
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

রুমিন ফারহানার বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি এনসিপির

কিশোরগঞ্জে যুবদলের দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩০

নির্বাচনে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে নানা চেষ্টা চলছে : তারেক রহমান

আমাদের দাবি না মানলে নির্বাচন হবে না : জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি

ফেসবুকে পোস্টে পদত্যাগের পর জাবি বাগছাস নেতার মিষ্টি বিতরণ

ফার্স্ট-সেকেন্ড ইয়ারের ছেলেরা সচিব-ডিসিদের পাশে বসে তদবিরে ব্যস্ত: টুকু

অনিন্দ্য ও তার দুই সহযোগী ৫ দিনের রিমান্ডে
ভজঘটভাবে দেশ চলছে: জিএম কাদের

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘ভজঘটভাবে দেশ চলছে। কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না, কে দেশ চালাচ্ছে। সরকারের মধ্যে আরেকটি সরকার আছে। সেই সরকারই নাকি দেশ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারি দলও নাকি অনেকগুলো দাঁড়িয়ে গেছে, সেই সরকারি দলও নাকি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কোনো নিবন্ধন নেই- এমন সরকারি দলের কিছু অংশ সরকারে আছে আর কিছু অংশ বাইরে আছে। সরকারি দলের সব সুযোগ সুবিধা তারা ভোগ করছে, তাদের বক্তব্য ও বিবৃতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণভাবে সরকার গ্রহণ করছে।’
রোববার বিকালে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানসহ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও আটকদের মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশে জিএম কাদের সভাপতির
বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বড় দুইটি দল আছে, যারা সরকারি দলের মতোই সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। আরও ছোট ছোট কিছু দল আছে, যারা কোনো দিন নির্বাচনই করেননি অথবা নির্বাচিত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনো দায়িত্ব পালন করেননি, তারাও কিন্তু সরকারি দলের সুযোগ সুবিধা লাভ করছেন। সরকারি দলের সবাই একজোট হয়ে নির্বাচন করবেন, কিন্তু এর বাইরে যে দলগুলো আছে তারা নির্বাচন করতে পারবে কি পারবে না- তা নিয়ে রহস্য আছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই সব দলগুলো কি বাংলাদেশের সব মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছে? দেশে কি কোনো বিরোধী দল বা বিরোধী কণ্ঠস্বর দরকার নেই? বেশির ভাগ মানুষই কি এই কয়েকটি দলের সমর্থক? সবাই
কি এই দলগুলোকেই ভোট দেবে? দেশের দুই তৃতীয়াংশ মানুষ মানে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষ এই সরকারের কর্মকাণ্ডের বিরোধী।’ জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর একমাত্র মুখপাত্র হচ্ছে জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টি এ দায়িত্ব পালন করে যাবে। আর এ কারণেই জাতীয় পার্টির ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন চলছে। বিগত সরকার জাতীয় পার্টির সঙ্গে যে ষড়যন্ত্র করেছে, এই সরকারও ঠিক সেই ষড়যন্ত্রই করছে। জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। শুধু আমাকে নয়, জাতীয় পার্টির অনেক নেতাকর্মীর নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে। বাদী, আইনজীবী ও বিচারকও জানে মামলাগুলো মিথ্যা। কিন্তু মিথ্যা মামলা বন্ধ বা প্রত্যাহার হচ্ছে না। আমাদের
সাবেক এমপি গোলাম কিবরিয়া টিপু এবং মোহাম্মদপুরের জাতীয় পার্টি নেতা সেলিম প্রায় ১ বছর ধরে হাজতবাস করছে। তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না। প্রতিদিন আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। কারণ, জাতীয় পার্টির কণ্ঠরোধ করতে চাচ্ছে সরকার।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার বিরোধী কণ্ঠস্বর সহ্য করতে পারে না। আপনারা নাকি ফ্যাসিবাদ দমন করেছেন, গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন? আপনারাতো শেখ হাসিনার মতোই একই কাজ করছেন। আমাদের মধ্যে কিছু দালাল শ্রেণির নেতাদের সুযোগ সুবিধা দিয়ে শেখ হাসিনা বিভাজন সৃষ্টি করে, আমাদের ব্ল্যাকমেইল করতে চেয়েছিল। বর্তমান সরকারতো একই কাজ করছে। মনে রাখবেন, দেশের বেশির ভাগ মানুষ এখন সরকারবিরোধী। বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ জাতীয় পার্টিকেই তাদের
