ভারতের ওপর শুল্ক দ্বিগুণ, বাংলাদেশের লাভ কতটা – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৭ আগস্ট, ২০২৫
     ৬:০০ পূর্বাহ্ণ

আরও খবর

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা অপরাধের দায়মুক্তির অবসান চায় ১৩ দেশ

আজ সংবিধান দিবসঃ বাংলাদেশের সংবিধানের পটভূমি

বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক চীনের দিকে ঝোঁকার কারণে উদ্বেগ বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের

স্ট্রং ভল্টে সোনা-হীরা থাকলেও চুরি শুধু অস্ত্র, বাড়ছে শাহজালাল আগুনের রহস্য

ড. ইউনুসের পতনের ডাক যুবলীগের, ১৩ নভেম্বর ঢাকায় লকডাউন ঘোষণা

চার দিনের সফরে ঢাকায় পাকিস্তান নৌপ্রধান, সেনাপ্রধানকে পাশ কাটিয়ে পাকিস্তান নৌপ্রধানকে গলফ ও ভোজে আপ্যায়ন সশস্ত্র বাহিনীতে বিভেদ ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (FDI) নিয়ে ড. ইউনূসের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক: তথ্য বিকৃতি ও বিভ্রান্তির অভিযোগ

ভারতের ওপর শুল্ক দ্বিগুণ, বাংলাদেশের লাভ কতটা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৭ আগস্ট, ২০২৫ | ৬:০০ 73 ভিউ
রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি অব্যাহত রাখার ‘শাস্তি’ হিসেবে ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে দেওয়া এই ঘোষণার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্যের আমদানি শুল্ক দাঁড়াল ৫০ শতাংশে, যা বাংলাদেশের চেয়ে ৩০ শতাংশ, চীনের তুলনায় ২০ শতাংশ এবং পাকিস্তানের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। এর আগে বাংলাদেশসহ কমপক্ষে ৯০টি দেশের জন্য নতুন শুল্ক হার ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে দেশভেদে ৪১ থেকে ১০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়। দর কষাকষির পর বাংলাদেশের শুল্ক ৩৫ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে আনা হয়। দক্ষিণ এশিয়ায় ১৯ শতাংশ শুল্ক হার নিয়ে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছে

পাকিস্তান। অন্যদিকে, প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ শুল্কের মুখে পড়েছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ ‘রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ (পারস্পরিক শুল্ক) তালিকা অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ অন্তত ৫০টি দেশের পণ্যে ভারতের তুলনায় কম শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ট্রাম্প সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তি করেছেন, যা ভারতের ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের জন্য এই পরিস্থিতি বিশেষভাবে অনুকূল হতে পারে। যদিও ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে কোনো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই, তবুও ২০ শতাংশ শুল্কহার ভারতের ৫০ শতাংশের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে এই শুল্ক সুবিধা বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় পোশাক আমদানিকারক বাজার, যেখানে বাংলাদেশ ও

ভারত দীর্ঘদিন ধরেই শীর্ষ প্রতিযোগী। এখন শুল্ক ব্যবধানের কারণে ভারতীয় রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেই বাজার শেয়ার বাংলাদেশের হাতে আসতে পারে। ঘোষিত নতুন শুল্কহার আগামী ৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। এশিয়ার অন্যান্য রপ্তানিকারক দেশও ভারতের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছে। উদাহরণস্বরূপ, ভিয়েতনাম (২০ শতাংশ), মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন (প্রতিটি ১৯ শতাংশ) ভারতের চেয়ে অনেক কম শুল্ক সুবিধা পাচ্ছে। ফলে বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিকস পণ্যের বাজারে এসব দেশের প্রবেশাধিকার ভারতের তুলনায় অনেক বেশি হতে পারে। একইভাবে, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ার জন্য অনুকূল শুল্ক কাঠামো ভারতের দ্রুত বিকাশমান অ-চামড়াজাত জুতা শিল্প ও ইলেকট্রনিকস খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কহার যত কম, ততই প্রতিযোগিতায়

