয়তো কেবল ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে একটি ভারসাম্য
রক্ষার কৌশল। সম্পর্ক উষ্ণ হওয়ার মাঝেও চীন সীমান্তবর্তী এলাকায় নতুন রাস্তা, রেলপথ এবং গ্রাম তৈরির মাধ্যমে উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। এমন অবকাঠামো চীনা সেনাবাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এবং সন্দেহ নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের দৃষ্টিকোণ থেকে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার অন্যতম বড় কারণ হলো সন্দেহ। চীন মনে করে নয়াদিল্লি তার ঐতিহাসিকভাবে নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি ত্যাগ করে ক্রমশ ওয়াশিংটনের বলয়ে প্রবেশ করছে। বেইজিং এর প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরে চার দেশের জোট কোয়াডকে। এই চার দেশ হলো ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। কোয়াডের লক্ষ্য চীনের সামরিক উত্থান মোকাবিলা করা। চলতি বছর কোয়াডের পরবর্তী বৈঠক হওয়ার কথা। তবে ভারতের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বৈঠক হবে কি না তা নির্ভর
করবে ট্রাম্প প্রশাসন ও নয়াদিল্লি তাদের বাণিজ্য বিরোধ মিটিয়ে আস্থা কতটা পুনর্গঠন করতে পারবে সেটির ওপর। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে প্রতিবেদন করেছে চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস। যেটিকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্রও বলা হয়। মোদির আসন্ন চীন সফর নিয়ে গ্লোবাল টাইমস লিখেছে, এই সফর একটি ইঙ্গিত বহন করে। সেটি হলো যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে ‘চীন ঠেকাও’ কৌশলে টানতে ব্যর্থ হয়েছে। সাংহাইয়ের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ লিন মিনওয়াং বলছেন, ভারত যদি চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চায়, তবে চীন তা স্বাগত জানাবে। কিন্তু ভারতের তথাকথিত কূটনৈতিক অবস্থানের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য চীন বড় কোনো ছাড় দেবে না। লিন বলেছেন, পাকিস্তানের প্রতি বেইজিংয়ের ঘনিষ্ঠ সমর্থন ভারতের জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে চীন তার জাতীয় স্বার্থ থেকে সরে আসবে না। অপরদিকে ভারতও সতর্ক অবস্থানে আছে। বিশ্লেষকদের ভাষায় মোদি একবার শি জিনপিংয়ের ওপর অতিরিক্ত আস্থা রেখেছিলেন। তাতে তিনি ক্ষতিগ্রস্তও হন। লিন মিনওয়াং বলছেন, ভারতের বর্তমান অবস্থান মূলত কৌশলগত হিসাব-নিকাশ দ্বারা চালিত। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির প্রেক্ষাপটে ভারত চীনবান্ধব কিছু ইঙ্গিত দেখিয়েছে। তবে চীনা কর্তৃপক্ষ এসব ইঙ্গিতকে সতর্কতার সঙ্গেই মূল্যায়ন করবে।