কণ্ঠস্বর মনে করছে। বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আপনাদের পরাজিত করবে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, যে পতাকা আপনি দিয়েছেন- তা যেন শক্ত করে ধরে রাখতে পারি, সেই সক্ষমতা আপনি আমাদের দিন।’ জিএম কাদের আরও বলেন, ‘সরকার এক ধরনের রাজনীতি চাচ্ছে, যেখানে বিরোধী কণ্ঠস্বর থাকবে না। তাহলে শেখ হাসিনা কী দোষ করেছিল? শেখ হাসিনা যদি ফ্যাসিবাদ কায়েম করে তাহলে আপনারা কী কায়েম করেছেন? আপনারাও ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছেন, বর্তমান সরকার হচ্ছে নব্য ফ্যাসিবাদ।’ সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই সরকার নিজস্ব স্টাইলে নির্বাচন করতে চাচ্ছে। আমরা মনে করি, এই সরকারের নির্বাচন করার সক্ষমতা নেই। এই সরকার নির্বাচন পরিচালনার জন্য উপযুক্ত নয়। কারণ, এই
সরকার প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ সব বিভাগের মনোবল ভেঙে দিয়েছে। অনেককেই মামলা দিয়ে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। যে পদগুলো খালি হচ্ছে সেখানে নিজস্ব লোকজন নিয়োগ দিয়ে দলীয়করণ করছে। মনোবলহীন ফোর্স দিয়ে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। সঠিক নির্বাচন দেওয়ার ইচ্ছা কি এই সরকারের আছে? অবাধ নির্বাচন করতে চাইলে সবাইকেই নির্বাচনে অংশ নিতে দিতে হবে। যদি তথাকথিত সরকারি দলগুলোকেই নির্বাচন করতে দেওয়া হয়, তাহলে তো এই সরকার নিরপেক্ষ হলো না। সরকারি দলে যারা আছে, তাদের শুধু পুলিশ নয়; আর্মি দিয়ে প্রটেকশন দেওয়া হচ্ছে। এভাবে কি নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়া সম্ভব?’ তিনি বলেন, ‘এখন বলছে, তারা বিচার ও সংস্কার না হলে নির্বাচনে যাবে না। সংস্কার হচ্ছে
চলমান প্রক্রিয়া, যার কোনো শেষ নেই। জনগণের মতামতের বাইরে গিয়ে গায়ের জোরে সংস্কার এদেশের জনগণ মেনে নেবে না। বিচার একটা চলমান প্রক্রিয়া, তাড়াহুড়ো করলেও ৫-৬ বছরের আগে বিচার সম্ভব নয়। নির্বাচন নিয়ে জনমনে সংশয় আছে। এই সরকার দেশের যথেষ্ট ক্ষতি করেছে, মানুষের বিরুদ্ধে মানুষকে লেলিয়ে দিয়েছে। এই সরকার দেশকে প্রতিহিংসার রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’ জিএম কাদের আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশকে যেখানে নিয়েছিল, আমরা ভেবেছিলাম সেখান থেকে দেশের উত্তরণ করবে এই সরকার। দেশের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। তাহলে কি আন্দোলন, বিপ্লব বা ইনকিলাব ব্যর্থ হয়েছে? এর দায়-দায়িত্ব বর্তমান সরকার ও তাদের নিয়োগদাতাদের নিতে হবে।’ অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টি মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া, এইচএম শাহরিয়ার আসিফ, প্রফেসর মহসিনুল ইসলাম হাবুল, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, মেহেরুন্নেসা খান হেনা পন্নি, মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, মো. খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, মো. হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব সামছুল হক, জুবের আলম খান রবিন, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী অর্ণব, তাতী পার্টির সদস্যসচিব মোক্তার হোসেন, ওলামা পার্টির সদস্যসচিব মুফতি ফিরোজ শাহ, কৃষক পার্টির সদস্য সচিব মো. আব্দুস কুদ্দুস মানিক, সাংস্কৃতিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক সুজন, ছাত্র সমাজের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল রেজা প্রমুখ। জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরুর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের, মনিরুল ইসলাম মিলন, ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. মমতাজ উদদীন, আবু তাহের, আজমল হোসেন লেবু, নুরুন নাহার বেগম, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. নুরুল আজহার শামীম, প্রফেসর ড. গোলাম মোস্তফা, জাহিদ হাসান, ভাইস চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী, আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, এমএ সোবহান, আখতার হোসেন দেওয়ান, অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাষানী, মো. হুমায়ুন