এগিয়ে থাকা সম্ভব। ভারতীয় তৈরি পোশাক, চামড়া এবং জুতা- এই তিনটি খাতই এখন সরাসরি চাপে পড়তে পারে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের পোশাক খাত তুলনামূলক কম শুল্কে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার পাবে, যা রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে যদি মার্কিন খুচরা ক্রেতারা কম শুল্ক সুবিধার কারণে ভারতীয় পণ্যের বদলে বাংলাদেশের পণ্যকে অগ্রাধিকার দিতে শুরু করেন, তবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের বাজার শেয়ার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে। ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য চুক্তি বর্তমানে কৃষি ও গাড়ি খাত সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আটকে আছে। যুক্তরাষ্ট্র চাইছে, ভারত জেনেটিক্যালি মোডিফায়েড (জিএম) ভুট্টা ও সয়াবিনসহ অন্যান্য কৃষিপণ্যের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিক এবং মার্কিন দুগ্ধ ও কৃষিপণ্য আমদানির অনুমতি দিক। তবে

ভারতের ছোট চাষিদের প্রাধান্য ও প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে এটি বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে জিএম পণ্যের নিয়ন্ত্রণ শিথিল করাও ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিতর্কিত ইস্যু। ফলে বর্তমান শুল্কনীতিতে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বড় ধরনের প্রতিযোগিতামূলক অসুবিধায় পড়তে পারে, যা বাংলাদেশের জন্য একটি কৌশলগত সুযোগে পরিণত হতে পারে, বিশেষ করে পোশাক, চামড়া, জুতা এবং কিছু হালকা শিল্পপণ্যের ক্ষেত্রে। তবে এই সুযোগ কাজে লাগাতে হলে বাংলাদেশকে দ্রুত উৎপাদন সক্ষমতা, মান নিয়ন্ত্রণ এবং লজিস্টিক অবকাঠামো উন্নত করতে হবে, যাতে মার্কিন বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করেও ক্লান্তি নেই রাশমিকার! ঋত্বিক ঘটকের ভাঙা বাড়িতে জন্মশতবর্ষ উদযাপন চালু হচ্ছে বিশ্বের প্রথম উড়ন্ত গাড়ি নির্মাণ কারখানা ফিলিপাইনে টাইফুন কালমেগির তাণ্ডবে ৪০ জনের প্রাণহানি ওপেন এআই-অ্যামাজনের ৩৮ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি কুষ্টিয়ায় মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতার সমর্থকদের দ্বিতীয় দিনে সড়ক অবরোধ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা অপরাধের দায়মুক্তির অবসান চায় ১৩ দেশ ‘জুলাই সনদ’ কড়চা এবং অতঃপর … আজ সংবিধান দিবসঃ বাংলাদেশের সংবিধানের পটভূমি বিএনপি-এনসিপি সমঝোতায় বঞ্চিত হলো জুলাই এর নারী নেত্রীরা রপ্তানি পতন অব্যাহত: অক্টোবরে ৭.৪৩% কমে ৩.৬৩ বিলিয়ন ডলার, আমদানিও নেমে আসছে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক চীনের দিকে ঝোঁকার কারণে উদ্বেগ বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্রং ভল্টে সোনা-হীরা থাকলেও চুরি শুধু অস্ত্র, বাড়ছে শাহজালাল আগুনের রহস্য প্রধান রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ: পশ্চিমা হস্তক্ষেপ চাইলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ড. ইউনুসের পতনের ডাক যুবলীগের, ১৩ নভেম্বর ঢাকায় লকডাউন ঘোষণা চার দিনের সফরে ঢাকায় পাকিস্তান নৌপ্রধান, সেনাপ্রধানকে পাশ কাটিয়ে পাকিস্তান নৌপ্রধানকে গলফ ও ভোজে আপ্যায়ন সশস্ত্র বাহিনীতে বিভেদ ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির ইঙ্গিত দিচ্ছে। সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (FDI) নিয়ে ড. ইউনূসের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক: তথ্য বিকৃতি ও বিভ্রান্তির অভিযোগ ‘লাশের শহর’ ছাড়ছে নিরুপায় বাসিন্দারা ইউনূসকে রেফারির ভূমিকায় চায় ধর্মভিত্তিক ৮ দল গাজা এখন ‘মাইনের শহর’