ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে লেবাননে ফের ইসরায়েলের হামলা
থাই-মালয়েশিয়া সীমান্তে নৌকাডুবি, নিহত ১১
পাল্টা শুল্ক থেকে অর্জিত অর্থের লভ্যাংশ জনগণকে দেবেন ট্রাম্প
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ৫.৪ মাত্রার ভূমিকম্প
গাজায় গণহত্যার প্রমাণ ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন করেছিল বাইডেন প্রশাসন
আরএসএফ হামলার মুখে এল-ফাশর ছাড়ল ৩২৪০ পরিবার
ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন ‘ফাং-ওয়ং’, সরানো হলো ১ লাখ বাসিন্দাকে
ভারতীয় পণ্যে আরও শুল্ক চাপানো হবে: ট্রাম্পের কড়া হুঁশিয়ারি
রাশিয়ার তেল কেনা নিয়ে আবারও ভারতকে নিশানা করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্য হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারত শুধু তেলই কিনছে না, বরং রাশিয়া থেকে সস্তায় কেনা তেল খোলা বাজারে বিক্রি করে বিপুল মুনাফা করছে। এটা বরদাস্ত করা হবে না।’
ট্রাম্প জানান, এই 'অনৈতিক' কর্মকাণ্ডের জবাবে শিগগিরই ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে। এর আগে গত বুধবারই তিনি ভারতীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করেছিলেন।
সোমবার রাতে ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। অথচ ভারত তেল কিনে সেই রক্তাক্ত অর্থনীতিকেই মদত দিচ্ছে। তারা এসব জেনে-শুনে করছে। এজন্য আমেরিকা চুপ
করে থাকবে না। আমি ভারতীয় পণ্যের উপর শুল্ক আরও বাড়াতে চলেছি।’ অর্থনীতিবিদদের মতে, শুল্ক বৃদ্ধির সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে ভারতীয় টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক, যন্ত্রাংশ (Auto components), ফার্মাসিউটিক্যালস ও কৃষিপণ্য রফতানিতে। এছাড়া সম্ভাব্য ‘জরিমানা’ আরোপ নিয়েও জল্পনা রয়েছে, যদিও হোয়াইট হাউস থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতীয় তেল পরিশোধন সংস্থাগুলি রাশিয়ার কাছ থেকে ডিসকাউন্টে তেল কিনছে এবং তাতে খরচ কমছে। এশিয়ার মধ্যে ভারত এখন অন্যতম বড় রাশিয়া-তেল আমদানিকারক দেশ। ২০২৫ সালের জুনে ভারতে রাশিয়া থেকে দৈনিক ২.০৮ মিলিয়ন ব্যারেল তেল এসেছে—যা ভারতের মোট তেল আমদানির প্রায় ৪৩%। এদিকে ট্রাম্পের এ হুশিয়ারির পর ভারতীয় সরকারের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
তবে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি নিরাপত্তা ও নিজের স্বার্থ দেখে পদক্ষেপ নিচ্ছে। তেলমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি সম্প্রতি বলেছেন—‘যদি রাশিয়ার তেল আমদানিতে সমস্যা হয়, তবে বিকল্প প্রস্তুত আছে। ভারত প্রস্তুত।’ ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে আন্তর্জাতিক মহল নির্বাচনী চমক বলেও ব্যাখ্যা করছেন। আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শক্ত অবস্থান দেখিয়ে জনমত টানতেই এই অবস্থান নিয়েছেন তিনি— এমন ধারণাও রয়েছে কূটনৈতিক মহলের অনেকেই। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনার জেরে ভারত ও আমেরিকার মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্কে টানাপড়েন তৈরি হতে পারে। ভারত কোন কৌশলে এগোয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
করে থাকবে না। আমি ভারতীয় পণ্যের উপর শুল্ক আরও বাড়াতে চলেছি।’ অর্থনীতিবিদদের মতে, শুল্ক বৃদ্ধির সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে ভারতীয় টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক, যন্ত্রাংশ (Auto components), ফার্মাসিউটিক্যালস ও কৃষিপণ্য রফতানিতে। এছাড়া সম্ভাব্য ‘জরিমানা’ আরোপ নিয়েও জল্পনা রয়েছে, যদিও হোয়াইট হাউস থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতীয় তেল পরিশোধন সংস্থাগুলি রাশিয়ার কাছ থেকে ডিসকাউন্টে তেল কিনছে এবং তাতে খরচ কমছে। এশিয়ার মধ্যে ভারত এখন অন্যতম বড় রাশিয়া-তেল আমদানিকারক দেশ। ২০২৫ সালের জুনে ভারতে রাশিয়া থেকে দৈনিক ২.০৮ মিলিয়ন ব্যারেল তেল এসেছে—যা ভারতের মোট তেল আমদানির প্রায় ৪৩%। এদিকে ট্রাম্পের এ হুশিয়ারির পর ভারতীয় সরকারের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
তবে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি নিরাপত্তা ও নিজের স্বার্থ দেখে পদক্ষেপ নিচ্ছে। তেলমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি সম্প্রতি বলেছেন—‘যদি রাশিয়ার তেল আমদানিতে সমস্যা হয়, তবে বিকল্প প্রস্তুত আছে। ভারত প্রস্তুত।’ ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে আন্তর্জাতিক মহল নির্বাচনী চমক বলেও ব্যাখ্যা করছেন। আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শক্ত অবস্থান দেখিয়ে জনমত টানতেই এই অবস্থান নিয়েছেন তিনি— এমন ধারণাও রয়েছে কূটনৈতিক মহলের অনেকেই। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনার জেরে ভারত ও আমেরিকার মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্কে টানাপড়েন তৈরি হতে পারে। ভারত কোন কৌশলে এগোয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।