খান, যুগ্ম মহাসচিব আমির হোসেন ভূঁইয়া, সালাহ উদ্দিন খোকা মোল্লা, শামীম আহমেদ রিজভী, দ্বীন ইসলাম শেখ, হেলাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল দাস, সাইফুল ইসলাম, আনিস উর রহমান খোকন, কাজী আবুল খায়ের, এমএ হান্নান, মীর সামছুর আলম লিপটন, মো. আজহারুল ইসলাম সরকার, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মাহমুদ আলম, হাফেজ কারি ইসারুহুল্লাহ আসিফ, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জাকির হোসেন মৃধা, বাহাদুর ইসলাম ইমতিয়াজ, মামুনুর রহিম সুমন, এসএম রহমান পারভেজ, শেখ মো. সারোয়ার, শেখ মো. আবু ওয়াহাব, সমরেশ মন্ডল মানিক, শেখ হুমায়ুন কবির শাওন, অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ, ইঞ্জিনিয়ার জুবায়ের আহমেদ প্রমুখ।
বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বড় দুইটি দল আছে, যারা সরকারি দলের মতোই সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। আরও ছোট ছোট কিছু দল আছে, যারা কোনো দিন নির্বাচনই করেননি অথবা নির্বাচিত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনো দায়িত্ব পালন করেননি, তারাও কিন্তু সরকারি দলের সুযোগ সুবিধা লাভ করছেন। সরকারি দলের সবাই একজোট হয়ে নির্বাচন করবেন, কিন্তু এর বাইরে যে দলগুলো আছে তারা নির্বাচন করতে পারবে কি পারবে না- তা নিয়ে রহস্য আছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই সব দলগুলো কি বাংলাদেশের সব মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছে? দেশে কি কোনো বিরোধী দল বা বিরোধী কণ্ঠস্বর দরকার নেই? বেশির ভাগ মানুষই কি এই কয়েকটি দলের সমর্থক? সবাই
কি এই দলগুলোকেই ভোট দেবে? দেশের দুই তৃতীয়াংশ মানুষ মানে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষ এই সরকারের কর্মকাণ্ডের বিরোধী।’ জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর একমাত্র মুখপাত্র হচ্ছে জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টি এ দায়িত্ব পালন করে যাবে। আর এ কারণেই জাতীয় পার্টির ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন চলছে। বিগত সরকার জাতীয় পার্টির সঙ্গে যে ষড়যন্ত্র করেছে, এই সরকারও ঠিক সেই ষড়যন্ত্রই করছে। জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। শুধু আমাকে নয়, জাতীয় পার্টির অনেক নেতাকর্মীর নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে। বাদী, আইনজীবী ও বিচারকও জানে মামলাগুলো মিথ্যা। কিন্তু মিথ্যা মামলা বন্ধ বা প্রত্যাহার হচ্ছে না। আমাদের
সাবেক এমপি গোলাম কিবরিয়া টিপু এবং মোহাম্মদপুরের জাতীয় পার্টি নেতা সেলিম প্রায় ১ বছর ধরে হাজতবাস করছে। তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না। প্রতিদিন আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। কারণ, জাতীয় পার্টির কণ্ঠরোধ করতে চাচ্ছে সরকার।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার বিরোধী কণ্ঠস্বর সহ্য করতে পারে না। আপনারা নাকি ফ্যাসিবাদ দমন করেছেন, গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন? আপনারাতো শেখ হাসিনার মতোই একই কাজ করছেন। আমাদের মধ্যে কিছু দালাল শ্রেণির নেতাদের সুযোগ সুবিধা দিয়ে শেখ হাসিনা বিভাজন সৃষ্টি করে, আমাদের ব্ল্যাকমেইল করতে চেয়েছিল। বর্তমান সরকারতো একই কাজ করছে। মনে রাখবেন, দেশের বেশির ভাগ মানুষ এখন সরকারবিরোধী। বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ জাতীয় পার্টিকেই তাদের
কণ্ঠস্বর মনে করছে। বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আপনাদের পরাজিত করবে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, যে পতাকা আপনি দিয়েছেন- তা যেন শক্ত করে ধরে রাখতে পারি, সেই সক্ষমতা আপনি আমাদের দিন।’ জিএম কাদের আরও বলেন, ‘সরকার এক ধরনের রাজনীতি চাচ্ছে, যেখানে বিরোধী কণ্ঠস্বর থাকবে না। তাহলে শেখ হাসিনা কী দোষ করেছিল? শেখ হাসিনা যদি ফ্যাসিবাদ কায়েম করে তাহলে আপনারা কী কায়েম করেছেন? আপনারাও ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছেন, বর্তমান সরকার হচ্ছে নব্য ফ্যাসিবাদ।’ সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই সরকার নিজস্ব স্টাইলে নির্বাচন করতে চাচ্ছে। আমরা মনে করি, এই সরকারের নির্বাচন করার সক্ষমতা নেই। এই সরকার নির্বাচন পরিচালনার জন্য উপযুক্ত নয়। কারণ, এই
সরকার প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ সব বিভাগের মনোবল ভেঙে দিয়েছে। অনেককেই মামলা দিয়ে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। যে পদগুলো খালি হচ্ছে সেখানে নিজস্ব লোকজন নিয়োগ দিয়ে দলীয়করণ করছে। মনোবলহীন ফোর্স দিয়ে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। সঠিক নির্বাচন দেওয়ার ইচ্ছা কি এই সরকারের আছে? অবাধ নির্বাচন করতে চাইলে সবাইকেই নির্বাচনে অংশ নিতে দিতে হবে। যদি তথাকথিত সরকারি দলগুলোকেই নির্বাচন করতে দেওয়া হয়, তাহলে তো এই সরকার নিরপেক্ষ হলো না। সরকারি দলে যারা আছে, তাদের শুধু পুলিশ নয়; আর্মি দিয়ে প্রটেকশন দেওয়া হচ্ছে। এভাবে কি নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়া সম্ভব?’ তিনি বলেন, ‘এখন বলছে, তারা বিচার ও সংস্কার না হলে নির্বাচনে যাবে না। সংস্কার হচ্ছে
চলমান প্রক্রিয়া, যার কোনো শেষ নেই। জনগণের মতামতের বাইরে গিয়ে গায়ের জোরে সংস্কার এদেশের জনগণ মেনে নেবে না। বিচার একটা চলমান প্রক্রিয়া, তাড়াহুড়ো করলেও ৫-৬ বছরের আগে বিচার সম্ভব নয়। নির্বাচন নিয়ে জনমনে সংশয় আছে। এই সরকার দেশের যথেষ্ট ক্ষতি করেছে, মানুষের বিরুদ্ধে মানুষকে লেলিয়ে দিয়েছে। এই সরকার দেশকে প্রতিহিংসার রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’ জিএম কাদের আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশকে যেখানে নিয়েছিল, আমরা ভেবেছিলাম সেখান থেকে দেশের উত্তরণ করবে এই সরকার। দেশের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। তাহলে কি আন্দোলন, বিপ্লব বা ইনকিলাব ব্যর্থ হয়েছে? এর দায়-দায়িত্ব বর্তমান সরকার ও তাদের নিয়োগদাতাদের নিতে হবে।’ অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টি মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া, এইচএম শাহরিয়ার আসিফ, প্রফেসর মহসিনুল ইসলাম হাবুল, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, মেহেরুন্নেসা খান হেনা পন্নি, মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, মো. খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, মো. হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব সামছুল হক, জুবের আলম খান রবিন, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী অর্ণব, তাতী পার্টির সদস্যসচিব মোক্তার হোসেন, ওলামা পার্টির সদস্যসচিব মুফতি ফিরোজ শাহ, কৃষক পার্টির সদস্য সচিব মো. আব্দুস কুদ্দুস মানিক, সাংস্কৃতিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক সুজন, ছাত্র সমাজের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল রেজা প্রমুখ। জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরুর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের, মনিরুল ইসলাম মিলন, ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. মমতাজ উদদীন, আবু তাহের, আজমল হোসেন লেবু, নুরুন নাহার বেগম, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. নুরুল আজহার শামীম, প্রফেসর ড. গোলাম মোস্তফা, জাহিদ হাসান, ভাইস চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী, আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, এমএ সোবহান, আখতার হোসেন দেওয়ান, অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাষানী, মো. হুমায়ুন খান, যুগ্ম মহাসচিব আমির হোসেন ভূঁইয়া, সালাহ উদ্দিন খোকা মোল্লা, শামীম আহমেদ রিজভী, দ্বীন ইসলাম শেখ, হেলাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল দাস, সাইফুল ইসলাম, আনিস উর রহমান খোকন, কাজী আবুল খায়ের, এমএ হান্নান, মীর সামছুর আলম লিপটন, মো. আজহারুল ইসলাম সরকার, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মাহমুদ আলম, হাফেজ কারি ইসারুহুল্লাহ আসিফ, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জাকির হোসেন মৃধা, বাহাদুর ইসলাম ইমতিয়াজ, মামুনুর রহিম সুমন, এসএম রহমান পারভেজ, শেখ মো. সারোয়ার, শেখ মো. আবু ওয়াহাব, সমরেশ মন্ডল মানিক, শেখ হুমায়ুন কবির শাওন, অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ, ইঞ্জিনিয়ার জুবায়ের আহমেদ প্রমুখ।